মাইজভান্ডারের ওরসে লাখো ভক্তের ঢল
Published: 24th, January 2025 GMT
লাখো ভক্তের উপস্থিতিতে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে মাইজভান্ডারী তরিকার প্রবর্তক হজরত গাউছুল আজম সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারীর ১১৯তম বার্ষিক ওরস। গতকাল শুক্রবার রাতে গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিলের সাজ্জাদানশীন হজরত মাওলানা শাহ সুফি সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভান্ডারী ও গাউসিয়া হক মঞ্জিলের সাজ্জাদনশীন হজরত সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভান্ডারী আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন। মোনাজাতে দেশ, জাতি ও বিশ্বমানবতার কল্যাণ কামনা করা হয়।
বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, সৌদি আরব, কাতার,
কুয়েত, চীন, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ওমানসহ নানা দেশ থেকে অসংখ্য ভক্ত মাইজভান্ডার দরবার শরিফে আসেন।
সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভান্ডারী বলেন, মাইজভান্ডারী তরিকা ইসলামের মৌলিক আদর্শ ও আঞ্চলিক সংস্কৃতির মেলবন্ধনের চূড়ান্ত আধ্যাত্মিক রূপ। এ তরিকার অনুসারীরা ঐশী প্রেমনির্ভর
শিক্ষা ও ইসলামী শরিয়তভিত্তিক চর্চায় কার্যকর ভূমিকা রাখছে।
নায়েব সাজ্জাদানশীন সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভান্ডারী বলেন, সুফি দর্শন মানবতার শিক্ষায় আলোকিত পথ দেখায়।
হজরত সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভান্ডারী সব অবিচার থেকে মানবজাতিকে হেফাজত করার জন্য আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করেন। তিনি বলেন, গাউসুল আজম মাইজভান্ডারীর সাম্য ও শান্তির আদর্শ আত্মস্থ করতে হবে, চারদিকে পৌঁছে দিতে হবে।
ওরস উপলক্ষে শাহ এমদাদিয়া ও গাউসিয়া হক মঞ্জিলের ব্যবস্থাপনায় ১০ দিনব্যাপী সেবামূলক কর্মসূচি পালন করা হয়।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশে আসতে চায় চীনা বহুজাতিক কোম্পানি টেনসেন্ট, কী ব্যবসা করে তারা
চীনা বহুজাতিক প্রযুক্তি কোম্পানি টেনসেন্ট বাংলাদেশে আসতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় এক ফেসবুক পোস্টে এই তথ্য জানান।
ফেসবুক পোস্টে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব লেখেন, বাংলাদেশে এসেছে মার্কিন জায়ান্ট স্টারলিংক। আজ (সোমবার) তাদের লাইসেন্স আবেদন অনুমোদন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা। বাংলাদেশে বিগ টেক জায়ান্ট আসার যাত্রাটা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের হাত ধরেই শুরু হলো। এভাবে আসবে আরও অনেকেই।
চীনা প্রযুক্তি জায়ান্ট টেনসেন্ট বাংলাদেশে আসতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে একই পোস্টে উল্লেখ করেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। এ প্রসঙ্গে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব লিখেছেন, ‘আজ আমরা চায়নিজ জায়ান্ট টেনসেন্টের সঙ্গে অফিশিয়ালি বসেছি। তারাও বাংলাদেশে আসতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আমরা তাদের দ্রুততম সময়ে পলিসি সাপোর্টের আশ্বাস দিয়েছি।’
অসাইরিস গ্রুপও বাংলাদেশে আসছে বলে উল্লেখ করেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি বলেন, গাজীপুরের কালিয়াকৈর হাইটেক পার্কে হাইপার স্কেলার ক্লাউড ও ডেটা সেন্টার হবে বাংলাদেশি ডাটা ও ক্লাউড কোম্পানি যাত্রার হাত ধরে। এখানে হচ্ছে বিগ জায়ান্টদের জন্য বিশ্বমানের সিকিউরড ক্লাউড সে-আপ, যেখানে আসতে পারে মেটা, গুগলের পেলোড। এমন অভাবনীয় সব উপহার বাংলাদেশকে দিতে চলছেন অধ্যাপক ইউনূস।
টেনসেন্টের ওয়েবসাইটের তথ্য বলছে, প্রযুক্তি খাতের কোম্পানিটি ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত। কোম্পানিটির প্রধান কার্যালয় চীনের শেনজেনে অবস্থিত।
আরও পড়ুনবাংলাদেশের গেমশিল্পের উন্নয়নে কাজ করতে আগ্রহী চীনের টেনসেন্ট২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব