রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে বিক্ষুব্ধ জনতার ভাঙচুর চালিয়ে ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানানো উচিত বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল। বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে জয়সোয়ালের মন্তব্য প্রকাশ করা হয়। তিনি বলেন, ‘এটা দুঃখজনক যে দখলদার শক্তি ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণের বীরত্বপূর্ণ প্রতিরোধের প্রতীক শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িটি ৫ ফেব্রুয়ারি ধ্বংস করা হয়েছে।’

রণধীর জয়সোয়াল বলেন, ‘বাঙালি পরিচয় ও গর্বকে লালনকারী স্বাধীনতাসংগ্রামকে যাঁরা মূল্যায়ন করেন, তাঁরা বাংলাদেশের জাতীয় চেতনার জন্য এই বাসভবনের গুরুত্ব সম্পর্কে অবগত আছেন। এই ভাঙচুরের ঘটনাটির তীব্র নিন্দা জানানো উচিত।’

হাসিনাকে প্রত্যর্পণের আহ্বানের জবাব দেওয়া হয়নি

ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের আশ্রয়ে আছেন। বাংলাদেশ সরকার তাঁকে প্রত্যপর্ণের জন্য ভারতের কাছে আহ্বান জানিয়েছে। সেই আহ্বানের জবাব দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কৃতি বর্ধন সিং। বৃহস্পতিবার ভারতের রাজ্যসভায় লিখিত প্রশ্নের জবাবে কৃতি বর্ধন সিং এ কথা বলেন। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে কৃতি বর্ধন সিং বলেন, ‘২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ভারতে আসার আগে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার করা “অপরাধের” জন্য বাংলাদেশ সরকার তাঁর প্রত্যর্পণ চেয়েছে। বাংলাদেশ সরকারকে (এ বিষয়ে) কোনো জবাব দেওয়া হয়নি।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র মন ত মন ত র ধ নমন

এছাড়াও পড়ুন:

অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন

প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।

শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।

আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।

কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।

দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।

২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।

প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।

আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।

সূত্র: এনবিসি নিউজ

আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ