গাইবান্ধায় আওয়ামী সহযোগীদের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম
Published: 7th, February 2025 GMT
গাইবান্ধা শহরের ডিবি রোডে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় গুঁড়িয়ে দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা। একইসঙ্গে ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ সহযোগীদের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম দিয়েছেন তারা।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা থেকে এক্সকাভেটর মেশিন দিয়ে এই ভাঙচুর করা হয়।
এদিন রাত ৮টা থেকে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে সমবেত হতে থাকেন। সাড়ে ৯টা থেকে এক্সকাভেটর মেশিন দিয়ে কার্যালয়টি ভাঙা শুরু হয়। রাত দশটার মধ্যে আওয়ামী লীগ কার্যালয় পুরোপুরি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
এরপর রাত ১১টার দিকে শহরের থানাপাড়ায় জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ্ আহসান হাবীব রাজিবের বাড়ির প্রধান গেট ভাঙচুর করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গাইবান্ধা শাখার আহ্বায়ক মো.
কতদিন চলবে এই কার্যক্রম এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যতদিন না পর্যন্ত গাইবান্ধায় সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগ এবং ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের দোসরদের শাস্তি এবং গ্রেপ্তার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এ ধরনের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। গাইবান্ধা সদর থানাকে মৌখিকভাবে আগামী ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে বলা হয়েছে, যদি পুলিশ ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ এবং তাদের দোসরদের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার না করে তাহলে আবারো থানায় অবস্থান কর্মসূচি নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুল ইসলাম তালুকদারকে মুঠোফোনে কল দেওয়া হলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আওয ম ল গ
এছাড়াও পড়ুন:
৫ আগস্টের মধ্যে জুলাই সনদ না হলে অবরোধের হুঁশিয়ারি আপ বাংলাদেশের
জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র জারির দাবিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে ইউনাইটেড পিপলস (আপ) বাংলাদেশ। আজ শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগে গণজমায়েত থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। দাবি পূরণ না হলে ৬ আগস্ট থেকে দেশজুড়ে অবরোধ কর্মসূচি পালনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংগঠনটি।
‘৩৬ জুলাইয়ের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র ও সনদের দাবি’ শীর্ষক গণজমায়েতে অংশ নেন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা আপ বাংলাদেশের নেতা–কর্মীরা। জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের এক বছর পার হলেও জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র জারি না হওয়াকে অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতা হিসেবে দেখছেন তাঁরা।
আপ বাংলাদেশের আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ বলেন, ‘আমরা একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ চেয়েছিলাম। কিন্তু আহতদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। আমরা দেখেছি, যারা জুলাইয়ের নেতৃত্বে ছিল, জুলাইয়ের পরে তাদের পকেট ভারী হয়েছে। আমি বলতে চাই, আপনাদের এই পকেটের হিসাব দিতে হবে।’
অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে আলী আহসান বলেন, ‘আপনারা জুলাই ঘোষণাপত্র দিতে পারবেন কি পারবেন না, তা জানান; না পারলে আমরা আছি। যারা জীবন দিতে প্রস্তুত ছিলাম, বাংলাদেশের (সেই) ২০ কোটি জনগণ জুলাই ঘোষণাপত্র জারি করবে।’
আপ বাংলাদেশের আহ্বায়ক বলেন, ‘৩৬ জুলাইয়ের মধ্যে যদি জুলাই ঘোষণাপত্র না হয়, তাহলে ৬ আগস্ট থেকে দেশজুড়ে অবরোধ শুরু হবে। এ সরকারের কোনো হুমকি আমাদের দমিয়ে রাখতে পারবে না।’
গণজমায়েতে অংশ নিয়ে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান বলেন, আপ বাংলাদেশের নেতারা এখনো কোনো প্রটোকল ছাড়া রাস্তাঘাটে হাঁটেন। কিন্তু তাঁরা যেদিন প্রটোকল নিতে শুরু করবেন, সেদিন থেকে তাঁদের বিরুদ্ধেও তিনি কথা বলা শুরু করবেন।
জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র জারির আহ্বান জানিয়ে শরীফ ওসমান বলেন, এখন পর্যন্ত বিদ্যমান আইনি কাঠামোয় জুলাই শহীদেরা রাষ্ট্রদ্রোহী। তাঁদেরকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। আজকের মধ্যে সরকার দিনক্ষণ না জানালে আগামী ৩ তারিখ (আগস্ট) ইনকিলাব মঞ্চের উদ্যোগে কফিন মিছিল নিয়ে সচিবালয় অবরোধ করা হবে।
বিগত এক বছর থেকে একটি দুর্বল সরকার দেশ চালাচ্ছে উল্লেখ করে আপ বাংলাদেশের সদস্যসচিব আরেফিন মোহাম্মদ বলেন, ‘জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তিতে ঘোষণাপত্রের জন্য আমাদের আবারও গণজমায়েত করতে হচ্ছে। এর চেয়ে লজ্জাজনক আর কী হতে পারে?’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এ বি জুবায়ের বলেন, ‘আমরা যে মৌলিক সংস্কার চেয়েছিলাম, এখনো তার কিছুই হয়নি। এখনো শহীদ পরিবারের পুনর্বাসন ও আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত হয়নি। আমি উপদেষ্টাদের উদ্দেশে বলতে চাই, অবিলম্বে জুলাই সনদ ঘোষণা করুন। আপনাদের কাছে আমাদের চাওয়া–পাওয়া খুব বেশি নেই।’
গণজমায়েতে র্যাপ গান পরিবেশন করেন আপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য আহনাফ তাহমিদ। স্বাগত বক্তব্য দেন জুলাই শহীদ ওসমান পাটোয়ারীর বাবা আবদুর রহমান। গণজমায়েতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন আপ বাংলাদেশের প্রধান সমন্বয়কারী রাফে সালমান রিফাত, প্রধান সংগঠক নাঈম আহমেদ, মুখপাত্র শাহরিন সুলতানা প্রমুখ।