বরিশালের ট্রফি গতবার ছিল মুশফিক-মাহমুদউল্লাহর, এবার নাজমুল-হৃদয়ের
Published: 8th, February 2025 GMT
ফাইনালের আগে তামিম বলেছিলেন, তার দলে সম্মানটা গুরুত্বপূর্ণ। চিটাগং কিংসকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় বিপিএল শিরোপা জেতার পর এর একটা উদাহরণ হয়তো দিলেন তামিম। গত আসরেও প্রায় একই রকম দৃশ্য দেখা গেছে। ট্রফি জেতার পর মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে যান তামিম। মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহর জন্য সেটিই ছিল প্রথম বিপিএল শিরোপা।
এবার কেন ট্রফি নিতে নাজমুল, রিশাদ ও হৃদয়কে এগিয়ে দিলেন তা জানিয়ে কাল সংবাদ সম্মেলনে বরিশাল অধিনায়ক তামিম বলেছেন, ‘আমি দুবার ট্রফি জিতেছি। হৃদয়ের কথা যদি চিন্তা করেন, সে সম্ভবত দুই-তিনটি ফাইনাল খেলেও ট্রফি জিততে পারেনি। নাজমুলের ক্ষেত্রেও একই। এই ট্রফি তাদের কাছে আমার তুলনায় অনেক বেশি মূল্যবান, অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং রিশাদের ক্ষেত্রেও। তাই আমার মনে হয়েছে, আমি হয়তো ওদের এই সম্মানটা দিতে পারি যে, ট্রফিটা ওরা নিজের হাতে তুলুক।’
এবারের বিপিএল এমনিতে ভালো কাটেনি নাজমুল হোসেনের। জাতীয় দলের অধিনায়ক ৫ ম্যাচ সুযোগ পেয়ে ৫৬ রান করেন। এরপর ফাইনালসহ শেষ ৮ ম্যাচে বরিশালের একাদশে সুযোগ পাননি নাজমুল। ফ্র্যাঞ্চাইজিটির হয়ে গত ১৬ জানুয়ারি ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে শেষ ম্যাচ খেলেন তিনি।
একাদশে সুযোগ না পাওয়ায় খারাপ লাগা থাকলেও তা সামনে আনেননি নাজমুল, এমনই বলেছেন তামিম, ‘নাজমুলের ব্যাপারে বলি, জাতীয় দলের অধিনায়ক, দেশের সেরা ক্রিকেটারদের একজন কিন্তু আমাদের কম্বিনেশনের কারণে বেশি খেলার সুযোগ পায়নি। কিছু দিন আগেও বলেছি, এরপরও খেলার প্রতি, দলের প্রতি তার নিবেদন ছিল দুর্দান্ত। আমি জানি, তার জন্য না খেলাটা অনেক অনেক কঠিন ছিল। তবে ও সেটা দেখায়নি, যা আমাদের কাজ সহজ করেছে।’
গত আসরেও বরিশালকে নেতৃত্ব দিয়ে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন তামিম। মুশফিকুর রহিম-মাহমুদউল্লাহর মতো সিনিয়র ক্রিকেটাররাও ছিলেন একই দলে। এবার আরও একবার ট্রফি জিতলেও প্রথমবারের জয়টাকে আলাদা করে রেখেছেন তামিম, ‘গতবারের যাত্রাটা ছিল এপিক! সেটি আমার হৃদয়ের খুব খুব কাছের। কিছু দিন আগে সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলাম, সেবার অর্ধেক টুর্নামেন্ট থেকেই আমরা বাদ পড়ার এক ম্যাচ দূরে ছিলাম। সেখান থেকে জিততে জিততে সেমিফাইনালে (প্লে-অফে) এসে পুরোপুরি ভিন্ন দল হয়ে যাওয়া। তো ওই ট্রফিটা জেতা.
এবার লিগ পর্বে বরিশালই ছিল সবার ওপরে। ১২ ম্যাচের ৯টিতে জিতেছিল তারা। এরপর কোয়ালিফায়ারে চিটাগং কিংসকে হারিয়েই ফাইনালে উঠে বরিশাল। ফাইনালেও ১৯৪ রান তাড়ায় নেমে পেয়েছে তিন উইকেটের জয়।
এই দাপটকে মাথায় রেখেও প্রথম শিরোপা জয়টিকেই এগিয়ে রাখলেন তামিম, ‘এই বছর আমরা আসরজুড়ে দাপট দেখিয়েছি। রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে দুই ম্যাচ ও চিটাগং কিংসের বিপক্ষে এক ম্যাচ শুধু... এর বাইরে পুরো টুর্নামেন্ট আধিপত্য দেখিয়েছি। আমাদের যখন ১৭০-১৮০ রানের চ্যালেঞ্জ দেওয়া হয়েছে, খুব ভালো রেসপন্স করেছি। আজকেও, খুলনার সঙ্গেও। এটিও বিশেষ অনুভূতির। তবে দুটি শিরোপার মধ্যে বেছে নিতে বললে আমি সব সময় প্রথমটিই নেব।’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
‘আমি থানার ওসি, আপনার মোবাইল হ্যাকড হয়েছে’
‘আমি থানার ওসি বলছি। আপনার মোবাইল ফোন হ্যাকড হয়েছে। আমাদের সাইবার টিম এটা নিয়ে কাজ করছে। হ্যাকারের পরিচয় শনাক্ত করতে আপনার হোয়াটসঅ্যাপে একটি লিংক পাঠানো হয়েছে, সেখানে ক্লিক করুন।’ এমন ফোন পেয়ে ঘাবড়ে গিয়ে কথামতো লিংকে ঢোকেন মুঠোফোনের মালিক। এরপর ফোনের মালিক জানতে পারেন, তাঁর নম্বর থেকে পরিচিত বন্ধু, সহকর্মী ও স্বজনদের কাছ থেকে তাঁর নাম করে টাকা চাওয়া হচ্ছে। যখন বুঝতে পারেন তিনি হ্যাকিংয়ের শিকার হয়েছেন, ততক্ষণে দেরি হয়ে গেছে।
মুঠোফোনে এমন প্রতারণা শিকার হয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন। আজ বুধবার দুপুরে তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ আইডি হ্যাক করা হয়। হ্যাকড হওয়ার পর থেকেই তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে বিভিন্নজনের কাছে টাকা চাওয়া হচ্ছে। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সহ-উপাচার্য নিজেই ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন। এ ঘটনায় হাটহাজারী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন অধ্যাপক কামাল উদ্দিন।
আজ দুপুরে ফেসবুকে সহ–উপাচার্য লেখেন, ‘আসসালামু আইলাইকুম, কিছুক্ষণ পূর্বে আমার হোয়াটসঅ্যাপ ও বিকাশ নাম্বার প্রতারক হ্যাক করেছে। দয়া করে প্রতারিত হবেন না।’
জানতে চাইলে অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, আজ দুপুরে কুমিল্লার কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পরিচয়ে একজন তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে কল দেন। পরে তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে একটা লিংক পাঠানো হয়। তিনি এই লিংকে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর হ্যাকড হয়। এরপর এ নম্বর থেকে বিভিন্নজনের কাছে টাকা চাওয়া হয়। তখনই তিনি হ্যাকড হওয়ার বিষয়টি টের পান।
প্রতারণার শিকার হয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্য অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন