দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশের সময় সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলের দিকে উপজেলার মনিরামপুর এলাকায় বিএনপি অফিসের সামনে ঘটনাটি ঘটে।

শাহজাদপুর থানার ওসি আসলাম আলী বলেন, “উভয় পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। এ ঘটনায় কেউ গুরুতর আহত হননি। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।” 

আরো পড়ুন:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ২ গোষ্ঠীর সংঘর্ষে আহত ১২, বাড়ি ভাঙচুর

কানাইপুরে আ.

লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, ৩০ বাড়ি ভাঙচুর

আহতদের মধ্যে কয়েকজন হলেন- উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হালিম, শাহজাদপুর পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ন-আহ্বায়ক আনিছুর রহমান ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক কমিটির সদস্য আব্দুল কুদ্দুস।

বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ও বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য ডা. এম এ মুহিত এবং কেন্দ্রীয় সেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির অন্য সদস্য গোলাম সরওয়ারের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশ নিয়ে সংঘর্ষটি হয় দুই পক্ষের মধ্যে । এসময় এলাকা জুড়ে উত্তপ্ত পরিবেশ তৈরি হয়।

গোলাম সরওয়ার অভিযোগ করে বলেন, “নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেনের কবর জিয়ারত করতে যাই। সেখান থেকে দলীয় কার্যালয়ে গেলে এম এ মুহিতের সমর্থকরা আমাদের ওপর হামলা করে। এতে আমাদের প্রায় ১৫ থেকে ২০ জন আহত হয়েছেন।” 

এ বিষয়ে জানতে ডক্টর এম. এ মুহিতের মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা মোস্তফা জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশকে কেন্দ্র করে নিজ দলের মধ্যে এমন হামলা সত্যিই দুঃখজনক। এ ঘটনায় তিনি জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

ঢাকা/অদিত্য/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ ব এনপ আহত ব এনপ র স ঘর ষ

এছাড়াও পড়ুন:

সত্য মিথ্যা যাচাই না করে শেয়ার করবেন না, মেসেজটা তৃণমূলে ছড়িয়ে দিন: সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, 'আমাদের একটা অভ্যাস হয়ে গেছে একটা নেতিবাচক সংবাদ দেখলেই যাচাই-বাছাই না করে শেয়ার করে দেওয়া হয়। অত্যন্ত ভিত্তিহীন সংবাদও আমরা শেয়ার করে দেই।'

সিইসি বলেন, 'দয়া করে সত্য মিথ্যা যাচাই না করে শেয়ার করবেন না। এই মেসেজটা তৃণমূলে ছড়িয়ে দিন। তথ্যটা যেন আগে যাচাই করে তারপরে শেয়ার করেন।'

আজ সোমবার রাজধানীর ভাটারায় আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নে (এজিবি) এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন সিইসি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ভুয়া সংবাদের প্রচার ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপপ্রয়োগ রোধে করণীয় সম্পর্কে তিনি এসব কথা বলেন।

থানা আনসার কোম্পানি/প্লাটুন সদস্যদের আনসার মৌলিক প্রশিক্ষণের (৪র্থ ধাপ) সমাপনী উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিইসি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো সংবাদ দেখা মাত্রই নাগরিকদের যাচাইবাছাই করতে আহ্বান জানান সিইসি। নিশ্চিত হওয়ার আগে শেয়ার না করতে বলেন তিনি।

জাতীয় নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে আনসার ভিডিপির ভূমিকাকে মূল শক্তি বলে উল্লেখ করেন সিইসি। তিনি বলেন, 'এনারাই অধিক সংখ্যায় নিয়োজিত থাকেন। এবং আমাদের হিসেব করতে গেলে প্রথম এদেরকেই হিসেব করতে হয় যে, কতজন আনসার ভিডিপি সদস্য আমরা মোতায়েন করতে পারব। মূল কাজটা আঞ্জাম (সম্পাদন) দিতে হয় কিন্তু আনসার এবং ভিডিপির সদস্যদের।'

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ। নির্বাচনকালীন জনগণের নিরাপত্তা, ভোট কেন্দ্রের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা এবং সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণে আনসার বাহিনী সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করছে বলে জানান তিনি। নির্বাচনে দেশজুড়ে প্রায় ৬ লাখ আনসার ও ভিডিপি সদস্য দায়িত্বপালন করবেন বলেন মহাপরিচালক।

অনুষ্ঠানে মহড়ায় ঢাকা মহানগর আনসারের চারটি জোনের অধীন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৩২০ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্য অংশ নেন।  আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নের সদস্যরা টহল, দায়িত্ব বণ্টন ও জরুরি প্রতিক্রিয়া অনুশীলনে অংশ নেন।

মহড়ায় ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জামাদি নিরাপদে পৌঁছে দেওয়া, ভোটারদের শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে ভোট প্রদানে সহায়তা, জাল ভোট প্রতিরোধ, প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা এবং সেনা, বিজিবি, র‍্যাব ও পুলিশের সঙ্গে দ্রুত সমন্বয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন জোনের অধিনায়ক এবং প্রশিক্ষণ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ