ভৈরবে দোকান ভাড়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ২০
Published: 12th, February 2025 GMT
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে দোকান ভাড়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারী-পুরুষসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে সিএনজি পাম্প, খাবার হোটেলসহ বেশ কয়েকটি দোকান ও বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়।
মঙ্গলবার রাত ৮টায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সিলেট বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌর শহরের রমজান মিয়ার বাড়ি ও আড়াই ব্যাপারি বাড়ির যুবকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ ঘটে। পরে থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর ভৈরব ক্যাম্পের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে শফিক মিয়া (৫০), অনিক মিয়া (২১), মানিক মিয়া (৪৫), ভট্টু মিয়া (৩৫), আব্দুল রহিম (১৬), রোকেয়া বেগম (৪৫), সুজন (৩৪), অনিক মিয়া (১৬), দিনার (২৭), শ্রাবন (২১), সোহাগ (৪০) ও নাদিম মিয়া (৩০) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।
গুরুতর আহত শফিক মিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া আহত আলমগীর মিয়া (৪০), কামাল মিয়া (৪৮), বিল্লাল মিয়া (৫০) ও মেহেদী (২৮) স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। গুরুতর আহত মেহেদীকে বাজিতপুরের জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পৌর শহরের ভৈরবপুর উত্তরপাড়া এলাকার আড়াই ব্যাপারি বাড়ির শফিক মিয়া সিলেট বাসস্ট্যান্ড এলাকার রমজান মিয়ার বাড়ি থেকে সজীব মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে দোকান ভাড়া দেন।
ভাড়ার মেয়াদ শেষ হলে সজীব মিয়ার চাচা ও ভাই নাদিম মিয়া নতুন করে ভাড়া দিতে বাধা দেন, যা নিয়ে প্রথমে বাকবিতণ্ডা হয়। শফিক মিয়া ঝগড়া থামানোর চেষ্টা করলে তিনিও বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
রাত ৯টার দিকে দুই পক্ষই দা, বল্লম, ইটপাটকেল ও লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ চলাকালে সিএনজি পাম্প, দুটি খাবার হোটেল, দোকান ও বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়।
সিএনজি পাম্প ম্যানেজার তুর্জয় মিয়া বলেন, আমরা পাম্পে বসে ছিলাম, হঠাৎ কিছু লোকজন এসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। আমাদের কোনো দোষ ছিল না, কিন্তু আমিও ইটের আঘাতে আহত হয়েছি।
রমজান মিয়ার বাড়ির বাসিন্দা বিল্লাল মিয়া বলেন, আমরা দোকান ভাড়ার বিষয় নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছিলাম। তখন শফিক মিয়া ও তার লোকজন এসে আমাদের ওপর হামলা চালায়।
অন্যদিকে আড়াই ব্যাপারি বাড়ির অনিক মিয়া বলেন, আমার বাবা শালিসি দরবারে গিয়ে ঝগড়া থামাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কামাল মিয়া, অনিক মিয়া ও দিনার মিয়া আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমার বাবাকে কুপিয়ে আহত করা হয়।
ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার ফুয়াদ রুহানী বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দুই পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ সংঘর্ষের ঘটনায় স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সাধারণ জনগণের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। দোকান ভাড়াকে কেন্দ্র করে এমন সহিংস ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। তারা দ্রুত প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ঘর ষ ক শ রগঞ জ আহত স ঘর ষ
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচনে জোরালো ভূমিকা পালন করবে আনসার: ডিজি
আসন্ন জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা জোরালো ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।
সোমবার (৩ নভেম্বর) জাতীয় নির্বাচনে আনসার-ভিডিপির ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তা মহড়া ও চতুর্থ ধাপের আনসার কোম্পানি প্লাটুন সদস্যদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেছেন বাহিনীর মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল আব্দুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ।
তিনি বলেছেন, আনসার সদস্যরা ভোট কেন্দ্রগুলোর প্রথম প্রতিরক্ষা স্তর হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তারা ভোট কেন্দ্রের অভ্যন্তরে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রের নিরাপত্তা এবং ভোটাধিকার প্রয়োগের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টিতে কাজ করবেন।
ডিজি আরো বলেন, সাধারণত নির্বাচনে প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে অস্ত্রধারী এবং অস্ত্রবিহীন নারী ও পুরুষ আনসার সদস্যদের সমন্বয়ে একটি দল মোতায়েন করা হয়। আনসার বাহিনী জনগণের নিরাপত্তা ও আস্থার প্রতীক হয়ে কাজ করবে এবং নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন নিশ্চিত করা হবে।তিনি
জানান, আনসার বাহিনী প্রথমবারের মতো ডিজিটাল মনিটরিং সিস্টেম চালু করেছে, যেখানে প্রতিটি সদস্য সদর দপ্তরের সঙ্গে ডিজিটাল সিস্টেমে যুক্ত থাকবেন।
ঢাকা/এমআর/রফিক