অপূর্ণাঙ্গ প্রশ্নে জাবির ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষা
Published: 12th, February 2025 GMT
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষার ‘এ’ ইউনিটের তৃতীয় শিফটের ভর্তি পরীক্ষার এক সেট প্রশ্নে চারটি প্রশ্ন কম থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টা ৫০ মিনিটে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) এ ইউনিটের তৃতীয় শিফটের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়। এ সময় অপূর্ণাঙ্গ প্রশ্নপত্র সরবরাহ করার অভিযোগ পাওয়া যায়।
পরীক্ষা শেষে একাধিক পরীক্ষার্থী জানান, পরীক্ষার মাঝপথে তারা প্রশ্নে নির্দিষ্ট প্রশ্নগুলোর সঠিক উত্তর বিকল্প না পেয়ে কর্তব্যরত শিক্ষকদের বিষয়টি জানান। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কিছু কক্ষে বোর্ডে প্রশ্নের অপশন লিখে দেওয়া হয়, আবার কিছু কক্ষে শিক্ষকরা মুখে বলে দেন।
এক পরীক্ষার্থী জানান, তাদের কক্ষে তিনটি প্রশ্নের বিকল্প বোর্ডে লেখা হয়। আর একটি প্রশ্নের বিকল্প মুখে বলে দেওয়া হয়। তবে অনেক কক্ষে শেষ মুহূর্তে প্রশ্নগুলোর বিকল্প জানানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদের ডিন মাহবুব কবির বলেন, “প্রিন্টিংয়ের ভুলের কারণে দুটি প্রশ্ন ছাপা হয়নি। তবে বিষয়টি নজরে আসার পর বিভিন্ন পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে আমাদের জানানো হয়। তখন আমরা সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্বরত শিক্ষকদের প্রশ্নগুলো বলে দিতে বলেছিলাম।”
অনেক কেন্দ্রে শেষ সময়ে প্রশ্ন জানানোর বিষয়ে তিনি বলেন, “এতগুলো পরীক্ষাকেন্দ্রে এত দ্রুত জানানো সম্ভব ছিল না। আমরা চেষ্টা করেছি, কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে দেরি হয়েছে।”
ঢাকা/আহসান/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ব কল প পর ক ষ র
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই ডকুমেন্টরিতে ‘ফুটেজ’ না থাকায় জাবি ছাত্রদল নেতার হট্টগোল
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে নির্মিত দেশের প্রথম স্মৃতিস্তম্ভ ‘অদম্য ২৪’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রচারিত ডকুমেন্টরিতে ফুটেজ না থাকায় এক ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে হট্টগোল করা অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ৩৯তম ব্যাচের (২০০৯-১০ সেশন) সাবেক শিক্ষার্থী এবং শাখা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বিকেল ৬টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন ফজিলাতুন্নেসা হলের সামনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ডকুমেন্টরি প্রদর্শন শেষে এ হট্টগোল করেন তিনি।
আরো পড়ুন:
জুলাই শহীদ পরিবারদের সংবর্ধনা দিল জাবি
জুলাই শহীদদের স্মরণে জাবি ছাত্রদলের বৃক্ষরোপণ
এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অন্তবর্তীকালীন সরকারের শিল্প, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
ডকুমেন্টরি প্রদর্শন শেষে ওই ছাত্রদল নেতা উত্তেজিত কণ্ঠে বলতে থাকেন, “এই ডকুমেন্টরিতে ইতিহাস বিকৃতি করা হয়েছে। ডকুমেন্টরিতে ছাত্রদলের অবদানকে অস্বীকার করা হয়েছে। আমরাও আন্দোলন মাঠে ছিলাম, জেল-জুলুম, মামলা আমরাও খেয়েছি।”
এ সময় তার সঙ্গে শাখা ছাত্রদলের বর্তমান কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক রোমান রাশিদুল ও হাসান শাহরিয়ার রমিমকেও হট্টগোল করতে দেখা যায়।
অনুষ্ঠানের আয়োজকরা জানান, ডকুমেন্টরি নির্মাণের জন্য তাদের দুইদিন সময় দেওয়া হয়েছিল। এই সময়ের মধ্যে একটি মাত্র ক্যামেরা দিয়ে ২৫ থেকে ৩০ জনের ইন্টারভিউ নেওয়া খুবই কষ্টসাধ্য কাজ ছিল। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে পর্যাপ্ত ইকুইপমেন্ট ও সময় না পাওয়ায় তাদের পূর্ণাঙ্গ ডকুমেন্টরি নির্মাণ কাজ বাধাগ্রস্ত হয়েছে।
তবে এ ঘটনার পেছনে বিশ্ববিদ্যালয়ের গাণিতিক ও পদার্থবিষয়ক অনুষদের এক প্রভাবশালী শিক্ষকের হাত রয়েছে বলে জানিয়েছেন একাধিক শিক্ষক।
তারা জানান, ডকুমেন্টরি নির্মাণের পূর্বে তারা জুলাই আন্দোলনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব ছবি ও ভিডিও ফুটেজ চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সব পাবলিক ফেসবুক গ্রুপে পোস্ট করেছিলেন। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীদের পাঠানো ও সাংবাদিকদের থেকে সংগৃহীত ছবি ও ফুটেজ দিয়ে ডকুমেন্টরি নির্মাণ করা হয়েছে। যে ব্যক্তি দাবি করেছেন তার ছবি বা ফুটেজ দেয়া হয়নি, তার ছবি বা ফুটেজ তাদের কাছে কেউ দেয়নি। এজন্য তারা ডকুমেন্টরিতে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেননি?
এ নিয়ে জাবি উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, “আজ যে একটা বিশেষ পরিস্থিতি দেখেছি, এটাও জাহাঙ্গীরনগরের বৈশিষ্ট্য, এটাও ২৪ এর অর্জন। খারাপভাবে দেখার প্রয়োজন নেই। প্রত্যেকটি কাজের মধ্যে ভুল থাকতে পারে, এখানে শিক্ষার বিষয় রয়েছে। ঠিক একইসঙ্গে প্রতিবাদের যে ভাষা, সেখানেও শিক্ষিত হবার প্রয়োজন রয়েছে।”
তিনি বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে সমালোচনা ও কুৎসার পার্থক্য শিখবে। একইসঙ্গে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশংসা ও পূজার পার্থক্য শিখবে ও বুঝবে।”
ঢাকা/আহসান/মেহেদী