শান্ত-মারিয়াম ফাউন্ডেশন ডে উদ্যাপন
Published: 13th, February 2025 GMT
প্রতিবছরের মতো এবারও গত মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) উৎসাহ-উদ্দীপনা ও নানা আয়োজনে শান্ত-মারিয়াম ফাউন্ডেশন ডে-২৫ উদ্যাপন করা হয়েছে। একই সঙ্গে শান্ত-মারিয়াম ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান প্রয়াত ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইমামুল কবীর শান্ত’র ৭৩তম জন্মদিন উদ্যাপন করা হয়। ৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর উত্তরায় ক্রিয়েটিভ দ্য আর্ট গ্যালারিতে প্রিয় প্রতিষ্ঠাতার প্রায় ১০০ রকমারি পোর্ট্রেট নিয়ে চিত্র প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে শুরু হয় এ অনুষ্ঠান। পরদিন ১০ ফেব্রুয়ারি সকালে উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরে ‘ইমামুল কবীর শান্ত স্মৃতি মিউজিয়াম’ পরিদর্শন ও বিকেলে শ্যামলবাগ, উত্তরখানে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা মো.
শান্ত-মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পায়রা অবমুক্ত, শান্ত-মারিয়াম একাডেমির শিশু-কিশোরদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, জন্মদিনের কেক কাটা ও প্রিয় প্রতিষ্ঠাতার স্মরণে স্মৃতিচারণামূলক আলোচনা ও বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দিনটি উদ্যাপন করা হয়। ফিতা কেটে বিভিন্ন পর্বের অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ও আলোচনায় অংশ নেন শান্ত-মারিয়াম ফাউন্ডেশন ও সুন্দরবন কুরিয়ারের চেয়ারম্যান আহসানুল কবির, শান্ত-মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান চিত্রশিল্পী অধ্যাপক মোস্তাফিজুল হক, উপাচার্য অধ্যাপক মো. শাহ-ই-আলম, ইব্রাহিম কার্ডিয়াক সেন্টার ও রিসার্চ সেন্টারের অধ্যাপক এম এ রশিদ ও সাহিত্যিক অধ্যাপক সৈয়দ আজিজুল হক।
আরও পড়ুনষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির প্রশ্নের ধরন, নম্বর বিভাজন ও মূল্যায়ন নির্দেশিকা প্রকাশ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য, ট্রেজারার, ডিন, রেজিস্ট্রার, শিক্ষক ও কর্মকর্তা এবং সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস প্রাইভেট লিমিটেডের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। দিবসটি উপলক্ষে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং মসজিদ ও মাদ্রাসায় পবিত্র কোরআন খতম করে দোয়া পরিচালনা ও বিভিন্ন দৈনিকে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তি
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশের জেল থেকে মুক্তি পেয়ে ভারতে ফিরেছেন ৪৭ মৎস্যজীবী
তিন মাসের বেশি সময় বাংলাদেশের জেলে বন্দি থাকার পর অবশেষে মুক্তি পেয়ে ভারতে ফিরেছেন ৪৭ জন মৎস্যজীবী। সোমবার বিকেলে গভীর সাগরে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড তাদেরকে ভারতীয় কোস্ট গার্ডের হাতে তুলে দেয়। এসময় ভারতের জেলে আটক থাকা ৩২ বাংলাদেশি মৎজীবীকেও ফিরিয়ে দেয় ভারতীয় কোস্টগার্ড।
সোমবার বিকালের পরে আন্তর্জাতিক জলসীমানায় দুই দেশের মৎস্যজীবীদের হস্তান্তর প্রক্রিয়া চলে। দু’দেশের হাইকমিশনের আলোচনার ভিত্তিতে এই বন্দিদের নিজেদের দেশে ফেরানো হয়। এদিকে ‘এফবি মা মঙ্গলচণ্ডী-৩৮’, ‘এফবি ঝড়’ এবং ‘এফবি পারমিতা’ নামক তিনটি ট্রলারও ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই তিন ট্রলারে থাকা ৪৮ জন ভারতীয়ের মধ্যে এক জনের মৃত্যু হয় বিচারাধীন অবস্থায়। ওই মৎস্যজীবীর কফিনবন্দি দেহ আগেই দেশে ফিরেছে। এবার মুক্তি মিলল বাকি ৪৭ জনের।
যারা ছাড়া পেয়েছেন তাদের সিংহভাগেরই বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কাকদ্বীপে। বুধবার দুপুরে মুক্তি পাওয়া ভারতীয় মৎস্যজীবীদের নিয়ে আসা হয় দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফ্রেজারগঞ্জ উপকূল থানাতে। এদের সবার বিরুদ্ধেই ছিল ভারত–বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক জলসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগ। দীর্ঘদিন পর তাদের ফিরে পেয়ে খুশি পরিবারের সদস্যরা।
একইভাবে ভারতের এলাকায় ঢুকে মাছ ধরার দায়ে আটক করা হয়েছিল বাংলাদেশি ট্রলার ‘বাবার আশীর্বাদ’ ও ‘মায়ের দোয়া।’ তাতে থাকা ৩২ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীরও মুক্তি মিলেছে।
সুন্দরবন সামুদ্রিক মৎস্যজীবী শ্রমিক সংগঠনের সম্পাদক সতীনাথ পাত্র জানান, দুই দেশের উপকূলরক্ষী বাহিনী আন্তর্জাতিক সমুদ্র সীমারেখায় (আইএমবিএল) ওই ৭৯ জন মৎস্যজীবীকে প্রত্যর্পণ করেছে। দু’দেশের এই বন্দি প্রত্যর্পণ দ্রুত সম্ভব হয়েছে বাংলাদেশ ও ভারতীয় হাইকমিশনের তৎপরতায়। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকারও মৎস্যজীবীদের দ্রুত মুক্তির বিষয়ে উদ্যোগ নেয়। গোটা প্রক্রিয়ায় সমস্ত পক্ষের সঙ্গে সুন্দরবন সামুদ্রিক মৎস্যজীবী শ্রমিক সংগঠন যোগাযোগ রক্ষা করে চলছিল।
ঢাকা/সুচরিতা/শাহেদ