তৃপ্তি নন, ‘আশিকি ৩’-এ দেখা যাবে এই দক্ষিণি নায়িকাকে
Published: 16th, February 2025 GMT
আগেই জানা গিয়েছিল, অনুরাগ বসুর নতুন সিনেমায় দেখা যাবে কার্তিক আরিয়ানকে। পরে জানা যায়, ‘আশিকি’র সিকুয়েল হবে ছবিটি। এই ছবিতে জুটি হয়ে আসবেন কার্তিক আরিয়ান ও তৃপ্তি দিমরিতে। গত বছর কার্তিক ও তৃপ্তি জুটির ‘ভুলভুলাইয়া ৩’ সুপার হিট, তাই এই জুটির নতুন সিনেমা দেখতে মুখিয়ে ছিলেন দর্শকেরা। নতুন খবর, তৃপ্তি নন, এ ছবিতে থাকছেন হালের এক আলোচিত দক্ষিণি অভিনেত্রী। খবর ফিল্মফেয়ারের
গত বছর মুক্তি পাওয়া ‘পুষ্পা ২’-এর আইটেম গান ‘কিসিক গার্ল’-এ হাজির হয়ে ঝড় তুলেছিলেন দক্ষিণি কন্যা শ্রীলীলা। এবার তাঁকে দেখা যাবে হিন্দি সিনেমায়, ‘আশিকি ৩’ ছবিতে তিনিই হচ্ছেন কার্তিকের জুটি।
এলোমেলো চুল, একমুখ দাড়ি-গোঁফ, হাতে গিটার। আলো-আঁধারিতে কার্তিক গেয়ে উঠেছেন ভীষণ চেনা গান, ‘তু মেরি জিন্দেগি হ্যায়’। ছবির প্রথম ঝলকে কোথাও ছবির নাম লেখা নেই! গানে গানে কার্তিক জানিয়েছেন, ‘তুহি প্যায়ার তুহি চাহত.
এই একটি ঝলক এত দিন ধরে চলতে থাকা গুঞ্জনে ইতি টেনেছে। এর আগে শোনা যাচ্ছিল, অনুরাগের নাকি তৃপ্তিকে পছন্দ।
শ্রীলীলা। ইনস্টাগ্রাম থেকেউৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ভারতের ৬ প্রতিষ্ঠানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা
ইরান থেকে তেল ও পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য কেনার অভিযোগে ৬টি ভারতীয় কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, বিশ্বজুড়ে মোট ২০টি প্রতিষ্ঠানকে এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে, যাদের মধ্যে ভারতের ৬টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা এসব প্রতিষ্ঠান ইরানের পেট্রোলিয়াম পণ্য কেনাবেচা ও বিপণনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ লেনদেনে ইচ্ছাকৃতভাবে অংশ নিয়েছে। এতে তারা যুক্তরাষ্ট্রের ইরানবিষয়ক নিষেধাজ্ঞা ভেঙেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, যেসব ভারতীয় কোম্পানির ওপর মার্কিন সরকার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সেগুলো হচ্ছে, অ্যালকেমিক্যাল সলিউশনস, গ্লোবাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল কেমিক্যালস, জুপিটার ডাই কেম, রমনিকলাল এস গোসালিয়া অ্যান্ড কোম্পানি, পার্সিসটেন্ট পেট্রোকেম ও কাঞ্চন পলিমার্স।
আরো পড়ুন:
পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্নের ঘোষণা ট্রাম্পের
ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি ট্রাম্পের
নিষেধাজ্ঞার ফলে এসব প্রতিষ্ঠানের যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সম্পদ জব্দ করা হবে এবং মার্কিন নাগরিক ও কোম্পানিগুলো তাদের সঙ্গে ব্যবসা করতে পারবে না। এদের অধীন যেসব সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ৫০ শতাংশ বা তার বেশি মালিকানা রয়েছে, তারাও নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে।
ট্রাম্প প্রশাসন বলেছে, এই পদক্ষেপের লক্ষ্য ইরানের ‘ছায়া নৌবহর’ ও বিশ্বব্যাপী মধ্যস্বত্বভোগীদের দমন করা, যারা ইরানি তেল ও পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য পরিবহনে সহায়তা করে থাকে।
যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ইরান থেকে এই ধরনের পণ্য কেনার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলো তেহরানকে অতিরিক্ত তহবিল সংগ্রহের সুযোগ করে দিচ্ছে। আর এই অর্থ ব্যবহার করা হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে হিজবুল্লাহ, হুথি বিদ্রোহী, হামাসসহ অন্যান্য জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর সহায়তায় এবং যুদ্ধপরিস্থিতি উসকে দিতে। মার্কিন সরকারের মতে, ইরান সরকারের এই নীতিমালার কারণে গোটা মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতা ছড়িয়ে পড়ছে এবং এতে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ছে।
ট্রাম্প প্রশাসন ভারতীয় কোম্পানি ছাড়াও তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, চীন ও ইন্দোনেশিয়ার কিছু প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
ঢাকা/ফিরোজ