ফরিদপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত এক যুবক নিহত হয়েছেন। এসময় দুর্ঘটনা দেখতে গিয়ে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে গুরুতর আহত হয়েছেন আরও এক যুবক।

সোমবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ফরিদপুর শহরের বায়তুল আমান এলাকায় রাজবাড়ী থেকে ভাঙ্গাগামী লোকাল ট্রেনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

তবে নিহত ওই যুবকের মৃত্যুর বিষয়টি দুর্ঘটনা না আত্মহত্যা সেটি নিশ্চিত জানা যায়নি। নিহতের নাম পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি। 

স্থানীয় বাসিন্দা শান্ত পাট্টাদার বলেন, সকালে তিনি ওই যুবককে রেললাইনের উপর বসে থাকতে দেখে তাকে সেখানে না বসে পাশের দোকানে এসে বসতে বলেন। তাতেও তিনি কর্ণপাত না করলে ট্রেন চলে আসার পর রেল লাইনের পাশে তার শরীরের বিচ্ছিন্ন অংশগুলো রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। 

খবর পেয়ে স্থানীয় পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। এ সময় দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেনের যাত্রী আফিফ আল আবির (২০) ঘটনাটি দেখতে ট্রেনের দরজার হাতল দিয়ে মুখ বাড়িয়ে উঁকি দেওয়ার সময় চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে যান। গুরুতর আহত আফিফকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

রাজবাড়ী রেলওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.

সিদ্দিকুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ দুর্ঘটনার কারণ তদন্ত শুরু করেছে। তবে নিহত ব্যক্তির পরিচয় জানতে এবং দুর্ঘটনা রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কাজ করছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: দ র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ