‘এবারের ইলেকশন একেবারে ফেয়ার হবে’
Published: 17th, February 2025 GMT
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, “আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় শিক্ষকদের সম্মান দিতে হবে। আমাদের অনেক রাজনৈতিক নেতৃত্ব আছেন, যারা অনেক সময় শিক্ষকদের তেমন সম্মান দিতে চান না।”
তিনি বলেন, “শিক্ষকরা যখন নির্বাচনকালীন সময়ে প্রিজাইডিং অফিসার বা সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তখন রাজনৈতিক ব্যক্তিরা তাদের পেছনে ছোটেন বিশেষ সুবিধার জন্য। এবারের ইলেকশন একেবারে ফেয়ার হবে। কেউ বিশেষ সুবিধা পাবে না।”
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার ইছাপুরা সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আরো পড়ুন:
খাদ্যশষ্য চোরাচালান রোধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ খাদ্য উপদেষ্টার
গাজীপুরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
অপারেশন ডেভিল হান্টে আশানুরূপ অস্ত্র উদ্ধার হয়নি
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “খেলাধুলার চর্চা অব্যাহত রাখতে হবে। খেলাধুলা চর্চা অব্যাহত থাকলে বদ অভ্যাস দূর হয়ে যাবে।”
শিক্ষকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “শিক্ষার ক্ষেত্রে কোনো কম্প্রোমাইজ নয়। প্রাইভেট পড়ার প্রচলন কমিয়ে আনতে হবে। এখন মনে হয় পরীক্ষায় ফেইল করা ডিফিকাল্ট (কঠিন)। শিক্ষার এমন সিস্টেম সবাই দেখি পাস। জিপিএ’র অভাব নেই।”
অনুষ্ঠানে মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শামসুল আলম সরকারসহ ইছাপুরা সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/রতন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনার ফুটপাত পথচারীদের নয়, হকারদের দখলে
খুলনা নগরের প্রধান সড়ক ও ফুটপাত এখন পথচারীদের নয়, হকারদের দখলে। ডাকবাংলা থেকে বড়বাজার পর্যন্ত নগরের প্রধান ব্যবসাকেন্দ্রজুড়ে ফুটপাতের ওপর চলছে অস্থায়ী দোকানপাট, পণ্যের পসরা আর ক্রেতাদের ভিড়। ফলে পথচারীদের হাঁটার জায়গা নেই, স্থায়ী দোকানের ব্যবসায়ীরা হারাচ্ছেন ক্রেতা, হচ্ছেন ক্ষতিগ্রস্ত।
ডাকবাংলা এলাকা খুলনা নগরের বাণিজ্যিক প্রাণকেন্দ্র। এখানে ডাকবাংলা সুপারমার্কেট, রেলওয়ে মার্কেট, খুলনা বিপণিবিতান, দরবেশ চেম্বার, শহীদ সোহরাওয়ার্দী বিপণিবিতান, কাজী নজরুল ইসলাম মার্কেট, মশিউর রহমান মার্কেটসহ বড় শপিং কমপ্লেক্স আছে। মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষের অন্যতম বাজার এটি। কিন্তু এখন এর পুরো এলাকার ফুটপাত দখল হয়ে গেছে ভাসমান ব্যবসায়ীদের হাতে।
হকারদের ভিড়ে দোকান দেখা যায় নাসম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, ডাকবাংলা মোড় থেকে ক্লে রোড পর্যন্ত ফুটপাতে মালামাল সাজিয়ে বসেছেন হকাররা। স্থায়ী দোকানদাররাও নিজেদের দোকানের সামনের জায়গা দখল করে ব্যবসা করছেন। ভ্যানে করে জামাকাপড়, ফল, গৃহস্থালির পণ্য বিক্রি হচ্ছে ফুটপাতের পর এখন রাস্তার অর্ধেকজুড়ে। পুরোনো যশোর রোড, সদর থানা মোড়, কেডি ঘোষ রোড থেকে হেলাতলা পর্যন্ত একই চিত্র। খালিশপুর চিত্রালি বাজার ও দৌলতপুর বাজারেও ফুটপাতের ওপর খাট বসিয়ে চালা তুলে ব্যবসা চলছে। ফলে পথচারীদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে প্রতিদিন।
খালিশপুর চিত্রালি বাজারের দোকান ব্যবস্থাপক মো. আসাদ বলেন, ‘হকারদের কারণে বাইরে থেকে আমাদের দোকান দেখা যায় না। তাদের ব্যবসা জমজমাট, কিন্তু আমাদের বিক্রি কমে গেছে। সিসিটিভি ক্যামেরাগুলোও ঢেকে গেছে অস্থায়ী দোকানে।’
খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) সূত্রে জানা গেছে, নগরের আয়তন ৪৬ বর্গকিলোমিটার, পাকা সড়ক ৬৪১ কিলোমিটার। ফুটপাতের সঠিক হিসাব না থাকলেও অন্তত ২৫ কিলোমিটার ফুটপাত হকারদের দখলে। চলতি বছরে ১২ দিনের মতো উচ্ছেদ অভিযান চালানো হলেও কয়েক দিনের মধ্যেই ফের দখল হয়ে যায়।
কেসিসির সম্পত্তিবিষয়ক কর্মকর্তা গাজী সালাউদ্দীন বলেন, ‘আমরা নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছি। কিন্তু নাগরিক সমাজ, ব্যবসায়ী নেতা ও প্রশাসন সবাই একসঙ্গে উদ্যোগ না নিলে এটি বন্ধ হবে না। অনেকে নিজের দোকানের সামনের ফুটপাতও ভাড়া দেন হকারদের। সহযোগিতা না পেলে একা আমাদের কিছু করার নেই।’
পথচারীদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সম্প্রতি তোলা