সুন্দরবনে আবারও বাঘের দেখা পেলেন দর্শনার্থীরা
Published: 19th, February 2025 GMT
সুন্দরবনে ঘুরতে গিয়ে আবারও বাঘের দেখা পেয়েছেন একদল পর্যটক। মঙ্গলবার সকালে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের বড় কটকা খালে বাঘটিকে সাতরাতে দেখা যায়।
পর্যটকবাহী জলযান দ্য সেইল বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন সুন্দরবনের বড়কটকা খাল দিয়ে যাওয়ার সময় পাশ দিয়ে বাঘটি ওই খাল পার হচ্ছিল। খালে পার হয়ে বাঘটি বনের গহীনে চলে যায়।
সুন্দরবনের অভ্যন্তরে বাঘ দেখার ওই মুহূর্ত উচ্ছ্বাস আর উত্তেজনায় কেটেছে জাহাজের সব পর্যটক ও কর্মীদের। এসময় যে যার মতো করে ছবি তোলেন এবং ভিডিও ধারণ করেন।
ওই জলযানে সুন্দরবন ভ্রমণে যাওয়া পশুর রিভার ওয়াটার কিপার মো.
তিনি আরও বলেন, গত ২৫ বছর ধরে আমি সুন্দরবনে আসি। প্রতি বছরই একাধিক বার আসা হয়। তবে এবারই প্রথম বনের মাঝে সামনাসামনি এমন বাঘ দেখার সৌভাগ্য হলো। এই মুহূর্তের অনুভূতি বলে বোঝানো যাবে না।
ওই জাহাজে থাকা ওয়াটার কিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়ক শরীফ জামিল নিজের মুঠোফোনে ধারণ করা একটি ভিডিও নিজের সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করে লিখেন, ‘বিশাল আকারের রয়েল বেঙ্গল টাইগার দেখার বিরল অভিজ্ঞতা। ... সুন্দরবন বাঁচাও, বাংলার বাঘ বাঁচাও।’
এক মাস আগে গত ১৯ জানুয়ারি সুন্দরবনের কটকা অভয়ারণ্যের বেতমোড় এলাকার নদীর পাশে একই জায়গায় তিনটি বাঘের দেখা পান পর্যটকবাহী জলযান এমভি আলাস্কা’র একদল পর্যটক। সে সময় একটি বাঘকে অপর দুটি বাঘ আক্রমণ করে প্রথমে নদীতে ফেলে দেয়। সে সময়কার বাঘের বেশ কিছু ছবি, ভিডিও ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সুন্দরবনে অস্ত্রসহ বনদস্যু আটক
সুন্দরবনে মো. বিল্লাল হোসেন (৩৩) নামের এক বনদস্যুকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড। এ সময় তার কাছ থেকে একটি একনলা বন্দুক ও পাঁচ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।
রবিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সুন্দরবনের শিবসা ফরেস্ট অফিস-সংলগ্ন মুচির দোয়ানি এলাকায় বনের ভিতরে অভিযান চালিয়ে বিল্লালকে আটক করা হয়। বিল্লাল আনারুল বাহিনীর সদস্য। তার বাড়ি খুলনার কয়রা উপজেলায়।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) সকালে কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, সুন্দরবনের শিবসা ফরেস্ট অফিস-সংলগ্ন মুচির দোয়ানি এলাকায় বনদস্যু আনারুল বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান করছেন, এমন সংবাদের ভিত্তিতে ওই এলাকায় অভিযান চালানো হয়। কোস্ট গার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে দস্যুরা বনের ভেতরে পালিয়ে যায়। পরে বনের ভিতরে অভিযান চালিয়ে মো. বিল্লাল হোসেনকে আটক করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে বিল্লাল হোসেন জানিয়েছেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে সুন্দরবনে ডাকাতির সঙ্গে জড়িত। আনারুল বাহিনীর সদস্যদের অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করতেন তিনি।
বিল্লালের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে খুলনার দাকোপ থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
ঢাকা/শহিদুল/রফিক