আন্তর্জাতিক সংস্থায় চাকরি, বেতন বছরে ২৪ লাখ ৩৯ হাজার
Published: 20th, February 2025 GMT
কানাডাভিত্তিক আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা নিউট্রিশন ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। সংস্থাটি বাংলাদেশে লার্জ স্কেল ফুড ফর্টিফিকেশন (এলএসএফএফ) প্রোগ্রামে ন্যাশনাল প্রোগ্রাম ম্যানেজার পদে কর্মকর্তা নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।
পদের নাম: ন্যাশনাল প্রোগ্রাম ম্যানেজার-এলএসএফএফ, বাংলাদেশপদসংখ্যা: ১
যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাবলিক হেলথ/ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট/পাবলিক পলিসি বা এ ধরনের বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে। এর সঙ্গে ফুড টেকনোলজি, ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে ডিগ্রি থাকলে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা/সরকারি প্রতিষ্ঠান বা কোনো আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থায় পাবলিক হেলথে ৮ থেকে ১০ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। ফুড ফর্টিফিকেশনে কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় সাবলীল হতে হবে। যোগাযোগে দক্ষ হতে হবে। নেতৃত্বের সক্ষমতা থাকতে হবে। উপস্থাপনা ও সমস্যা সমাধানে পারদর্শী হতে হবে। এমএস ওয়ার্ড, এক্সেল ও পাওয়ার পয়েন্টের কাজ জানা বাধ্যতামূলক। দেশ-বিদেশে ভ্রমণের মানসিকতা থাকতে হবে।
চাকরির ধরন: ফুলটাইম
কর্মস্থল: ঢাকা
বেতন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা: বছরে বেতন ২৪ লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৪ টাকা। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সুবিধা, সরকারি ছুটি ছাড়াও চার সপ্তাহের ছুটির ব্যবস্থা আছে।
আরও পড়ুনবিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসে সংশোধিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, পদ ১২২১ ঘণ্টা আগেআবেদন যেভাবেআগ্রহী প্রার্থীদের এই লিংক থেকে নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জেনে APPLY NOW বাটনে ক্লিক করে আবেদন করতে হবে।
আবেদনের শেষ সময়: ৯ মার্চ ২০২৫।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
৫ আগস্টের মধ্যে জুলাই সনদ না হলে অবরোধের হুঁশিয়ারি আপ বাংলাদেশের
জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র জারির দাবিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে ইউনাইটেড পিপলস (আপ) বাংলাদেশ। আজ শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগে গণজমায়েত থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। দাবি পূরণ না হলে ৬ আগস্ট থেকে দেশজুড়ে অবরোধ কর্মসূচি পালনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংগঠনটি।
‘৩৬ জুলাইয়ের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র ও সনদের দাবি’ শীর্ষক গণজমায়েতে অংশ নেন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা আপ বাংলাদেশের নেতা–কর্মীরা। জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের এক বছর পার হলেও জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র জারি না হওয়াকে অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতা হিসেবে দেখছেন তাঁরা।
আপ বাংলাদেশের আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ বলেন, ‘আমরা একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ চেয়েছিলাম। কিন্তু আহতদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। আমরা দেখেছি, যারা জুলাইয়ের নেতৃত্বে ছিল, জুলাইয়ের পরে তাদের পকেট ভারী হয়েছে। আমি বলতে চাই, আপনাদের এই পকেটের হিসাব দিতে হবে।’
অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে আলী আহসান বলেন, ‘আপনারা জুলাই ঘোষণাপত্র দিতে পারবেন কি পারবেন না, তা জানান; না পারলে আমরা আছি। যারা জীবন দিতে প্রস্তুত ছিলাম, বাংলাদেশের (সেই) ২০ কোটি জনগণ জুলাই ঘোষণাপত্র জারি করবে।’
আপ বাংলাদেশের আহ্বায়ক বলেন, ‘৩৬ জুলাইয়ের মধ্যে যদি জুলাই ঘোষণাপত্র না হয়, তাহলে ৬ আগস্ট থেকে দেশজুড়ে অবরোধ শুরু হবে। এ সরকারের কোনো হুমকি আমাদের দমিয়ে রাখতে পারবে না।’
গণজমায়েতে অংশ নিয়ে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান বলেন, আপ বাংলাদেশের নেতারা এখনো কোনো প্রটোকল ছাড়া রাস্তাঘাটে হাঁটেন। কিন্তু তাঁরা যেদিন প্রটোকল নিতে শুরু করবেন, সেদিন থেকে তাঁদের বিরুদ্ধেও তিনি কথা বলা শুরু করবেন।
জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র জারির আহ্বান জানিয়ে শরীফ ওসমান বলেন, এখন পর্যন্ত বিদ্যমান আইনি কাঠামোয় জুলাই শহীদেরা রাষ্ট্রদ্রোহী। তাঁদেরকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। আজকের মধ্যে সরকার দিনক্ষণ না জানালে আগামী ৩ তারিখ (আগস্ট) ইনকিলাব মঞ্চের উদ্যোগে কফিন মিছিল নিয়ে সচিবালয় অবরোধ করা হবে।
বিগত এক বছর থেকে একটি দুর্বল সরকার দেশ চালাচ্ছে উল্লেখ করে আপ বাংলাদেশের সদস্যসচিব আরেফিন মোহাম্মদ বলেন, ‘জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তিতে ঘোষণাপত্রের জন্য আমাদের আবারও গণজমায়েত করতে হচ্ছে। এর চেয়ে লজ্জাজনক আর কী হতে পারে?’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এ বি জুবায়ের বলেন, ‘আমরা যে মৌলিক সংস্কার চেয়েছিলাম, এখনো তার কিছুই হয়নি। এখনো শহীদ পরিবারের পুনর্বাসন ও আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত হয়নি। আমি উপদেষ্টাদের উদ্দেশে বলতে চাই, অবিলম্বে জুলাই সনদ ঘোষণা করুন। আপনাদের কাছে আমাদের চাওয়া–পাওয়া খুব বেশি নেই।’
গণজমায়েতে র্যাপ গান পরিবেশন করেন আপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য আহনাফ তাহমিদ। স্বাগত বক্তব্য দেন জুলাই শহীদ ওসমান পাটোয়ারীর বাবা আবদুর রহমান। গণজমায়েতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন আপ বাংলাদেশের প্রধান সমন্বয়কারী রাফে সালমান রিফাত, প্রধান সংগঠক নাঈম আহমেদ, মুখপাত্র শাহরিন সুলতানা প্রমুখ।