বাংলা বর্ণে, রঙে, গানে আনন্দময় সময়
Published: 22nd, February 2025 GMT
‘ভালোবাসি বাংলা ভাষা’বিষয়ক বিশেষ অনুষ্ঠানে শিশু–কিশোরদের রং–তুলিতে ফুটে উঠল বাংলার রূপ। কত সুন্দর করে বাংলা বর্ণ লেখা যায়, সেই প্রতিযোগিতায়ও মেতে ওঠে ওরা। তাদের সমবেত কণ্ঠে পরিবেশিত হলো প্রিয় জন্মভূমির বন্দনা। বাংলার জাদু, রোবট শোতেও মাতোয়ারা হয়েছে এই শিশু–কিশোরেরা।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ‘ভালোবাসি বাংলা ভাষা’ শীর্ষক বিশেষ অনুষ্ঠানে এমন বৈচিত্র্যময় আয়োজন ছিল। গতকাল শনিবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এমন নানা আয়োজনে বাংলা ভাষা ও বাংলার রূপ–রং–সুরে মেতেছিল শিশু–কিশোর, অভিভাবক ও দর্শনার্থীরা।
ঢাকার মাদানী অ্যাভিনিউর শেফস টেবিল কোর্ট সাইডে প্রথমা বুক ক্যাফেতে এই অনুষ্ঠান হয়। শেফস টেবিলের সহযোগিতায় এর আয়োজন করে প্রথমা বুক ক্যাফে শিশু-কিশোর কর্নার (কিডস জোন)।
জাদুশিল্পী জুয়েল আইচ বেলা দুইটায় এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘ঘৃণা থেকে কোনো কিছু সৃষ্টি হয় না, ধ্বংস হয়। পৃথিবী থেকে যা কিছু সৃষ্টি হয়, সবকিছুই হয় ভালোবাসা থেকে। মাতৃভাষার প্রতি ভালোবাসা ছিল বলেই ১৯৫২-এর ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষাসৈনিকেরা নিজেদের জীবন দিয়ে হলেও বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে গেছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত আমরা বাংলা ভাষার প্রতি ঋণী, কৃতজ্ঞ। এই ঋণ আমাদের কোনো দিন শেষ হবে না।’ নিজের ভাষাকে ভালো করে জানলে অন্য ভাষাও খুব সহজে আয়ত্ত করা যায়, বলেন এই জাদুশিল্পী।
উদ্বোধনের পর ৩৫ জনের বেশি শিশু-কিশোরের অংশগ্রহণে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা শুরু হয়। যখন তারা অঙ্কনে ব্যস্ত, তখন আকাশ মেঘলা, হালকা বাতাসও বইছিল। এক মনোরম, উপভোগ্য পরিবেশের সৃষ্টি হয়। অবশ্য এক পর্যায়ে বৃষ্টি শুরু হয়, তাতে প্রতিযোগিতায় কিছুটা ব্যাঘাত ঘটলেও তা চলমান থাকে। এরপর অনুষ্ঠিত হয় শিশু–কিশোরদের হাতের লেখা প্রতিযোগিতা। এই দুই প্রতিযোগিতায় মোট ১২ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক সুমনা শারমীন।
‘ভালোবাসি বাংলা ভাষা’ শীর্ষক আয়োজনে অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীরা.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫