রাবিতে ধর্ষকদের মৃত্যুদণ্ড দাবি
Published: 24th, February 2025 GMT
সারাদেশে নারীর উপর ধর্ষণ, সহিংসতা এবং নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা চত্বরে তারা এ সমাবেশ করেন। এ সময় তারা সাত দফা দাবি জানান।
দাবিগুলো হলো- সকল ধর্ষণ, শারীরিক হেনস্থা ও সামাজিক লাঞ্চনার বিচার; নাগরিক নিরাপত্তার নিশ্চয়তা করতে হবে; ইন্টেরিমের জবাবদিহিতা করতে হবে; স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীরের পদত্যাগ করতে হবে; ধর্ষণ আইনে ধর্ষকের জামিন বাতিল; মব থেকে নারীর সামাজিক নিরাপত্তা; আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অকার্যকারতা নির্মূল করে দেশে চলমান নৈরাজ্যের অবসান করতে হবে।
আরো পড়ুন:
যৌন হেনস্তা: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষক বরখাস্ত
ক্রিকেট খেলা নিয়ে রাবিতে সংঘর্ষ, শিক্ষকসহ আহত ২০
সমাবেশে তারা ‘নারীর নয় সমাজের পোশাক বদলাও’, ‘ধর্ষকের নাম-ধাম প্রকাশ কর লজ্জা দাও’, ‘বোধ নয় বোধ জাগ্রত করুন’, ‘ব্যবস্থা নে হারামজাদা নইলে সংস্কার চিবিয়ে খাবো’, ‘ইন্টেরিম বিচার চাই’, ‘সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্ষণবিরোধী সেল কার্যকর কর’, ‘ধর্ষকের জামিন ক্যানো?’ ইত্যাদি লেখা প্লে-কার্ড প্রদর্শন করেন।
সমাবেশে ইংরেজি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোনালিসা মুজিব মিম বলেন, “বর্তমানে বাংলাদেশে ধর্ষণের মাত্রা অনেক বেড়ে গেছে। এ রকম ঘটনা বারবার হওয়ার কারণ, আমাদের দেশে ধর্ষণের দৃষ্টান্ত কোন শাস্তি নেই।”
তিনি বলেন, “আমাদের দেশে যদি এমন কোন শাস্তি থাকতো, যেটা মানুষের মধ্যে নাড়া দিত, তখন একটা মানুষ ধর্ষণ করার আগে দ্বিতীয়বার ভাবত। যদি শাস্তি হিসেবে প্রকাশ্যে মৃত্যুদন্ড বা যৌনাঙ্গ কর্তন করার বিধান থাকলে কেউ ধর্ষক হওয়ার সাহস পেত না।”
শিক্ষার্থী সৌমিত কুমার বলেন, “দেশের মানুষ এখন এমন হয়ে গেছে যে, চোখের সামনে বা বাসের পিছনে সিটে ধর্ষণ হলেও আমরা ভয়ে কিছু বলি না। একটা নারী, যে আমাদের মা বা বোন হতে পারে, তাকে ধর্ষণ বা লাঞ্ছনা করার হলে মানুষ হিসেবে তার প্রতিবাদ জানানো অবশ্যই আমাদের উচিত। সমস্যা হচ্ছে আমাদের দেশের সরকার বা প্রশাসন এ বিষয় নিয়ে আগ্রহী না।”
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দুই মাস ফ্রিজে রাখার পর মামুনের মাথায় খুলি পুনঃস্থাপন
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থী মামুন মিয়ার মাথায় খুলি প্রায় দুই মাস ফ্রিজে সংরক্ষণ করার পর সফলভাবে পুনঃস্থাপন করা হয়েছে।
শনিবার (১ নভেম্বর) চট্টগ্রাম পার্কভিউ হাসপাতালে অপারেশনের মাধ্যমে খুলি পুনঃস্থাপন করেন চিকিৎসকরা।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মামুন মিয়ার মাথায় সফলভাবে অপারেশন করা হয়েছে। তিনি এখন সুস্থ আছেন।
গত ৩০ আগস্ট চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হয়েছিলেন মামুন মিয়া।
চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশের পার্কভিউ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এ টি এম রেজাউল করিম জানিয়েছেন, চবিতে সংঘর্ষের দিন গুরুতর আহত অবস্থায় মামুন মিয়াকে পার্কভিউ হাসপাতালে আনা হয়েছিল। সেই থেকে তিনি এখানে চিকিৎসাধীন আছেন। অপারেশনের সময় তার মাখার খুলি খুলে ফ্রিজে সংরক্ষণ করা হয়েছিল। দীর্ঘ প্রায় দুই মাস পর সফল অপারেশনের মাধ্যমে শনিবার মামুনের মাথার খুলি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি সুস্থ আছেন।
গত ৩০ আগস্ট তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ হয়। এতে মামুনসহ চবির অন্তত ৫০০ শিক্ষার্থী আহত হন। মাথায় মারাত্মক আঘাতের কারণে মামুনের মাথার খুলি খুলে রেখে দেওয়া হয়েছিল।
ঢাকা/রেজাউল/রফিক