আগামী আড়াই বছরে বিয়ে করবেন না বলিউড অভিনেত্রী উর্বশী রাউতেলা। শনির দশা চলছে উল্লেখ করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, “এখন আমার ‘কাটনি’ যোগ চলছে। ‘কাটনি যোগ’ চলাকালীন বিয়ে করা উচিত নয়। টানা আড়াই বছর এ দশা জারি থাকে। তাই বিয়ে করার জন্য আপাতত সময় নিচ্ছি।’’ এর মধ্যেই গুঞ্জন দিল মাথাচাড়া। এবার এ অভিনেত্রীর বিয়ের গুঞ্জন উঠেছে; যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেটিজেনরা বেশ আলোচনা-সমালোচনা করছেন। ভারতীয় গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, উর্বশীর বিয়ের গুঞ্জন নিয়ে অভিনেত্রীর ভক্ত-অনুরাগী থেকে শুরু করে নেটিজেনরা দুইয়ে দুইয়ে চার মেলানোর চেষ্টা করছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উর্বশী রাউতেলা এক পোস্টে মন্তব্য করেছেন ফ্যাশন আর্টিস্ট ওরিকে নিয়ে। যেখানে উর্বশী লিখেছেন, ‘তোমার বিয়েতে যোগ দেওয়ার জন্য তরা সইছে না।’ ওরিও জবাব দিয়েছেন, আর সেখানেই বড়সড় ‘ট্যুইস্ট’। তিনি লিখেছেন, ‘আমাদের।’
এ বিষয় নিয়ে নেটিজেনরাও দুইয়ে দুইয়ে চার মিলিয়েছেন। তাদের মন্তব্য– এ জুটি বিয়ে করতে চলেছেন। এক নেটিজেন লিখেছেন, ‘শিগগিরই চার হাত এক হতে চলেছে। সেই আনন্দে অভিনেত্রী ছবি থেকে তাঁর দৃশ্য বাদ পড়ার পরেও এত খুশি।’
উর্বশী রাউতেলা ক্যারিয়ারে কাজের চেয়ে বিতর্কিত কাণ্ডেই আলোচনায় থেকেছেন বেশি। কিছুদিন আগে হামলার শিকার হওয়া সাইফ আলি খানকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন তিনি। পরে খেলেন আরেকটি বড় ধাক্কা। তাঁর অভিনীত একটি ছবির পোস্টার থেকেই বাদ পড়েছেন উর্বশী! গত ২১ ফেব্রুয়ারি নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে তেলেগু সিনেমা ‘ডাকু মহারাজ’।
সিনেমাটিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন নন্দামুরি বালাকৃষ্ণ ও ববি দেওল। বিশেষ চরিত্রে রয়েছেন উর্বশী রাউতেলা। সম্প্রতি নেটফ্লিক্স ইন্ডিয়া সাউথ থেকে যখন ছবির পোস্টার শেয়ার করা হয়, সেখানে উর্বশীর কোনো উপস্থিতি দেখা যায়নি। আর এতে হতাশ তাঁর ভক্তরা।
অনেকেই মনে করছেন, সাইফ আলি খানকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যই হয়তো এমনটি ঘটেছে। উর্বশীর এ মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। অনেকেই মনে করেন, তিনি ইঙ্গিতে সাইফের সাম্প্রতিক হামলার প্রসঙ্গ তুলেছেন এবং বিষয়টিকে ব্যঙ্গ করেছেন। ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে তিনি পরে ক্ষমা চান। সূত্র: আনন্দ বাজার।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গ ঞ জন
এছাড়াও পড়ুন:
পরিবেশ রক্ষায় ‘বীজ বোমা’
পরিবেশ রক্ষায় অভিনব এক উদ্যোগ নিয়েছেন টাঙ্গাইলের তরুণ পরিবেশকর্মী ও সংগঠক মুঈদ হাসান তড়িৎ। সামাজিক সংগঠন ‘যুবদের জন্য ফাউন্ডেশন’-এর মাধ্যমে এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছেন তিনি। ‘বীজ বোমা’ নামের এক বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে বৃক্ষরোপণের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছেন তড়িৎ।
সাধারণত মাটি দিয়ে ছোট বলের আকারে তৈরি করা হয় ‘বীজ বোমা’। এর ভেতরে থাকে বীজ, সার ও পুষ্টিকর উপাদান। এগুলো যেকোনো উন্মুক্ত স্থানে ছুড়ে দিলেই বৃষ্টির পর তা থেকে গাছ জন্ম নিতে পারে।
মুঈদ হাসান তড়িৎ বলেছেন, “আমাদের চারপাশে অনেক অনাবাদি জমি পড়ে আছে। এই জমিগুলোতে যদি আমরা সহজ পদ্ধতিতে গাছ লাগাতে পারি, তাহলে দ্রুত সবুজায়ন সম্ভব। সে ভাবনা থেকেই এই ‘বীজ বোমা’। যুবদের জন্য ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে গ্রামে গ্রামে বীজ বোমা ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা আছে।”
এ উদ্যোগের মাধ্যমে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদেরও পরিবেশ বিষয়ে সচেতন করার সুযোগ তৈরি হচ্ছে। তারা একত্রিত হয়ে শহরের নানা স্থানে বীজ বোমা ছড়িয়ে দিচ্ছেন। এতে যেমন গাছ বাড়ছে, তেমনই পরিবেশ সম্পর্কে তরুণদের সচেতনতাও তৈরি হচ্ছে।
পরিবেশবিদ ও সুশীলসমাজের সদস্যরা এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। পরিবেশকর্মী ডা. মুজিব রহমান বলেছেন, “কম খরচে ও সহজ উপায়ে সবুজায়নের কার্যকর পদ্ধতি বীজ বোমা। যদি সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো এ উদ্যোগে সহায়তা করে, তাহলে পরিবেশের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনা সম্ভব।”
এছাড়া, বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে মাত্র ১০ টাকায় ফলজ, বনজ ও ওষুধি গাছ বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছেন তড়িৎ ও তার সংগঠন। শতাধিক মানুষ পছন্দের গাছ মাত্র ১০ টাকায় ক্রয় করেছেন এ উদ্যোগ থেকে।
তড়িতের এ উদ্যোগ ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। অনেকে প্রশংসা করছেন এই অভিনব চিন্তার এবং একে আরো বড় পরিসরে ছড়িয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
পরিবেশ রক্ষায় এক পা সামনে এগিয়েছে তড়িতের ‘বীজ বোমা’। এখন সবার এগিয়ে আসার সময়।
ঢাকা/কাওছার/রফিক