সর্বশেষ ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে নেপালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল সাউথ এশিয়ান গেমস। রীতি অনুযায়ী, ২০২৩ সালে পাকিস্তানে হওয়ার কথা ছিল দক্ষিণ এশিয়ার ক্রীড়াঙ্গনের সর্বোচ্চ আসরটি। কিন্তু সেই সময় তো পারেইনি, এ বছরের নভেম্বরেও হচ্ছে না এসএ গেমস।
মঙ্গলবার লাহোরে অনুষ্ঠিত এসএ গেমস-সংক্রান্ত সভায় নতুন সূচি ঘোষণা করা হয়েছে। তাতে ২০২৬ সালের ২৩ থেকে ৩১ জানুয়ারিতে লাহোর, ইসলামাবাদ ও ফয়সালাবাদে হবে সাউথ এশিয়ান গেমস।
২০১৯ সালে নেপালে অনুষ্ঠিত গেমসে হকি ছিল না। উপমহাদেশের হকির অন্যতম শক্তিশালী দেশ পাকিস্তান। তাদের দেশে গেমস বলে হকি ডিসিপ্লিন যে থাকছে, এটা অনেকটা নিশ্চিত।
মঙ্গলবারের সভায় অনুমোদিত ডিসিপ্লিনগুলো হলো– ফুটবল, হকি, অ্যাথলেটিকস, সাঁতার, ভলিবল, বাস্কেটবল, হ্যান্ডবল, ক্রিকেট (টি২০), আরচারি, বক্সিং, ফেন্সিং, গলফ, জুডো, কারাতে, শুটিং, স্কোয়াশ, টেবিল টেনিস, তায়কোয়ান্দো, টেনিস, ট্রায়াথলন, ভারোত্তোলন, কুস্তি, উশু, কাবাডি ও রাগবি।
সভায় বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কার অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। তবে ভারতের একজন প্রতিনিধি জুম মিটিংয়ে সভায় যুক্ত ছিলেন। চলতি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত ছাড়া বাকি সব দেশই পাকিস্তানে গিয়ে খেলছে। ভারতের ম্যাচগুলো হচ্ছে দুবাইয়ে। তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, ভারত আগামী বছর নিজ দেশের ক্রীড়াবিদদের পাকিস্তানে এসএ গেমস খেলতে পাঠাবে কিনা।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
কয়েক সপ্তাহ ধরে উত্তেজনা চলার পর ইউক্রেন–যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি সই
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যে কয়েক সপ্তাহ ধরে উত্তেজনা চলার পর দেশ দুটি একটি চুক্তিতে সই করেছে। এর ফলে ওয়াশিংটন কিয়েভের মূল্যবান দুর্লভ খনিজসম্পদে প্রবেশাধিকার পাবে ও যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিকে তার পুনর্গঠনে তহবিল জোগান দেবে।
গতকাল বুধবার ওয়াশিংটন ডিসিতে এ চুক্তি সই হয়। এ নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে জোর দরকষাকষি করে দুই দেশ। চুক্তি সই হওয়ার ব্যাপারে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত কিছু অনিশ্চয়তা থাকলেও অবশেষে এটি সম্পন্ন হয়।
যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন সম্পর্কের ক্ষেত্রে এ চুক্তি একটি অগ্রগতি নির্দেশ করছে। গত মার্চে হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে উত্তপ্ত বৈঠকের পর এ সম্পর্ক তলানিতে নেমেছিল।
চুক্তি সইয়ের ঘোষণা দিয়ে মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন পুনর্গঠন বিনিয়োগ তহবিল’ প্রতিষ্ঠা রাশিয়ার প্রতি একটি বার্তা যে, ট্রাম্প প্রশাসন দীর্ঘমেয়াদে এক স্বাধীন, সার্বভৌম ও সমৃদ্ধ ইউক্রেন গড়ার শান্তি প্রক্রিয়ার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন সম্পর্কের ক্ষেত্রে এ চুক্তি একটি অগ্রগতি নির্দেশ করছে। গত মার্চে হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে উত্তপ্ত বৈঠকের পর এ সম্পর্ক তলানিতে নেমেছিল।স্কট বেসেন্ট আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের জনগণের মধ্যে অংশীদারত্ব প্রতিষ্ঠার এ ভাবনা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের; যা একটি টেকসই শান্তি ও সমৃদ্ধ ইউক্রেনের প্রতি উভয় পক্ষের প্রতিশ্রুতিই প্রতিফলিত করে।’
‘স্পষ্ট করে বলতে গেলে, রাশিয়ার যুদ্ধচেষ্টায় অর্থ বা অন্যান্য সহায়তাদানকারী কোনো রাষ্ট্র বা ব্যক্তিকে ইউক্রেনের পুনর্গঠন থেকে উপকৃত হতে দেওয়া হবে না’, বলেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী।
ট্রাম্প প্রশাসন এ চুক্তির বিস্তারিত প্রকাশ করেনি।
ইউক্রেনের অর্থ মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘ইউক্রেন পুনর্গঠন তহবিলে’ যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি বা সামরিক সহায়তার মাধ্যমে অবদান রাখবে এবং কিয়েভ তার প্রাকৃতিক সম্পদ থেকে পাওয়া রাজস্বের ৫০ শতাংশ তহবিলে দেবে।
স্পষ্ট করে বলতে গেলে, রাশিয়ার যুদ্ধচেষ্টায় অর্থ বা অন্যান্য সহায়তাদানকারী কোনো রাষ্ট্র বা ব্যক্তিকে ইউক্রেনের পুনর্গঠন থেকে উপকৃত হতে দেওয়া হবে না।স্কট বেসেন্ট, মার্কিন অর্থমন্ত্রীমন্ত্রণালয় আরও জানায়, তহবিলের সম্পূর্ণ অর্থ প্রথম ১০ বছর শুধু ইউক্রেনে বিনিয়োগ করা হবে, এরপর ‘লাভ অংশীদারদের মধ্যে বণ্টন করা হতে পারে’। তহবিলে দুপক্ষের সমান সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা থাকবে। এ চুক্তি শুধু ভবিষ্যতের মার্কিন সামরিক সহায়তায় নজর দেব, অতীতের সহায়তা এতে অন্তর্ভুক্ত নয়।
ইউক্রেনের অর্থমন্ত্রী ইউলিয়া সিরিদেনকো বলেন, ‘আমরা শুধু বিনিয়োগই পেতে যাচ্ছি না; বরং এমন একটি কৌশলগত অংশীদারকেও পাচ্ছি, যারা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উদ্ভাবনে সহায়তা করতে আমাদের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দেওয়ার ফাঁকে এক আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। গতকাল ভ্যাটিকান সিটিতে