নিজ বাড়িতে মিলল অভিনেত্রীর মরদেহ
Published: 27th, February 2025 GMT
নিউইয়র্কে নিজ বাড়ি থেকে হলিউড অভিনেত্রী মিচেল ট্র্যাকটেনবার্গে লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার তাঁকে উদ্ধারের পর জরুরি সেবার চিকিৎসক অভিনেত্রীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৩৯ বছর। দ্য নিউইয়র্ক পোস্ট ছাড়াও একাধিক গণমাধ্যমের তাঁর মৃত্যুর খবর প্রকাশ করা হয়েছে।
এছাড়া নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জরুরি সেবা নম্বরে ফোন পেয়ে পুলিশ তাঁর ম্যানহাটানের অ্যাপার্টমেন্টে হাজির হয়ে অভিনেত্রীকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে।
প্রাথমিকভাবে তাঁর মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। মিচেলের বাসায় কোনো অপরাধ তৎপরতার আলামতও পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
১৯৮৫ সালের ১১ অক্টোবর নিউইয়র্কে জন্মগ্রহণ করেন মিচেল। মাত্র তিন বছর বয়সেই অভিনয় শুরু করেন। শুরুতে করতেন বিজ্ঞাপন চিত্র, পরে কাজ করেন টিভিতে।
আলোচিত টিন ড্রামা ‘বাফি দ্য ভ্যাম্পায়ার স্লেয়ার’ দিয়ে তিনি প্রথম পরিচিতি পান। আরেকটি আলোচিত সিরিজ ‘গসিপ গার্ল’-এ অভিনয় করে তাঁর পরিচিতি আরও ছড়িয়ে পড়ে।
টিভি সিরিজের পাশাপাশি ‘ইউরো ট্রিপ’, ‘মিস্ট্রেরিয়াস স্কিন’, ‘১৭ এগেইন’ ইত্যাদি সিনেমাতেও দেখা গেছে তাঁকে। গত বছর তাঁর অভিনীত সবশেষ সিনেমা ‘দ্য স্ক্রিবলার’ মুক্তি পায়।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন উইয়র ক
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো বিশেষ ফিউশন খাবার উপস্থাপনা
মানজু রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এক ব্যতিক্রমধর্মী খাবার আয়োজন, যেখানে দেশি স্বাদের সাথে ছিল আন্তর্জাতিক রান্নার কৌশল ও উপকরণ। আয়োজনে ঐতিহ্য ও আধুনিকতা একসূত্রে গাঁথা হয়েছে।
সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, এ আয়োজনের মূল আকর্ষণ ছিলেন আন্তর্জাতিকভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত রন্ধনশিল্পী ইনারা জামাল, যিনি ফুড স্টাডিজে নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতকোত্তর এবং ইনস্টিটিউট অব কালিনারি এডুকেশন, নিউইয়র্ক থেকে বিশেষ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।
ইনারা জামাল বলেন, ‘খাবার শুধু স্বাদের বিষয় নয়, এটি একটি সাংস্কৃতিক অনুষঙ্গ। আমি চাই বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারকে ভিন্ন দেশের উপকরণ ও কৌশলের সঙ্গে মিশিয়ে বিশ্বদরবারে নতুন রূপে উপস্থাপন করতে। সৃজনশীল উদ্ভাবনের মাধ্যমে বাংলাদেশি খাবারকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরা। একইসঙ্গে, তার লক্ষ্য বাংলাদেশের খাদ্যসংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে গবেষণার আলোয় তুলে ধরা, যেন এই সমৃদ্ধ উত্তরাধিকার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সংরক্ষিত থাকে। খাবারে তিনি সবসময় প্রাধান্য দেন প্রাকৃতিক ভেষজ উপাদান এবং টেকসই উপস্থাপনাকে।
এই আয়োজনকে আরও রঙিন করে তোলে রন্ধনশিল্পী মালিহার বাহারি পরিবেশনা, যেখানে দেশি উপাদান ব্যবহার করে তৈরি করা হয় নানান স্বাদের সুস্বাদু খাবার।
আয়োজকরা জানান, এই আয়োজনের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশি খাদ্যসংস্কৃতিকে আধুনিক উপস্থাপনার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরা এবং ভোজনরসিকদের সামনে এক নতুন স্বাদের অভিজ্ঞতা নিয়ে আসা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা খাবারের স্বাদ, গন্ধ ও পরিবেশনায় মুগ্ধতা প্রকাশ করেন। এমন আয়োজনের ধারাবাহিকতা রক্ষার ওপর জোর দেন।