ষষ্ঠ থেকে স্নাতকের দুর্ঘটনায় আহত শিক্ষার্থীরা পাবেন ১০-৫০ হাজার অনুদান, আবেদন করুন দ্রুত
Published: 27th, February 2025 GMT
প্রতি দুই মাস পরপর দুর্ঘটনায় আহত চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থীদের অর্থসহায়তা দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট থেকে। এ জন্য আবেদন করতে হয় শিক্ষার্থীদের। এ বছরের জানুয়ারি–ফেব্রুয়ারি প্রান্তের আবেদন শুরু হয়েছে। অনুদান পেতে শিক্ষার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে। আবেদন শেষ হবে আগামীকাল শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টায়। ষষ্ঠ থেকে স্নাতক বা সমমানের শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের এ অনুদান দেওয়া হবে। চিকিৎসা অনুদান প্রাপ্তির জন্য চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থী ই-চিকিৎসা অনুদান ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের এ লিংকে প্রবেশ করে আবেদন করতে পারবেন।
প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত অসচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীদের এককালীন ১০ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা অনুদান দেয় প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট। আহত, অসচ্ছল ও চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থীরা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ অনুদান পান।
আরও পড়ুনচীনের এআইআইবি গ্লোবাল ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম, দিনে ৯০ ডলারের সঙ্গে নানা সুযোগ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫আবেদনের শর্তাবলিচিকিৎসা মেয়াদে শুধু একবারই চিকিৎসা গ্রহণের জন্য আবেদন করা যাবে
চিকিৎসা গ্রহণের সময়কাল হতে হবে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের অর্থবছর বা এক বছরের মধ্যে
আরও পড়ুনজাপান ওয়ার্ল্ড ব্যাংক গ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপ, ১৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে করুন আবেদন১১ ঘণ্টা আগেআবেদনে দরকারি কাগজপত্রআবেদনের ক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় আহত প্রমাণের জন্য জেলা পর্যায়ে সিভিল সার্জন/সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক/উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কর্তৃক গুরুতর আহত সমর্থনে প্রত্যয়ন করা শিক্ষার্থীর চিকিৎসার সনদ
চিকিৎসা গ্রহণসংক্রান্ত প্রয়োজনীয় রিপোর্ট
ট্রাস্টের নির্ধারিত ফরমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান/বিভাগীয় প্রধানের প্রদান করা প্রত্যয়নপত্র
আবেদনের শেষ তারিখ: আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, রাত ১১টা ৫৯ মিনিট
আরও পড়ুনইউনিভার্সিটি অব ব্রুনেই দারুসসালামে বৃত্তি, মাসে ২ লাখের সঙ্গে নানা সুযোগ১৪ ঘণ্টা আগে*বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চাকরি খেয়ে ফেলব, কারারক্ষীকে কারাবন্দী আ’লীগ নেতা
‘চাকরি খেয়ে ফেলব, দেখে নেব তোমাকে, চেন আমি কে?’ কারবন্দী কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজু (৪৯) মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে ২ কারারক্ষীকে এভাবে হুমকি দেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে দেখতে যান তার কয়েকজন স্বজন। কারা নিয়মানুযায়ী সাক্ষাৎ কক্ষে বেঁধে দেওয়া সময়ে কথা শেষ করার কথা থাকলেও তিনি তার মানতে রাজি নন। তিনি দীর্ঘ সময় কথা বলতে চাইলে সাক্ষাৎ কক্ষে দায়িত্বরত মহিলা কারারক্ষী পপি রানী কারাবন্দী নেতার স্বজনদের সময়ের মধ্যে কথা শেষ করতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হন আওয়ামী লীগ নেতা সাজু। তখন তিনি বলেন, ‘এই আপনি কে? ডিস্টার্ব করছেন কেন? চিনেন আমাকে? চাকরি খেয়ে ফেলব।’
এ সময় সাক্ষাৎ কক্ষে সাজুর স্বজনরাও পপি রানীর সঙ্গেও আক্রমণাত্মক আচরণ করেন। পপি রানীকে নিরাপদ করতে সুমন নামের আরেকজন কারারক্ষী এগিয়ে এলে তাকে লাথি দিয়ে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন সাজু। উত্তেজনার একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত উপস্থিত হন প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক। তিনি সাজুর স্বজনদের সাক্ষাৎ কক্ষ থেকে চলে যেতে বলেন। তারাও চলে যাওয়ার সময়ে কারারক্ষীদের গালিগালাজ করেন।
এ ব্যাপারে কারারক্ষী পপি রানী বলেন, ‘আমি ডিউটিরত অবস্থায় তিনি আমাকে প্রভাব দেখিয়ে চাকরি খাওয়ার হুমকি দেন ও গালিগালাজ করেন। আমি জেলার স্যারের কাছে বিচার প্রার্থনা করছি।’
প্রত্যক্ষদর্শী কারারক্ষী মো. সুমন বলেন, ‘আমরা তো ছোট পদে চাকরি করি, আমাদের নানান নির্যাতন সহ্য করতে হয়। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া আর কিছু বলতে পারব না।’
প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সাক্ষাৎ কক্ষের ভেতরে পুলিশ সদস্যকে গালিগালাজ করা হয়। পরে আমি গিয়ে পরিবেশ শান্ত করি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুড়িগ্রাম কারাগারের জেলার এ জি মো. মামুদ বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। বন্দীরা আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করলেও আমরা মানবিকতা প্রদর্শন করি। কেউ অতিরিক্ত কিছু করলে জেলের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে গত ৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রংপুর শহরের সড়ক ও জনপথ কার্যালয়ের কাছ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও শিক্ষার্থী আশিক হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।