পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের বান্নু শহরের একটি সামরিক স্থাপনায় দুটি আত্মঘাতী বোমা হামলা চালানো হয়েছে। এতে ১০ জন নিহত ও ২৫ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। 

মঙ্গলবার ইফতারের পর দুই আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী সামরিক স্থাপনার দেয়ালের কাছে দুটি বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি দিয়ে হামলা করে। এতে দেয়াল ভেঙে গেলে পাঁচ থেকে ছয়জন সন্ত্রাসী সেনানিবাসে প্রবেশের চেষ্টা করে। এ সময় সহিংসতায় কমপক্ষে ৯ জন নিহত ও ২৫ জন আহত হন। পরিস্থিতি সামাল দিতে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী একযোগে কাজ করছে। খবর উইঅন নিউজের। 

দুই আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা কর্মকর্তারা। অন্যদিকে হামলায় দুই শিশুসহ তিন নারী ও দুই বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন এবং দুই নারীসহ ছয় বেসামরিক নাগরিক আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। সরকারিভাবে হতাহতের সংখ্যা এখনও জানানো হয়নি।

জঙ্গি সংগঠন জইশ আল ফুরসানের সঙ্গে যুক্ত হাফিজ গুল বাহাদার এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, বিস্ফোরক ভর্তি দুটি গাড়ির বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, চালক আটক

ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক কলেজছাত্রীকে চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। নবীগঞ্জ-শেরপুর সড়কে রোববার রাতে যাত্রীবাহী বাসে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে স্থানীয় জনতা সড়কের তিনতালাব পুকুর পাড় নামক স্থানে বাসটি আটক করে এবং বাসের ড্রাইভারকে আটক করে সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করে। এসময় বাসের হেলপার পালিয়ে যায়।
 
পরে সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে একদল সেনা সদস্য ওই কলেজ ছাত্রী ও ড্রাইভারকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে। এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

জানা যায়, ঢাকায় একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে ওই ছাত্রী। রোববার সকালে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে একটি বাসে উঠেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি যেতে বানিয়াচং যাওয়ার পথে শায়েস্থাগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডে নামার কথা থাকলেও তিনি বাসের মধ্যে ঘুমিয়ে যান। ফলে বাস তাকে শায়েস্থাগঞ্জে না নামিয়ে শেরপুর বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১০টায় ওই কলেজছাত্রী একটি লোকাল বাসে উঠে। সেই বাসে কয়েকজন যাত্রী ছিল, বাসটি নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি নামক স্থানে পৌঁছালে অন্যান্য যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। এরপর ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে বাসের চালক ও হেলপার তাকে বাসে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

এ বিষয়ে ওই ছাত্রী জানায়, তিনি ঢাকায় একটি কলেজে লেখাপড়া করেন। তার পরিবারের সবাই ঢাকায় থাকে তিনি ঢাকায় ঈদ করেছে। ঈদের ছুটিতে তিনি বাড়ি আসেননি এই জন্য আজকে গ্রামের বাড়িতে আসছিলেন।

বানিয়াচং থানার সেনাক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদ বলেন, আমরা কলেজছাত্রী ও বাস চালককে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছি।

এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি দুলাল মিয়া জানান, ঘটনার পর বাস চালককে আটক করা হয়েছে এবং হেলপার পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে মামলা লেখার কাজ চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ