আগামী ১০ রমজানের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অফলাইন তথা সশরীরে ক্লাস শেষ করার দাবিতে উপাচার্য কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ। 

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমদ খানের কাছে এ স্মারকলিপি দেন সংগঠনটির ঢাবি শাখার নেতাকর্মীরা।

স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, গত ২ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে পবিত্র রমজান মাস। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ন্যায্যমূল্যে পুষ্টিকর খাবারের সুব্যবস্থা নেই। রমজানের সময় এ সংকট আরো প্রকট হয়। হলগুলোর ক্যান্টিন এবং মেসের নিম্নমানের খাবার খেয়ে শিক্ষার্থীদের পক্ষে রোজা রাখা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য।

আরো পড়ুন:

নতুন রাজনৈতিক দল নিয়ে যা ভাবছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা

গণঅভ্যুত্থানে হামলাকারীদের বিচারসহ ১১ দাবি ঢাবি সাদা দলের

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ি ২৩ রমজান অর্থাৎ আগামী ২৪ মার্চ পর্যন্ত বিভিন্ন বিভাগের ক্লাস-পরীক্ষা-অ্যাসাইনমেন্টসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকবে। হলের খাবারের দাম ও মান বিবেচনায় রমজানে এতদিন হলে অবস্থান করা শিক্ষার্থীদের জন্য কষ্টকর হয়ে যাবে।

রমজান মাসে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় খাবারের অপ্রাপ্যতার কারণে অমুসলিম শিক্ষার্থীদেরও অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। পাশাপাশি বর্তমান আবহাওয়া বিবেচনায় মূল ক্যাম্পাস থেকে দূরে থাকা শিক্ষার্থীদের জন্য রোজা রেখে ক্লাসে আসাটাও কঠিন হয়ে পড়েছে।

এমতাবস্থায় শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে ১০ রমজানের মধ্যে অফলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম শেষ করার দাবি জানাচ্ছি। সে ক্ষেত্রে প্রয়োজন সাপেক্ষে বিভাগগুলো অনলাইন ক্লাস পরিচালনা করতে পারে।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর রমজ ন র

এছাড়াও পড়ুন:

সেই রাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যা ঘটেছিল

২৩ আগস্ট রাতে আমাদের গ্রেপ্তার

সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ,  ক্যাপ্টেন মনসুর আলী, এ এইচ এম কামরুজ্জামন, এই লেখক শেখ আবদুল আজিজ ও আবদুস সামাদ আজাদ—এই ৬ জনকে ১৯৭৫ সালের ২৩ আগস্ট একসঙ্গে গ্রেপ্তার করে আমাদের পল্টনে কন্ট্রোল রুমে একটি ভাঙা বাড়িতে নেওয়া হয়। আমরা বসা অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি সৈয়দ আহমদকে মুক্তি দেওয়ার জন্য জনৈক কর্নেল ফারুককে অনুরোধ করেছিলেন।

কর্নেল ফারুক উত্তরে বলেছিলেন, ‘আপনাদের সবার ট্রায়াল এখানে হবে।’ আমাদের উদ্দেশ করে বলা হয়েছিল, ‘ইউ উইল হ্যাভ টু জাস্টিফাই ইয়োর করাপশন।’ এ কথা শুনে আমরা স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। ভাবলাম, এটা কোর্ট নয়, আদালত নয়, কীভাবে এখানে বিচার হবে? এই পরিস্থিতিতে আমাদের পরস্পরের কথা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
ইতিমধ্যে মেজর ডালিম এসে এইচ এম কামারুজ্জামানের সঙ্গে আস্তে আস্তে কথা বলতে লাগল। কামরুজ্জামান ডালিমকে বলেছিল, ‘এ রকম তো কথা ছিল না!’ তারপর ডালিম চলে গেল। আমাদের সামনে আমাদের সহানুভূতিশীল পুলিশ কর্মচারীরা দৌড়াদৌড়ি করছিল। কিছু সময় পর তারা এসে বলল, ‘আপনারা এই গাড়ি ও মাইক্রোবাসে তাড়াতাড়ি ওঠেন; সেন্ট্রাল জেলে যেতে হবে।’ আমরা গাড়িতে উঠলাম এবং ভাবলাম, বেঁচে গেলাম। সেন্ট্রাল জেলে প্রবেশ করলাম। আমাদের নতুন জেলে থাকার জায়গা করে দেওয়া হলো।

শেখ আবদুল আজিজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ