ফরিদপুরে কালো রঙের ডিম পাড়ছে পাতিহাঁস, এলাকায় চাঞ্চল্য
Published: 6th, March 2025 GMT
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায় একটি বাড়িতে কালো ডিম পাড়ছে একটি পাতিহাঁস। কয়েক দিন ধরে উপজেলার ঢেউখালী ইউনিয়নের চন্দ্রপাড়া গ্রামের সরদারডাঙ্গী মহল্লার বাসিন্দা ইয়াসিন সরদারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। ব্যতিক্রমী ডিম দেখতে ইয়াসিন সরদারের বাড়িতে ভিড় করেন আশপাশের গ্রামের বাসিন্দারা।
ইয়াসিন সরদার জানান, বছরখানেক আগে পাশের বাড়ি থেকে ছয়টি হাঁসের বাচ্চা কেনেন তিনি। ইতিমধ্যে বাচ্চাগুলো বড় হয়ে ডিম দিতে শুরু করে। সবগুলো হাঁস সাদা রঙের ডিম দিলেও একটি হাঁস হঠাৎ করে কালো রঙের ডিম পাড়া শুরু করে। তিনি বলেন, ‘প্রথমে কালো ডিম দেখে আমরা অবাক হয়ে যাই। সাধারণত এমন ঘটনা ঘটে না। পরে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার পরামর্শ মেনে আমরা কালো রঙের ডিম খাওয়া শুরু করি।’
ইয়াসিন সরদার বলেন, ‘প্রথম দিন কালো ডিম দেখে সাপের ডিম ভেবে না খেয়ে রেখে দিয়েছিলাম। তবে একই হাঁস পরপর একাধিক কালো ডিম দেওয়ায় আমরা নিশ্চিত হই, এটি সাপ বা অন্য কোনো প্রাণীর ডিম না। প্রথম কয়েক দিন একেবারে কালো ডিম দেয়। সপ্তাহখানেক পর ডিমের রং ধূসর হতে শুরু করে। এখন হাঁসটি ডিম পাড়া বন্ধ রেখেছে।’
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সব্যসাচী মজুমদার বলেন, জেনেটিক কারণে হাঁসের ডিমের রং কালো হতে পারে। তবে ডিম খেতে কোনো সমস্যা নেই। রঙের জন্য ডিমের পুষ্টিগুণে কোনো প্রভাব পড়ে না। এটি বিরল হলেও আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
৫ আগস্টের মধ্যে জুলাই সনদ না হলে অবরোধের হুঁশিয়ারি আপ বাংলাদেশের
জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র জারির দাবিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে ইউনাইটেড পিপলস (আপ) বাংলাদেশ। আজ শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগে গণজমায়েত থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। দাবি পূরণ না হলে ৬ আগস্ট থেকে দেশজুড়ে অবরোধ কর্মসূচি পালনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংগঠনটি।
‘৩৬ জুলাইয়ের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র ও সনদের দাবি’ শীর্ষক গণজমায়েতে অংশ নেন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা আপ বাংলাদেশের নেতা–কর্মীরা। জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের এক বছর পার হলেও জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র জারি না হওয়াকে অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতা হিসেবে দেখছেন তাঁরা।
আপ বাংলাদেশের আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ বলেন, ‘আমরা একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ চেয়েছিলাম। কিন্তু আহতদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। আমরা দেখেছি, যারা জুলাইয়ের নেতৃত্বে ছিল, জুলাইয়ের পরে তাদের পকেট ভারী হয়েছে। আমি বলতে চাই, আপনাদের এই পকেটের হিসাব দিতে হবে।’
অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে আলী আহসান বলেন, ‘আপনারা জুলাই ঘোষণাপত্র দিতে পারবেন কি পারবেন না, তা জানান; না পারলে আমরা আছি। যারা জীবন দিতে প্রস্তুত ছিলাম, বাংলাদেশের (সেই) ২০ কোটি জনগণ জুলাই ঘোষণাপত্র জারি করবে।’
আপ বাংলাদেশের আহ্বায়ক বলেন, ‘৩৬ জুলাইয়ের মধ্যে যদি জুলাই ঘোষণাপত্র না হয়, তাহলে ৬ আগস্ট থেকে দেশজুড়ে অবরোধ শুরু হবে। এ সরকারের কোনো হুমকি আমাদের দমিয়ে রাখতে পারবে না।’
গণজমায়েতে অংশ নিয়ে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান বলেন, আপ বাংলাদেশের নেতারা এখনো কোনো প্রটোকল ছাড়া রাস্তাঘাটে হাঁটেন। কিন্তু তাঁরা যেদিন প্রটোকল নিতে শুরু করবেন, সেদিন থেকে তাঁদের বিরুদ্ধেও তিনি কথা বলা শুরু করবেন।
জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র জারির আহ্বান জানিয়ে শরীফ ওসমান বলেন, এখন পর্যন্ত বিদ্যমান আইনি কাঠামোয় জুলাই শহীদেরা রাষ্ট্রদ্রোহী। তাঁদেরকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। আজকের মধ্যে সরকার দিনক্ষণ না জানালে আগামী ৩ তারিখ (আগস্ট) ইনকিলাব মঞ্চের উদ্যোগে কফিন মিছিল নিয়ে সচিবালয় অবরোধ করা হবে।
বিগত এক বছর থেকে একটি দুর্বল সরকার দেশ চালাচ্ছে উল্লেখ করে আপ বাংলাদেশের সদস্যসচিব আরেফিন মোহাম্মদ বলেন, ‘জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তিতে ঘোষণাপত্রের জন্য আমাদের আবারও গণজমায়েত করতে হচ্ছে। এর চেয়ে লজ্জাজনক আর কী হতে পারে?’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এ বি জুবায়ের বলেন, ‘আমরা যে মৌলিক সংস্কার চেয়েছিলাম, এখনো তার কিছুই হয়নি। এখনো শহীদ পরিবারের পুনর্বাসন ও আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত হয়নি। আমি উপদেষ্টাদের উদ্দেশে বলতে চাই, অবিলম্বে জুলাই সনদ ঘোষণা করুন। আপনাদের কাছে আমাদের চাওয়া–পাওয়া খুব বেশি নেই।’
গণজমায়েতে র্যাপ গান পরিবেশন করেন আপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য আহনাফ তাহমিদ। স্বাগত বক্তব্য দেন জুলাই শহীদ ওসমান পাটোয়ারীর বাবা আবদুর রহমান। গণজমায়েতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন আপ বাংলাদেশের প্রধান সমন্বয়কারী রাফে সালমান রিফাত, প্রধান সংগঠক নাঈম আহমেদ, মুখপাত্র শাহরিন সুলতানা প্রমুখ।