জাপানের শিমানামি কাইদু সড়কটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৭০ কিলোমিটার। এ সড়ক দিয়ে চলতে গেলে দেখা মেলে উঁচু-নিচু পাহাড়, ফলের বাগান ও ঐতিহাসিক স্থাপনার। কখনও দেখা মেলে সমুদ্রের। সব মিলিয়ে নৈসর্গিক পরিবেশের মধ্য দিয়ে যাওয়া এ সড়কটি ব্যবহার করেন মূলত বাইসাইকেল চালকরা। সাইকেলে চড়ে তারা এর দু’পাশের দৃশ্য উপভোগ করেন।
সড়কটি ছয়টি দ্বীপের ওপর দিয়ে চলে গেছে। ঝুলন্ত সেতুর মাধ্যমে এসব দ্বীপ সংযুক্ত। এর মধ্যে হংসু ও শিকোকু দ্বীপের ঝুলন্ত সেতুটি বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘ।
সাইক্লিস্টরা এ সেতুর ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় মুগ্ধতায় তাকান– ওপরে অবারিত আকাশ, আর দু’পাশে নীল জলরাশি। সাইক্লিস্ট মেই নাকামুরা বলেন, সড়কটি মূলত জাপানের গ্রামের নৈসর্গিক সৌন্দর্য তুলে ধরে। সেই সঙ্গে আশপাশের রেস্তোরাঁগুলোতে সামুদ্রিক খাবারেরও স্বাদ নেওয়া সম্ভব হয়। সব মিলিয়ে বিশেষ হয়ে ওঠে শিমানামি কাইদু।
ইকুচিজিমা দ্বীপের রেস্তোরাঁ আজুমি সেতোদার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইয়োশি কুবোতা বলেন, এটা কেবল গ্রামের ভেতর দিয়ে যাওয়া রাস্তায় সাইকেল চালানোই নয়, এর চেয়ে বেশি কিছু।
জাপানের ওই সড়কে গত বছর প্রায় সাড়ে ৩ কোটি পর্যটক সাইকেল ভ্রমণ করেন। ক্রমেই এ সাইকেল ভ্রমণের চাহিদা বাড়ছে। পর্যটকরা কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এই ৭০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে পারেন। কিন্তু এ যাত্রাপথে তারা এমন সব দৃশ্য দেখেন, যা তাদের মনে চিরকালীন জায়গা করে নেয়। সূত্র: বিবিসি।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সোনাপুর-নোবিপ্রবি সড়ক ৪ লেনে উন্নীতকরণে অংশীজন সভা
নোয়াখালীর সোনাপুর থেকে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গামী (নোবিপ্রবি) সড়কটি বাংলাবাজার পর্যন্ত চার লেনে উন্নীতকরণ বিষয়ে অংশীজন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে নোবিপ্রবি উপাচার্যের কার্যালয়ে প্রোসয়েল ফাউন্ডেশন কনসালটেন্ট এর আয়োজনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নোবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইলের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন নোবিপ্রবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হানিফ, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মহিনুজ্জামান, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ তামজিদ হোছাইন চৌধুরী ও নোবিপ্রবি প্রধান প্রকৌশলী মো: জামাল হোসেন।
আরো পড়ুন:
নোবিপ্রবির পুকুরে ছাত্র-ছাত্রীদের গোসলের ছবি ভাইরাল, ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন
গ্রীষ্মের ছুটি বাতিল করেছে নোবিপ্রবি
এছাড়াও নোয়াখালী জেলা প্রশাসন, জেলা পরিষদ, নোয়াখালী পৌরসভা, গণপূর্ত অধিদপ্তর, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি, বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, উপকূলীয় বন বিভাগ, পরিবেশ অধিদপ্তর, নোয়াখালী সদর/সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়, নোয়াখালী সদর/সুবর্ণচর উপজেলার সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়, বাংলাদেশ রেলওয়ে, সোনাপুর, নোয়াখালী প্রেসক্লাব, সোনাপুর পৌরবাজার কমিটি, সোনাপুর পৌর সুপার মার্কেট পরিচালনা কমিটি এবং প্রোসয়েল ফাউন্ডেশন কনসালট্যান্ট এর কর্মকর্তারা সভায় অংশগ্রহণ করেন।
সভায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল বলেন, “এই সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত বিশ্ববিদ্যালয়ের দোতলা বাসগুলো শিক্ষার্থীদের নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলাচল করছে। ফলে এ সড়কটি চার লেনে উন্নীত করা অত্যন্ত জরুরি। আমরা যেন এ সড়কের কাজ দ্রুত শুরু করতে পারি, তার জন্য আপনাদের সবার সার্বিক সহযোগিতা প্রয়োজন।”
তিনি বলেন, “এই সড়ক চার লেনে উন্নীত করার ক্ষেত্রে নানা প্রতিবন্ধকতা আসতে পারে। এ ক্ষেত্রে আমাদের দিক থেকে যতটুকু সহযোগিতা লাগে, আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তা করার চেষ্টা করবো। পাশাপাশি আপনাদের সবার সহযোগিতা একান্তভাবে কামনা করছি।”
সভায় সোনাপুর থেকে নোবিপ্রবি (বাংলাবাজার) সড়কাংশ চার লেনে উন্নীতকরণসহ বাংলাবাজার-সুবর্ণচর উপজেলা হেডকোয়ার্টার সড়ক (জেড-১৪৫১) যথাযথ মানে উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের ডিপিপি’র এনভায়রনমেন্টাল ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট প্রণয়নে মতামত প্রদান করেন বক্তারা।
এছাড়া বক্তারা ওই সড়ক চার লেনে উন্নীত করার বিষয়ে একমত পোষণ করেন এবং নোয়াখালী জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সড়কটি নির্মাণের ক্ষেত্রে কোনো প্রকার গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা বাধাগ্রস্ত হবেনা বলে জানানো হয়।
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী