প্রেমিকাকে যৌন নিপীড়নের দায়ে যুবক গ্রেপ্তার
Published: 13th, March 2025 GMT
ফেসবুকে প্রেমের সূত্র ধরে ভোলার এক কলেজ ছাত্রীকে খুলনার তেরখাদা উপজেলায় এনে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে প্রেমিকের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় শাওন মন্ডল (২৪) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শাওন তেরখাদা উপজেলার কাকদি এলাকার গৌরাঙ্গ মন্ডলের ছেলে।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। তেরখাদা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, শাওন মন্ডলের সাথে মুসলিম যুবতী কলেজ ছাত্রীর (২১) গত ২/৩ বছর পূর্বে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। সেই সুবাদে শাওন মন্ডলের সাথে তার প্রতিনিয়ত কথা বার্তা হতো। একপর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাদের। প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে শাওনের সাথে দেখা করতে ওই ছাত্রী ১২ মার্চ সকালে বাসযোগে ভোলা থেকে খুলনায় পৌঁছায়। শাওন মন্ডলের সাথে ফোনে যোগাযোগ করে সে ওই তরুণীকে তেরখাদায় যেতে বলে। মেয়েটি তেরখাদা বাজারে পৌঁছালে শাওন মন্ডল তাকে তার বাড়ি নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বুধবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে তেরখাদা গ্রামে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের সামনে নিয়ে কুপ্রস্তাব দেয় এবং যৌন নিপীড়ন করে।
তেরখাদা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী হাসান জানান, এই ঘটনা জানার পর মুসলিম ওই যুবতীর স্বজনরা ভোলা থেকে খুলনায় এসে বুধবার গভীর রাতে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর তাৎক্ষণিকভাবে শাওন মন্ডলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। কলেজ শিক্ষার্থী যুবতীকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা/নুরুজ্জামান/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
গাজীপুরে এটিএম বুথে ধর্ষণের অভিযোগ, অভিযুক্ত পলাতক
গাজীপুরের শ্রীপুরে অধিক বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এক নারী পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে একটি এটিএম বুথের নিরাপত্তা প্রহরীর বিরুদ্ধে।
সোমবার (১৬ জুন) সকালে ওই নারী শ্রমিকের বাবা বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
রবিবার (১৫ জুন) সকালে শ্রীপুর উপজেলার মুলাইদ গ্রামের এমসি বাজার এলাকায় তালহা স্পিনিং মিল সংলগ্ন একটি ব্যাংকের এটিএম বুথে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ ।
ভুক্তভোগী নারী স্থানীয় একটি কারখানায় ৬ হাজার টাকা বেতনে কাজ করতেন। অভিযুক্ত নিরাপত্তা প্রহরী মো. লিটন (৩৫) তালহা স্পিনিং মিল সংলগ্ন বুথে দায়িত্ব পালন করতেন।
লিটন ময়মনসিংহ জেলার পাগলা থানার ডুবাইল গ্রামের মৃত আব্দুল আউয়ালের ছেলে। বর্তমানে তিনি মুলাইদ গ্রামের আতাব উদ্দিনের বাড়িতে ভাড়া থাকেন এবং ফাস্ট সলিউশন লিমিটেড নামের একটি নিরাপত্তা নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের অধীনে চাকরি করতেন।
থানায় দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা যায়, এটিএম বুথে টাকা তোলার সূত্র ধরে এই নারী শ্রমিকের সঙ্গে পরিচয় হয় লিটনের। একপর্যায়ে লিটন ভুক্তভোগীকে ১২ হাজার টাকা বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে রবিবার সকালে তার বাবার মোবাইলে ফোন করে ডেকে আনেন। সকাল ৬টার দিকে বুথে গেলে লিটন তাকে ভেতরে একটি ছোট কক্ষে বসিয়ে রাখেন এবং জানান যে, নতুন চাকরির উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এসে তার সাক্ষাৎকার নেবেন।
ভিকটিমের বাবা দুইবার মেয়ে চাকরির বিষয়ে খোঁজ নিলে লিটন জানান, চিন্তার কিছু নেই, সব ঠিক আছে। তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেব। এরপর আনুমানিক সকাল ১০টার দিকে লিটন কক্ষে ঢুকে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। বাড়ি ফেরার পথে মেয়ে তার বাবাকে ঘটনাটি জানায়।
ঘটনার বিষয়ে ফাস্ট সলিউশন লিমিটেডের সুপারভাইজার মো. হানিফের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি মোবাইল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল বারিক জানান, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং অভিযুক্ত লিটন পলাতক থাকায় তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে। দ্রুতই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরো জানান, ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষা গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সম্পন্ন করা হয়েছে।
ঢাকা/রফিক/টিপু