ফেসবুকে প্রেমের সূত্র ধরে ভোলার এক কলেজ ছাত্রীকে খুলনার তেরখাদা উপজেলায় এনে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে প্রেমিকের বিরুদ্ধে। 

এ ঘটনায় শাওন মন্ডল (২৪) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শাওন তেরখাদা উপজেলার কাকদি এলাকার গৌরাঙ্গ মন্ডলের ছেলে।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। তেরখাদা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, শাওন মন্ডলের সাথে মুসলিম যুবতী কলেজ ছাত্রীর (২১) গত ২/৩ বছর পূর্বে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। সেই সুবাদে শাওন মন্ডলের সাথে তার প্রতিনিয়ত কথা বার্তা হতো। একপর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাদের। প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে শাওনের সাথে দেখা করতে ওই ছাত্রী ১২ মার্চ সকালে বাসযোগে ভোলা থেকে খুলনায় পৌঁছায়। শাওন মন্ডলের সাথে ফোনে যোগাযোগ করে সে ওই তরুণীকে তেরখাদায় যেতে বলে। মেয়েটি তেরখাদা বাজারে পৌঁছালে শাওন মন্ডল তাকে তার বাড়ি নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বুধবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে তেরখাদা গ্রামে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের সামনে নিয়ে কুপ্রস্তাব দেয় এবং যৌন নিপীড়ন করে।

তেরখাদা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী হাসান জানান, এই ঘটনা জানার পর মুসলিম ওই যুবতীর স্বজনরা ভোলা থেকে খুলনায় এসে বুধবার গভীর রাতে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর তাৎক্ষণিকভাবে শাওন মন্ডলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। কলেজ শিক্ষার্থী যুবতীকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে।

ঢাকা/নুরুজ্জামান/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

৫ আগস্টের মধ্যে জুলাই সনদ না হলে অবরোধের হুঁশিয়ারি আপ বাংলাদেশের

জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র জারির দাবিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে ইউনাইটেড পিপলস (আপ) বাংলাদেশ। আজ শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগে গণজমায়েত থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। দাবি পূরণ না হলে ৬ আগস্ট থেকে দেশজুড়ে অবরোধ কর্মসূচি পালনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংগঠনটি।

‘৩৬ জুলাইয়ের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র ও সনদের দাবি’ শীর্ষক গণজমায়েতে অংশ নেন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা আপ বাংলাদেশের নেতা–কর্মীরা। জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের এক বছর পার হলেও জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র জারি না হওয়াকে অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতা হিসেবে দেখছেন তাঁরা।

আপ বাংলাদেশের আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ বলেন, ‘আমরা একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ চেয়েছিলাম। কিন্তু আহতদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। আমরা দেখেছি, যারা জুলাইয়ের নেতৃত্বে ছিল, জুলাইয়ের পরে তাদের পকেট ভারী হয়েছে। আমি বলতে চাই, আপনাদের এই পকেটের হিসাব দিতে হবে।’

অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে আলী আহসান বলেন, ‘আপনারা জুলাই ঘোষণাপত্র দিতে পারবেন কি পারবেন না, তা জানান; না পারলে আমরা আছি। যারা জীবন দিতে প্রস্তুত ছিলাম, বাংলাদেশের (সেই) ২০ কোটি জনগণ জুলাই ঘোষণাপত্র জারি করবে।’

আপ বাংলাদেশের আহ্বায়ক বলেন, ‘৩৬ জুলাইয়ের মধ্যে যদি জুলাই ঘোষণাপত্র না হয়, তাহলে ৬ আগস্ট থেকে দেশজুড়ে অবরোধ শুরু হবে। এ সরকারের কোনো হুমকি আমাদের দমিয়ে রাখতে পারবে না।’

গণজমায়েতে অংশ নিয়ে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান বলেন, আপ বাংলাদেশের নেতারা এখনো কোনো প্রটোকল ছাড়া রাস্তাঘাটে হাঁটেন। কিন্তু তাঁরা যেদিন প্রটোকল নিতে শুরু করবেন, সেদিন থেকে তাঁদের বিরুদ্ধেও তিনি কথা বলা শুরু করবেন।

জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র জারির আহ্বান জানিয়ে শরীফ ওসমান বলেন, এখন পর্যন্ত বিদ্যমান আইনি কাঠামোয় জুলাই শহীদেরা রাষ্ট্রদ্রোহী। তাঁদেরকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। আজকের মধ্যে সরকার দিনক্ষণ না জানালে আগামী ৩ তারিখ (আগস্ট) ইনকিলাব মঞ্চের উদ্যোগে কফিন মিছিল নিয়ে সচিবালয় অবরোধ করা হবে।

বিগত এক বছর থেকে একটি দুর্বল সরকার দেশ চালাচ্ছে উল্লেখ করে আপ বাংলাদেশের সদস্যসচিব আরেফিন মোহাম্মদ বলেন, ‘জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তিতে ঘোষণাপত্রের জন্য আমাদের আবারও গণজমায়েত করতে হচ্ছে। এর চেয়ে লজ্জাজনক আর কী হতে পারে?’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এ বি জুবায়ের বলেন, ‘আমরা যে মৌলিক সংস্কার চেয়েছিলাম, এখনো তার কিছুই হয়নি। এখনো শহীদ পরিবারের পুনর্বাসন ও আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত হয়নি। আমি উপদেষ্টাদের উদ্দেশে বলতে চাই, অবিলম্বে জুলাই সনদ ঘোষণা করুন। আপনাদের কাছে আমাদের চাওয়া–পাওয়া খুব বেশি নেই।’

গণজমায়েতে র‌্যাপ গান পরিবেশন করেন আপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য আহনাফ তাহমিদ। স্বাগত বক্তব্য দেন জুলাই শহীদ ওসমান পাটোয়ারীর বাবা আবদুর রহমান। গণজমায়েতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন আপ বাংলাদেশের প্রধান সমন্বয়কারী রাফে সালমান রিফাত, প্রধান সংগঠক নাঈম আহমেদ, মুখপাত্র শাহরিন সুলতানা প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ