পরীক্ষায় পরিকল্পিতভাবে নাম্বার কমিয়ে দেওয়ার অভিযোগ জাবি শিক্ষার্থীর
Published: 13th, March 2025 GMT
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে পরিকল্পিতভাবে গবেষণা রিপোর্টে নাম্বার কমিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
অভিযুক্ত শিক্ষক হলেন, জাবি প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক আশীষ কুমার দত্ত। তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হলেন, একই বিভাগের মো.
জানা গেছে, জাবির প্রাণিবিদ্যা বিভাগে চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রজেক্ট/রিচার্স রিপোর্ট কোর্স বাধ্যতামূলক। এটি দুই ক্রেডিটের একটি মূল্যায়নভিত্তিক কোর্স, যেখানে প্রথম পরীক্ষক হিসেবে শিক্ষার্থীর সুপারভাইজার এবং দ্বিতীয় পরীক্ষক হিসেবে বিভাগের অন্য একজন শিক্ষক নম্বর প্রদান করেন।
আরো পড়ুন:
লাকি আক্তারের গ্রেপ্তার দাবিতে মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
‘জাবিয়ানদের সাথে গণইফতার’
বিভাগের বনপ্রাণিবিদ্যা গবেষক শিক্ষকদের মধ্যে দুইটি গ্রুপ রয়েছে। একটি আওয়ামীপন্থি গ্রুপ, যার নেতৃত্বে আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য ও জুলাই হামলায় অভিযুক্ত অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ এবং অপর গ্রুপের নেতৃত্বে আছেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মনিরুল হাসান খান। তাদের মধ্যকার দ্বন্দের প্রভাব পরীক্ষার ফলাফলের ওপর পড়ে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মো. রবিন হোসেন জানান, তিনি ওয়াইল্ডলাইফ ব্রাঞ্চের অধ্যাপক ড. মনিরুল হাসান খানের অধীনে তার গবেষণা রিপোর্ট সম্পন্ন করেন। কিন্তু দ্বিতীয় পরীক্ষক হিসেবে মনোনীত আওয়ামীপন্থি গ্রুপের আশীষ কুমার দত্ত ইচ্ছাকৃতভাবে তাকে ফেল করানোর জন্য অত্যন্ত কম নম্বর দেন। পরবর্তী ধাপে তৃতীয় পরীক্ষকও একই গ্রুপের হওয়ায় তিনিও তার নম্বর বাড়াননি।
তিনি বলেন, “আমি বিভাগের চেয়ারম্যান স্যার ও উপাচার্য স্যারের নিকট অভিযোগ দিয়েছি। আমার গবেষণা রিপোর্ট অন্যন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দিয়ে মূল্যয়ন করা হোক। যদি আমার অভিযোগ মিথ্যা হয় মেনে নেব, অন্যথায় এ বৈষম্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের তদন্ত সাপেক্ষে বিচার চাই।”
প্রাপ্ত গ্রেডশিট অনুযায়ী, ওই শিক্ষার্থী অন্যান্য সকল বিষয়ে ভালো ফল করলেও শুধু রিসার্চ রিপোর্ট কোর্সে ‘ডি’ (২.০০) পেয়েছেন। তার অন্যান্য বিষয়গুলোতে তিনি ‘এ+’ (৪.০০), ‘এ’ (৩.৭৫) এবং ‘বি+’ (৩.২৫) পেয়েছেন, যা স্পষ্টতই তার সাধারণ পারফরম্যান্সের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের এক সাবেক শিক্ষার্থী জানান, অন্য গ্রুপের শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করায় এটার প্রভাবে বিপরীত গ্রুপের শিক্ষকরা আমার ভাইভাতে সর্বনিম্ন নাম্বার দিয়েছিলেন। যা আমার অন্য কোর্সের সঙ্গে কোনভাবেই সমঞ্জস্যপূর্ণ নয়। শিক্ষকদের গ্রুপিংয়ের বলি সর্বদাই শিক্ষার্থীরা হয়, এটা খুবই নিন্দনীয়। এসব শিক্ষক একাডেমিক ও নৈতিক দিক থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য ক্ষতিকর।
অভিযুক্ত শিক্ষক অধ্যাপক আশীষ কুমার দত্তের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি।
তবে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মানছুরুল হক বলেন, “এ বিষয়ে এখন কিছু বলতে পারছি না, কখন পারব তা বলা মুশকিল। অফিসে এসে দেখা করেন।” এ কথা বলেই তিনি ফোন কেটে দেন।
ঢাকা/আহসান/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ ক ষকদ র য় পর ক পর ক ষ
এছাড়াও পড়ুন:
রাজকীয় ভোজে ট্রাম্প–মেলানিয়াকে কী কী খাওয়ালেন রাজা চার্লস
জমকালো সাজে সেজেছে যুক্তরাজ্যের উইন্ডসর ক্যাসলের সেন্ট জর্জেস হল। উপলক্ষটাও অনন্য, রাজকীয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সস্ত্রীক যুক্তরাজ্য সফর উপলক্ষে এখানে রাজকীয় নৈশ্যভোজ আয়োজন করেন রাজা তৃতীয় চার্লস ও রানি ক্যামিলা।
বুধবার রাতের রাজকীয় এ আয়োজনে কূটনীতি, খাবার, ঐতিহ্য, সংগীত আর আভিজাত্য একসুতোয় বাঁধা পড়েছিল। ট্রাম্প–মেলানিয়াসহ রাজার অতিথি হয়েছিলেন বিশ্বের ১৬০ জন গণমান্য ব্যক্তি।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্মানে রাজা তৃতীয় চার্লসের আয়োজন করা রাজকীয় ভোজের টেবিল। যুক্তরাজ্যের উইন্ডসর ক্যাসলের সেন্ট জর্জেস হল, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫