পুতিনের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে: ট্রাম্প
Published: 14th, March 2025 GMT
ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ‘ভালো ও ফলপ্রসূ’ আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ নিয়ে নিজস্ব সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে প্রশংসা করেছেন তিনি। যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে মস্কো সফর করছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফ।
ট্রাম্প বলেন, বৃহস্পতিবার রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ‘ভালো ও ফলপ্রসূ’ আলোচনা হয়েছে। তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে হাজার হাজার ইউক্রেনীয় সৈন্যের জীবন রক্ষা করার জন্য অনুরোধ করেছেন।
সতর্ক করে তিনি বলেন, রাশিয়ান সামরিক বাহিনী ইউক্রেনের হাজারো সেনাকে সম্পূর্ণরূপে ঘিরে রেখেছে। তারা ‘খুব খারাপ ও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে’ রয়েছে। তাই তাদের জীবন বাঁচাতে পুতিনকে অনুরোধ করেন তিনি। ট্রাম্প আরও যোগ করেন, তা না করলে এটি একটি ভয়াবহ গণহত্যা হবে, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর দেখা যায়নি।
এদিকে পুতিন বলেছেন, তিনি ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতির ধারণার সঙ্গে একমত। তবে এই যুদ্ধবিরতির ধরন নিয়ে ‘প্রশ্ন’ রয়ে গেছে। একই সঙ্গে তিনি বেশ কিছু কঠোর শর্তও দিয়েছেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি যুদ্ধবিরতি নিয়ে পুতিনের প্রতিক্রিয়া জানানোর বিষয়টিকে ‘চালাকি’ বলে ব্যাখ্যা করেন। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার তেল, গ্যাস ও ব্যাংকিং খাতে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
অন্যদিকে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান পুতিনের সঙ্গে টেলিফোনে আলোচনায় ইউক্রেন সংকটের রাজনৈতিক সমাধানের লক্ষ্যে সংলাপে সহায়তা এবং সব ধরনের উদ্যোগে সমর্থন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। শুক্রবার এক বিবৃতিতে এই কথা জানানো হয়েছে।
এ ছাড়া রাশিয়া দাবি করেছে, দেশটির সেনাবাহিনী কুরস্ক অঞ্চলের শেষ কয়েকটি ইউক্রেনীয় ঘাঁটি উচ্ছেদের অভিযানে আরও একটি গ্রাম পুনর্দখল করেছে। শুক্রবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গোঞ্চারোভকা গ্রামটি তাদের নিয়ন্ত্রণে এসেছে। খবর বিবিসি ও রয়টার্সের।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ছিনতাই প্রতিরোধে ব্যর্থ হওয়ায় ভৈরব থানায় ওসির জন্য শাড়ি–চুড়ি নিয়ে এলেন জনতা
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ছিনতাই প্রতিরোধে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগে থানায় বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয় কয়েক শ জনতা। তাঁরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) জন্য শাড়ি ও চুরি নিয়ে আসেন। আজ শনিবার বিকেল পাঁচটার দিকে এ বিক্ষোভ হয়। ছিনতাই প্রতিরোধে পুলিশকে তিন দিনের আলটিমেটাম দেন তাঁরা। এ সময় থানার ওসি খন্দকার ফুয়াদ (রুহানী) ও জ্যেষ্ঠ উপপরিদর্শক (এসআই) এমদাদুর রহমান বিক্ষুব্ধ ব্যক্তিদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন।
বিক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা বলেন, ভৈরব শহরের কোনো সড়ক এখন আর নিরাপদ নেই। কেবল রাতে নয়, দিনেও লোকজন ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে সর্বস্ব খোয়াচ্ছেন।
ছিনতাইকারীরা কেবল মুঠোফোন ও টাকা নিয়ে শান্ত হচ্ছে না, সব দিয়ে দেওয়ার পরও ছুরিকাঘাত করে পথচারীদের রক্তাক্ত জখম করছে। তখন আক্রান্ত ব্যক্তিদের অসহায়ত্ববরণ করতে হয়। শত চেষ্টা করেও ছিনতাই কমানো যাচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যর্থতা পদে পদে দৃশ্যমান হচ্ছে। এ অবস্থায় ভৈরবে স্বাভাবিক জীবনযাপন প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ছে। পুলিশ সক্রিয় থাকলে পরিস্থিতি এতটা নাজুক হতো না। পুলিশের ক্রমাগত ব্যর্থতার জন্যই উপহার হিসেবে ওসির জন্য শাড়ি ও চুড়ি নিয়ে আসা হয়েছে। ছিনতাই প্রতিরোধে ব্যর্থ হলে, বিশেষ করে ওসি যেন শাড়ি–চুড়ি পরে অফিস করেন।
তিন দিনের ভেতর ছিনতাইকারীদের গ্রেপ্তার ও পুরোপুরি ছিনতাই বন্ধ করতে না পারলে পুলিশের বিরুদ্ধে কঠিন কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকার ঘোষণা দেন বিক্ষুব্ধ লোকজন। থানায় বিক্ষোভ করার আগে ঢাকা–সিলেট মহাসড়কের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ভাস্কর্য ‘দুর্জয় ভৈরব’ চত্বরে ছাত্র ও যুবসমাজের ব্যানারে সভা হয়। সভায় বক্তব্য দেন মনিরুজ্জামান, আজহারুল ইসলাম, নূরে আলম, শাহরিয়ার মোস্তুফা, মো. রিয়াদ, হান্নান আহমেদ, মো. জিহাদ, ভুক্তভোগী ফারদিন আহমেদ প্রমুখ।
ওই সভায় বক্তারা বলেন, আগে ভৈরবের ১ নম্বর সমস্যা ছিল মাদক। ভৈরবে মাদক কমেনি, বেড়েছে। তারপরও এখন ছিনতাইকে ভৈরবের ১ নম্বর সমস্যা ধরা হয়। ছিনতাই ইস্যুতে ভৈরবের ঘরে ঘরে আতঙ্ক। সমস্যা সমাধানে নাগরিক সমাজের নানা উদ্যোগেও প্রত্যাশিত ফল আসছে না। এ ক্ষেত্রে পুলিশও ব্যর্থ। ফলে দিন দিন ছিনতাই না কমে, বরং বাড়ছে। আগে রাতে ছিনতাই হতো, এখন দিনেও হচ্ছে। ভৈরবের বেশ কয়েকটি প্রভাবশালী বাড়ির লোকজনের প্রত্যক্ষ শেল্টারে ছিনতাইকারীর একাধিক চক্র সক্রিয়। প্রতিবছর ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে এক বা একাধিক ব্যক্তির মৃত্যু হচ্ছে। কোনোটির বিচার হচ্ছে না।