Samakal:
2025-06-16@14:40:32 GMT

যেখানে প্রাণীর রাজত্ব চলে...

Published: 14th, March 2025 GMT

যেখানে প্রাণীর রাজত্ব চলে...

মানুষের কারণে পশুপাখির জীবনযাত্রা ব্যাহত হওয়া পৃথিবীতে এখনও অনেক শহর-গ্রাম আছে, যেখানে প্রাণীরা নির্বিঘ্নে বসবাস করছে। সেসব এলাকায় তারাই প্রধান প্রাণী। তেমনই কিছু শহর-গ্রাম কিংবা দ্বীপ নিয়ে জানাব আজ।
ঘোড়ার দ্বীপ: যুক্তরাষ্ট্রে ঘোড়াদের এক দ্বীপ আছে, যেখানে ঘোড়া নির্বিঘ্নে চলাফেরা করে। যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া এবং মেরিল্যান্ড রাজ্যের এই দ্বীপের নাম অ্যাসাটেগ দ্বীপ; যাকে হর্সল্যান্ডও বলা হয়। এই দ্বীপ মূলত বিখ্যাত ঘোড়ার জন্য। এখানে এরা সৈকত থেকে শুরু করে সব জায়গায় ঘুরে বেড়ায়। তাই মানুষের বসবাস নেই বললেই চলে। তবে পর্যটকরা এখানে ঘুরতে আসতে পারেন। এখানে বন্যঘোড়া ছাড়াও আরও ৩২০টির বেশি প্রজাতির পাখি পাওয়া যায়। তাই এ দ্বীপকে প্রাণীদের অভয়ারণ্যও বলা যায়। পর্যটকরা এখানে বন্যঘোড়ার সঙ্গে সময় কাটাতে পারেন কিংবা নির্মল সৈকতে সাইকেল চালাতে পারেন। এ দ্বীপে ৩৭ মাইলের মতো দীর্ঘ সৈকত আছে।
শিয়ালদের গ্রাম: আমাদের গ্রামে শিয়াল এলে আমরা আতঙ্কিত হই; তবে জাপানের এ শিয়ালদের গ্রামে মানুষ এলে শিয়ালরা আতঙ্কিত হয় না। জাপানের শিরোইশির কাছে পাহাড়ে অবস্থিত একটি ‘গ্রাম’ আছে; যা ১০০টিরও বেশি প্রাণী এবং ৬টি বিভিন্ন জাতের শিয়াল দিয়ে পরিপূর্ণ। জাও ফক্স ভিলেজ নামে এই গ্রাম জাপানের অন্যতম দর্শনীয় স্থান। শিয়ালরা অবাধে এই গ্রামে ঘুরে বেড়ায়, যেখানে দর্শনার্থীরা প্রবেশ করতে পারেন। শিয়াল জাপানি লোককাহিনি এবং লোককাহিনিতে জনপ্রিয় প্রাণী। পাহাড়ের কোলে গ্রামটিতে শিয়াল ছাড়াও আরও বেশ কিছু প্রাণী আছে। তবে শিয়ালই এখানকার মূল আকর্ষণ। দর্শনার্থীরা এখানে ফি দিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন। শিয়ালকে খাবার দিতে পারবেন। তবে তাদের বেশ সতর্ক থাকতে হয়।
সিল দ্বীপ: দক্ষিণ আফ্রিকার সমুদ্রের মাঝখানে এক অদ্ভুত দ্বীপ। যেখানে আছে অসংখ্য সামুদ্রিক সিল। দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনের কাছেই আছে এমন এক দ্বীপ। সিল দ্বীপের বেশির ভাগ বাসিন্দা সিল প্রাণী। দ্বীপটিতে প্রতিবছর ১২ থেকে ১৮ হাজার সিলের বাচ্চা জন্ম নেয়। মূলত সিল শিকার এবং এদের জীববৈচিত্র্য টিকিয়ে রাখতে এই দ্বীপ সিলদের জন্য সংরক্ষিত। তবে প্রায়ই এই দ্বীপে সিল শিকারের জন্য হাঙর আক্রমণ করে। বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে হাঙর বেশি আক্রমণ করে। তাছাড়া অন্য সময় সিলগুলো মাছ ধরে শান্তিতে বসবাস করে দ্বীপে।
হরিণের শহর: এশিয়ার মধ্যে প্রাণীদের জন্য অন্যতম অভয়ারণ্য এই শহর। জাপানের নারা শহরে মানুষের সঙ্গে ঘুরে বেড়ায় হরিণ। রাস্তাঘাটে হরিণ সেখানে স্বাভাবিক ব্যাপার। এ শহরে প্রায় ১ হাজার ২০০টি হরিণ ঘুরে বেড়ায়। কথিত আছে, প্রাচীনকালে এই শহরে হরিণ শিকার নিষিদ্ধ ছিল। হরিণকে এখানে পবিত্র প্রাণী মনে করা হয়। তাই এখানে হরিণ নির্বিঘ্নে ঘুরে বেড়ায়। নারা শহরে একটি পার্কও আছে। যেখানে দর্শনার্থীরা ঘুরে বেড়াতে পারেন।
কাঠবিড়ালির দ্বীপ: যুক্তরাজ্যের দক্ষিণ উপকূলের এই মনোরম দ্বীপটিতে বিরল লাল কাঠবিড়ালির আবাসস্থল। ব্রাউনসি দ্বীপ নামে এই দ্বীপ যুক্তরাজ্যের বিশেষ দ্বীপ। কেননা, এখানে কাঠবিড়ালি ছাড়াও ২৫০ ধরনের প্রাণী আছে। পরিযায়ী পাখিও দেখা যায়। বিভিন্ন ঋতুতে বিভিন্ন প্রাণী দেখা যায়। তবে কাঠবিড়ালি এখানকার প্রধান প্রাণী। প্রায়ই এদের গাছে গাছে ঝুলতে দেখা যায় এবং বাদাম কুড়াতে দেখা যায়। ১৯৬২ সালে ব্রাউনসি দ্বীপটি বন্যপ্রাণী এবং মানুষের উপভোগের জন্য সংরক্ষিত করা হয়। বর্তমানে সেখানে পর্যটকরাও যেতে পারেন। v
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এই দ ব প র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে কেউ অসুন্দর করলে ব্যবস্থা: চসিক মেয়র

অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পর করণীয় নির্ধারণে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত পরিদর্শন করেছে সিটি করপোরেশনের মেয়র, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান ও জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি। পরিদর্শন শেষে জানানো হয়েছে, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত উন্মুক্ত পরিসর হিসেবে থাকবে। কোনো বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার হবে না। কেউ সৈকতকে অসুন্দর করে তুললে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত চট্টগ্রামের সম্পদ। যেটার মাধ্যমে দেশে-বিদেশে চট্টগ্রামকে সবাই চেনে। এটি চট্টগ্রামের প্রধান পর্যটন কেন্দ্রও। ফলে যেকোনো প্রকারে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতকে সুন্দর রাখতে হবে। পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতকে কেউ অসুন্দর করার চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে অবৈধভাবে কয়েক’শ দোকান গড়ে উঠে। এগুলোর জন্য সৈকতের সৌন্দর্য ঢাকা পড়ে। গত ১১ জুন অভিযান চালিয়ে শতাধিক দোকান উচ্ছেদ করে সিটি করপোরেশন। সিটি মেয়র বলেন, ‘এখানে অবৈধভাবে অনেকে চেয়ার নিয়ে এমনভাবে বসে গেছে মানুষ হাঁটতে পারছিল না। একজন পর্যটক এসে সৈকতের সৌন্দর্য দেখতে পারছিল না। এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এখন পর্যটকরা সৈকতের সৌন্দর্য অবলোকন করতে পারছেন। এ দৃশ্যটা যেন সবসময় থাকে। এখনো অনেক ময়লা আছে। এগুলো পরিস্কার করা হবে।’

সমুদ্র সৈকতের নান্দনিক পরিবেশ ধরে রাখতে স্থানীয় রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষের সঙ্গে বসবেন জানিয়ে মেয়র বলেন, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে দখলমুক্ত রাখতে একটা স্থায়ী সমাধান বের করা হবে। যাতে পর্যটকরা এসে সৌন্দর্য অবলোকন করতে পারেন। যাতে কেউ তাদের জোর করে বাসি খাবার ধরিয়ে দিতে না পারে। কোন পর্যটক যেন বলতে না পারে; পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে গিয়ে হয়রানির শিকার হয়েছি।’ 

পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এলাকায় চাঁদার বিনিময়ে দোকান বসালে ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করলে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানান মেয়র। 

সিডিএ চেয়ারম্যান প্রকৌশলী নুরুল করিম বলেন, ‘পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত চট্টগ্রামবাসীর সম্পদ। এটি বাণিজ্যিক কাজে যেন ব্যবহার না হয়। এটি চট্টগ্রাম ও দেশের মানুষের জন্য উন্মুক্ত পরিসর হিসেবে থাকবে। এখানে যেন ধনী-গরীব সব শ্রেণির মানুষ যেন আসতে পারেন।’ 

এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. কামরুজ্জামান, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী হাসান বিন শামস উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে কেউ অসুন্দর করলে ব্যবস্থা: চসিক মেয়র