এ বছর ‘কান চলচ্চিত্র উৎসব’-এ যাচ্ছেন বলিউড অভিনেত্রী আলিয়া ভাট। বিশ্বের মর্যাদাপূর্ণ এই চলচ্চিত্র উৎসবে প্রথমবার পা রাখতে যাচ্ছেন তিনি। এ খবর শুনে অনেকে অবাক হয়েছেন। কারণ একটাই, নন্দিত এই অভিনেত্রীর এখনও ‘কান চলচ্চিত্র উৎসব’-এ অংশ নেওয়া হয়নি, সে খবর অনেকের অজানা। সুপারস্টারদের বাইরেও বলিউড অভিনেত্রীদের অনেকে ছুটে গেছেন কান সাগর পারে। চলচ্চিত্র উৎসবকে কেন্দ্র করে দ্বিতীয় সারির অভিনেত্রীদের দেখা মিলেছে কান সাগর পারে; অথচ আলিয়া সেখানে যাননি! বিস্ময় নিয়ে এ প্রশ্নই উঠে এসেছে নেটিজেনদের কাছ থেকে। আলিয়া নিজেই যখন বিষয়টি খোলাসা করেছেন, তখন এ নিয়ে আর কোনো প্রশ্নের অবকাশ থাকে না।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া থেকে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সকালে মুম্বাইয়ে পাপারাজ্জিকে নিয়ে প্রি-বার্থডে সেলিব্রেশনে মেতে উঠেছিলেন আলিয়া ভাট। সে অনুষ্ঠানেই অভিনেত্রী ফাঁস করেন কানে যাওয়ার খবরটি। জানান, চলতি বছরের কান চলচ্চিত্র উৎসবে যোগ দিচ্ছেন তিনি। এমনিতেও প্রতি বছর কানের মঞ্চে ভারতীয় বিনোদর দুনিয়ার তারকাদের দেখা যায়। সেই তালিকায় ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের পাশাপাশি দীপিকা পাড়ুকোন, ক্যাটরিনা কাইফ থেকে শুরু করে অদিতি রাও হায়দরি, এশা গুপ্তা, মল্লিকা শেরওয়াত, ম্রুণাল ঠাকুর, হিনাসহ রয়েছে অনেকের নাম। সেখানে এবার নবতম সংযোজন আলিয়া ভাট। এই আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে যোগ দেওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকেন তারকারা। সেই আমন্ত্রণ এবার আলিয়া ভাটের কাছে। এ নিয়ে আগেও গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল, তবে বিষয়টি যে সত্যি, সেটি বৃহস্পতিবার নিশ্চিত করেছেন অভিনেত্রী নিজে। আলিয়ার কথায়, ‘‘আমি এখন প্রহর গুনে যাচ্ছি ‘কান চলচ্চিত্র উৎসব’-এ যোগ দেওয়ার জন্য। কারণ অভিনয় জগতের সবার মতো আমার কাছেও এই উৎসবটি স্পেশাল।’’
এদিকে অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজনা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন আলিয়া ভাট। অভিনেত্রী হিসেবে সবসময় ভিন্ন স্বাদের গল্প-চরিত্রের সিনেমা বেছে নিয়েছেন, তেমনি প্রযোজক হিসেবে ভালো কিছু কাজ উপহার দেওয়া তাঁর লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন এই অভিনেত্রী। এও জানিয়েছেন, অন্য প্রযোজকদের মতো বক্স অফিসের নম্বর নিয়ে তিনি কখনও মাথা ঘামান না। বক্স অফিসের ইঁদুর দৌড়ে অংশ নেওয়ার ইচ্ছাও তাঁর নেই। তাই প্রযোজক হিসেবে ভালো কনটেন্টকে প্রাধান্য দিয়ে আসছেন।
প্রসঙ্গত এক দশকের অভিনয় ক্যারিয়ারে নানা ধরনের গল্প ও চরিত্রে অভিনয় করে আলিয়া জয় করেছেন অগণিত দর্শক হৃদয়। অনবদ্য অভিনয়ের জন্য জাতীয় পুরস্কার থেকে শুরু একাধিকবার ফিল্মফেয়ারসহ বিভিন্ন পুরস্কার ও সন্মাননা পেয়েছেন এ অভিনেত্রী। আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে পুরস্কার উঠেছে তাঁর হাতে। বলিউড জয় করে পা রেখেছেন হলিউডের মাটিতে। দর্শক প্রশংসা কুড়িয়েছেন হলিউড হিসেবে ‘হার্ট অব স্টোন’-এ অভিনয় করে। ২০২৪ সালে বিশ্বের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের তালিকাতেও যুক্ত হয়েছে আলিয়ার নাম।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আল য় ভ ট ক ন চলচ চ ত র উৎসব ন আল য়
এছাড়াও পড়ুন:
সিডনিতে ড্র অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের কেউ না থাকায় হতাশ প্রবাসীরা
সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে সিডনির ঐতিহাসিক টাউন হল যেন পরিণত হলো এক রঙিন উৎসবের মঞ্চে। ঝকঝকে আলোর ঝলকানি, দৃষ্টিনন্দন সাজসজ্জা, নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা আর বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে দলে দলে আসা অতিথিদের পদচারণে মনে হচ্ছিল এ যেন কোনো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব বা পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। অথচ এটি ছিল ২০২৬ নারী এশিয়ান কাপ ফুটবলের ড্র অনুষ্ঠান, যেখানে এশিয়ার সেরা নারী ফুটবল দলগুলোর ভাগ্য নির্ধারিত হচ্ছিল।
বিকেল সাড়ে পাঁচটায় দরজা খোলার আগেই টাউন হলের সামনে জড়ো হয়েছিলেন নানা দেশের ফুটবলপ্রেমীরা। তাঁদের হাতে নিজ নিজ দেশের পতাকা, পরনে ঐতিহ্যবাহী পোশাক। অস্ট্রেলিয়া, চীন, উত্তর কোরিয়া, জাপান, ভারত, ভিয়েতনাম, উজবেকিস্তান, ফিলিপাইন, ইরানসহ ১১টি দেশের ফুটবল দলের প্রতিনিধি, অধিনায়ক বা কোচের কেউ না কেউ সেখানে উপস্থিত ছিলেন। বিশ্ব ফুটবলের এই মিলনমেলায় সবাই নিজ দেশের নাম উজ্জ্বল করতে এসেছেন। কিন্তু এই আলো ঝলমলে মঞ্চে ছিলেন না বাংলাদেশের নারী ফুটবল দলের কোনো প্রতিনিধি।
অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্ব ফুটবলের এত বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি আয়োজন হলো, অথচ বাংলাদেশের কোনো প্রতিনিধি নেই—এটা মেনে নেওয়া যায় না, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা এখানে এসেছিলাম আমাদের মেয়েদের দেখতে, নিজেদের দেশের জার্সি গায়ে দেওয়া তারকাদের সঙ্গে ছবি তুলতে চেয়েছিলাম।সাঈদ ফয়েজ, অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী সাংস্কৃতিক কর্মী ও ইভেন্ট সংগঠকঅথচ এটা বাংলাদেশের জন্য ইতিহাস গড়ার বছর। এই প্রথম বাংলাদেশের মেয়েরা এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছেন। কিন্তু সেই গৌরবময় মুহূর্তে, যখন বিশ্ব ফুটবল পরিবার সিডনিতে একত্র, তখন মঞ্চে অনুপস্থিত বাংলাদেশ। না কোনো ফুটবলার, না কোচ, না বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কোনো কর্মকর্তা। এই অনুপস্থিতি ছিল অত্যন্ত দৃষ্টিকটু এবং বেদনাদায়ক, কারণ মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ভারতের তারকা খেলোয়াড়সহ অন্যান্য দেশের ক্রীড়া ব্যক্তিত্বরা। তাঁরা ট্রফির পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, বিশ্ব গণমাধ্যমের সামনে নিজেদের দেশকে তুলে ধরেছেন, আর স্মৃতির ক্যামেরায় ধরে রাখছেন ঐতিহাসিক মুহূর্ত। আর বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বের জায়গাটিতে খাঁ খাঁ শূন্যতা।
ভারত নারী দলের মিডফিল্ডার সংগীতা বাসফোর ড্র–তে বাংলাদেশের নাম তোলেন