মেসি-দিবালা নেই, আর্জেন্টিনার ১০ নম্বর জার্সি কার
Published: 21st, March 2025 GMT
সেবার বুয়েন্স আয়ার্সে এসে একঘর মানুষের সামনে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে গিয়েছিল উরগুয়ে। এবার তাদের মাঠে গিয়ে বদলা নেওয়ার পালা আলভারেজদের । মন্টিভিডিওতে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে (বাংলাদেশ সময় শনিবার সকাল ৫টা ৩০ মিনিট) মুখোমুখি হবে উরুগুয়ে-আর্জেন্টিনা। তবে গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে মেসি, দিবালা, লাওতারোদের পাচ্ছে না আর্জেন্টিনা। কোচ স্কালোনির চিন্তাটা তাই আক্রমণভাগ নিয়েই।
সেই হিসেবে একেবারে নির্ভার উরুগুয়ের আর্জেন্টাইন কোচ মার্সেলো বিয়েলসা। গেমিনেজ, ভালবার্দে, নুনেজরা রয়েছেন দারুণ ফর্মে। গেল নভেম্বরেই তারা ঘরের মাঠে কলম্বিয়াকে হারিয়েছে, ড্র করেছে ব্রাজিলের সঙ্গে। তবে মেসিশূন্য এই ম্যাচে নতুনদের নিয়ে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষারও সুযোগ থাকছে। মেসির জায়গায় কে গায়ে জড়াবেন ১০ নম্বর জার্সি? তার উত্তর জানার অপেক্ষায় আছেন সমর্থকরা।
২০০৫ সালে অভিষেক হওয়ার পর ১০ নম্বর জার্সিটি পেতে তাঁর অপেক্ষা করতে হয় আরও চার বছর। ২০০৯ সালের ২৮ মার্চ ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে প্রথম সেই নম্বরটি পান মেসি। তার পর থেকে আর্জেন্টিনা দলের এই নম্বরটিই তাঁর নামের সঙ্গে মিশে আছে। সেদিন থেকে এ পর্যন্ত আর্জেন্টিনা মোট ২১৫টি ম্যাচ খেলেছে, চোট আঘাত কাটিয়ে তার মধ্যে মেসি খেলেছেন ১৫৫টি ম্যাচ। এর মধ্যে ১৪ জনের সৌভাগ্য হয়েছে সেই ১০ নম্বর জার্সিটি গায়ে জড়িয়ে মাঠে নামার। ওর্তেগা, পেরেজ, গাইতানদের অনেকেই ১০ নম্বর নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন। তবে তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সাতবার মেসির অনুপস্থিতিতে তাঁর বন্ধু সার্জিও আগুয়েরা ১০ নম্বর পরে খেলেছেন। ডি মারিয়াও দু’বার নেমেছেন।
সম্প্রতি দিবালাকেও দেখা গেছে আর্জেন্টিনার ১০ নম্বর গায়ে খেলতেন। কিন্তু এবার যে দিবালাও নেই। বাঁ পায়ের থাই পেশিতে অস্ত্রোপচার করাতে হবে তাঁর। তাই আর্জেন্টাইন মিডিয়ার কৌতূহল আজ উরুগুয়ের বিপক্ষে কার গায়ে চড়বে সেই জার্সি। টিওয়াইসি স্পোর্টসের ইঙ্গিত, অ্যাঞ্জেল কোরেরা হতে পারেন সেই ভাগ্যবান। অবশ্য কিছু ম্যাচ এমনও হয়েছে, মেসি না থাকায় কেউই সেই ১০ নম্বরটি পরে খেলতে নামেননি। আজও কি তেমন কিছু হবে।
কিছু ম্যাচে এই ১০ নম্বর ছাড়াই খেলেছে আর্জেন্টিনা। সাধারণত মেসি যদি না খেলতে না পারেন, তাহলে কোচ স্কালোনি ৪-৪-২ ফরমেশনে দল সাজিয়ে থাকেন। সেখানে বাঁয়ে নিকোলাস গঞ্জালেস আর ডানে রদ্রিগো ডি পলকে রাখেন। মিডফিল্ডে অ্যাঞ্জেল ফার্নান্দেজ, ম্যাক অ্যালিস্টার কিংবা লিওনার্দো পারদেজকে রাখা হয়। আক্রমণে লাওতারো মার্টিনেজ ও জুলিয়ান আলভারেজ থাকেন। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এবার লাওতারো মার্টিনেজ নেই, শেষ মুহূর্তে মাসল ইনজুরির কারণে ক্যাম্প ছেড়েছেন তিনি। আর এই জায়গাতেই সুযোগ তৈরি হয়েছে দলের পাঁচ তরুণ তারকার।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আর জ ন ট ন আর জ ন ট ন
এছাড়াও পড়ুন:
পুলিশের জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েছে: সলিমুল্লাহ খান
লেখক ও অধ্যাপক ড. সলিমুল্লাহ খান বলেছেন, আমাদের বুকে হাত দিয়ে স্বীকার করতে হবে, পুলিশের জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েছে। পুলিশের যে পজিশনে থাকার কথা ছিল সে পজিশনে নেই। পুলিশ যেই আইনে চলে সেখানে পদে পদে সমস্যা আছে। এসব বিষের মাঝেমধ্যে আলোচনা করা উচিত এবং খোলাখুলি আলোচনা হওয়া উচিত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজারবাগে পুলিশ সপ্তাহের বিশেষ আয়োজন ‘নাগরিক ভাবনায় জনতার পুলিশ: নিরাপত্তা ও আস্থার বন্ধন’ আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. সলিমুল্লাহ খান বলেন, পুলিশ শুধু রাষ্ট্রযন্ত্রের অংশ নয়, সমাজেরও অংশ। পুলিশের সঙ্গে জনতার বিভক্তির মূলে যেতে হবে, এটা হলো জনতার সঙ্গে রাষ্ট্রের বিভক্তি। আর এই সমস্যার সমাধান হলো গণতন্ত্র।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাবেক আইজিপি আব্দুল কায়ুম বলেন, এত বড় একটা পরিবর্তন হয়ে গেল, একটা গণঅভ্যুত্থান হয়ে গেল; ছাত্র-জনতা তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষার কথা বলেছে, তারা নতুন একটি বাংলাদেশ গড়তে চায়। একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল স্বাধীনতার পর। কিন্তু সঠিকভাবে আমরা এগোতে পারিনি, আমরা ব্যর্থ হয়েছি। এই যে একটা সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। অনেক আশা-আকাঙ্ক্ষা অনেক স্বপ্ন, এই স্বপ্ন যেন ব্যর্থ না হয়। সে জন্য সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ২০০৯ থেকে ২৪ পর্যন্ত আমরা যা দেখলাম, তা কল্পনা করা যায় না। আগেও গণতন্ত্র ছিল না, কিন্তু আমরা সেবা দিতে পেরেছি। তবে গত ১৫ বছরের মতো আমরা দারোয়ানে পরিণত হইনি। গণতন্ত্র থাকলে যে সুবিধাটা হয়, সেটা হলো, পাঁচ বছর পর আপনাকে ভোটারদের কাছে যেতে হবে এবং মেন্ডেট নিতে হবে আপনি যা ইচ্ছা তাই করতে পারবেন না। ২০০৯ সালের নির্বাচন যে খুব নিখুঁত হয়েছে, তা বুকে হাত দিয়ে বলতে পারব না। তার পরবর্তী তিনটা নির্বাচনে যা হয়েছে তা আমরা সবাই জানি। যখন একচ্ছত্র ক্ষমতা এসে যায় তখন প্রশাসন ভেঙে পড়ে। এটা ভয়, খুন-গুম ও সন্ত্রাস দ্বারা সম্ভব হয়েছে। এ সময়টাতে শুধু এক শ্রেণির পুলিশ কর্মকর্তা না সব সেক্টরের এক শ্রেণির কর্মকর্তা অতি উৎসাহিত হয়ে কাজ করেছে।
তিনি বলেন, যা হওয়ার হয়েছে, আমাদের আবার নতুন করে মানুষের সেবা দিতে হবে। সমাজের সব শ্রেণির মানুষকে সঙ্গে নিয়ে কমিউনিটি পুলিশিং করতে হবে।
সাবেক আইজিপি মোহাম্মদ নুরুল হুদা পুলিশ সংস্কার কমিশনকে ব্যর্থ উল্লেখ করে বলেন, সংস্কার কমিশন পুলিশের বিষয়ে বলছে, অনেক বিষয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা দরকার। পরীক্ষা-নিরীক্ষা দরকার–যদি এই কথা বলা হয়, তাহলে এই সংস্কার কমিশনের কী দরকার। এই পুলিশ কমিশন ১৮৬১ সালের পুলিশ আইন নিয়ে কিছু বলে না গণ্ডগোল কিন্তু ওইখানেও আছে।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক সদিচ্ছা যদি না থাকে তাহলে পুলিশ কীভাবে কাজ করবে। যাদের সুবাদে আমরা আজ কথা বলতে পারছি, সেটা কতদিন বলতে পারবো সেটার কোনও গ্যারান্টি নেই। রাজনৈতিক দলগুলোর যদি সদিচ্ছা না থাকে তাহলে সম্ভব না।
তিনি বলেন, পুলিশের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক কিন্তু ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার। এটা বদলানো পুলিশের হাতে নাই। পুলিশের অনেক অফিসাররা দুর্নীতিতে জড়িয়েছে।
পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত আইজিপি গোলাম রসুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন– নিউ এইজের সম্পাদক নুরুল হুদা, এপেক্স কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসির মঞ্জু, কর্ম কমিশনের সদস্য অধ্যাপক সায়মা চৌধুরী, নির্বাচন কমিশনের সদস্য ডা. জাহেদ করিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সাহিত্যিক, খেলোয়াড়সহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ব্যক্তিরা।