মাঠে হামজা-ছেত্রী, ডাগআউটে রিয়াল-বার্সা
Published: 24th, March 2025 GMT
হামজা চৌধুরী বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেকের অপেক্ষায় আছেন। সুনীল ছেত্রী অবসর ভেঙে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফিরেছেন। এই দু’জনের উপস্থিতি বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের হাইপ বাড়িয়ে দিয়েছে। মাঠে তাদের লড়াই জমার ইঙ্গিতই পাওয়া যাচ্ছে।
তবে মাঠের লড়াইয়ের দুই কুশিলব আবার রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার মানুষ। স্প্যানিশ পতাকার ছায়াতলে আসলে দু’জন দেশি বটে। তবে বাংলাদেশের কোচ হাভিয়ের ক্যাববেরার বেড়ে ওঠা মাদ্রিদে। ভারতের কোচ মানোলো মার্কুইজের বেড়ে ওঠা বার্সার। ফুটবলে রিয়াল-বার্সা মানে এল ক্লাসিকো মানে চিরশত্রু।
মাঠে তাই হামজা-ছেত্রী এবং ডাগ আউটে রিয়াল-বার্সার দৌরত্ম দেখার আশা করাই যায়। যদিও স্বশরীরের দেখায় রিয়াল-বার্সার আঁচ তারা গায়ে মাখলেন না। শিলংয়ের পাঁচ তারকা হোটেলে মানোলো-ক্যাবরেরার সাক্ষাৎ বরং দেখি ভাইয়ের সাক্ষাতে যে আনন্দের সুবাস ছড়ায় তারই গন্ধ পাওয়া গেল।
দেখা হতেই মানোলো ও ক্যাবরেরা একগাল হাসি দেন। আলিঙ্গনে বাঁধেন একে অপরকে। মিনিটখানেক মাঠের দৌরত্মের কথা ভুলে দু’জন আলাপ জমিয়ে তোলেন। ক্যামেরার সামনে হাসিমুখে পোজও দেন তারা। মাঠের বাইরে বন্ধুত্বের বার্তা দিলেও ডাগ আউটে ভক্তরা রিয়াল-বার্সার কৌশল লড়াই আর টানটান উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচই দেখতে চাইবেন।
সেই সম্ভাবনা যে ভালো মতোই আছে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়ে দেন ভারতের কোচ মানোলো, ‘গত তিন বছর বাংলাদেশ একজন কোচের অধীনে খেলছে। এটা ভালো দিক। ফুটবলাররা কোচের কৌশলও রপ্ত করতে পেরেছেন। আমার মনে হচ্ছে উত্তেজনাপূর্ণ একটি ম্যাচ হবে। এটা ঠিক আমরা রিয়াল-বার্সার (জন্ম সূত্রে)। তবে আমি বলব না, আমাদের মধ্যে লড়াই হবে।’
ভারতের কোচের অভিজ্ঞতার প্রশংসা করেছেন ক্যাবরেরা, ‘মানোলোর দীর্ঘ কোচিং অভিজ্ঞতা রয়েছে। স্পেনে তিনি সর্বোচ্চ স্তরে (দ্বিতীয় বিভাগের ক্লাবে) প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। তার মতো কোচের বিপক্ষে দাঁড়ানোয় ভালোলাগা কাজ করছে। আমি মনে করি, খুব উপভোগ্য ম্যাচ হতে চলেছে।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’