হামজা চৌধুরী বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেকের অপেক্ষায় আছেন। সুনীল ছেত্রী অবসর ভেঙে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফিরেছেন। এই দু’জনের উপস্থিতি বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের হাইপ বাড়িয়ে দিয়েছে। মাঠে তাদের লড়াই জমার ইঙ্গিতই পাওয়া যাচ্ছে। 

তবে মাঠের লড়াইয়ের দুই কুশিলব আবার রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার মানুষ। স্প্যানিশ পতাকার ছায়াতলে আসলে দু’জন দেশি বটে। তবে বাংলাদেশের কোচ হাভিয়ের ক্যাববেরার বেড়ে ওঠা মাদ্রিদে। ভারতের কোচ মানোলো মার্কুইজের বেড়ে ওঠা বার্সার। ফুটবলে রিয়াল-বার্সা মানে এল ক্লাসিকো মানে চিরশত্রু। 

মাঠে তাই হামজা-ছেত্রী এবং ডাগ আউটে রিয়াল-বার্সার দৌরত্ম দেখার আশা করাই যায়। যদিও স্বশরীরের দেখায় রিয়াল-বার্সার আঁচ তারা গায়ে মাখলেন না। শিলংয়ের পাঁচ তারকা হোটেলে মানোলো-ক্যাবরেরার সাক্ষাৎ বরং দেখি ভাইয়ের সাক্ষাতে যে আনন্দের সুবাস ছড়ায় তারই গন্ধ পাওয়া গেল।    

দেখা হতেই মানোলো ও ক্যাবরেরা একগাল হাসি দেন। আলিঙ্গনে বাঁধেন একে অপরকে। মিনিটখানেক মাঠের দৌরত্মের কথা ভুলে দু’জন আলাপ জমিয়ে তোলেন। ক্যামেরার সামনে হাসিমুখে পোজও দেন তারা। মাঠের বাইরে বন্ধুত্বের বার্তা দিলেও ডাগ আউটে ভক্তরা রিয়াল-বার্সার কৌশল লড়াই আর টানটান উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচই দেখতে চাইবেন। 

সেই সম্ভাবনা যে ভালো মতোই আছে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়ে দেন ভারতের কোচ মানোলো, ‘গত তিন বছর বাংলাদেশ একজন কোচের অধীনে খেলছে। এটা ভালো দিক। ফুটবলাররা কোচের কৌশলও রপ্ত করতে পেরেছেন। আমার মনে হচ্ছে উত্তেজনাপূর্ণ একটি ম্যাচ হবে। এটা ঠিক আমরা রিয়াল-বার্সার (জন্ম সূত্রে)। তবে আমি বলব না, আমাদের মধ্যে লড়াই হবে।’  

ভারতের কোচের অভিজ্ঞতার প্রশংসা করেছেন ক্যাবরেরা, ‘মানোলোর দীর্ঘ কোচিং অভিজ্ঞতা রয়েছে। স্পেনে তিনি সর্বোচ্চ স্তরে (দ্বিতীয় বিভাগের ক্লাবে) প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। তার মতো কোচের বিপক্ষে দাঁড়ানোয় ভালোলাগা কাজ করছে। আমি মনে করি, খুব উপভোগ্য ম্যাচ হতে চলেছে।’

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

বিনা মূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের সুযোগ, সারা দেশে ৮টি কেন্দ্রে

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে হাফেজ, ইমাম, মাদ্রাসাছাত্র ও বেকার যুবকদের বিনা কোর্স ফিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় কোর্সে প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এ প্রশিক্ষণের মেয়াদ দুই মাস। প্রশিক্ষণটি আগামী ১২ অক্টোবর শুরু হবে, চলবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রশিক্ষণ শেষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে সরকারি সনদ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের ৯ অক্টোবরের মধ্যে ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিতে আবেদন করতে হবে।

প্রশিক্ষণের বিষয়

১. বেসিক কম্পিউটার,

২. অফিস অ্যাপ্লিকেশন ও ইউনিকোড বাংলা,

৩. ইন্টারনেট,

৪. গ্রাফিক ডিজাইন,

৫. ফ্রিল্যান্সিং,

৬. মার্কেটপ্লেস ও কনসালটিং।

আরও পড়ুনহার্ভার্ড এনভায়রনমেন্টাল ফেলোশিপ, দুই বছরে ১ লাখ ৮৫ হাজার ডলার১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫আবেদনের যোগ্যতা

১. ন্যূনতম দাখিল বা সমমানের পরীক্ষায় পাস হতে হবে,

২. হাফেজদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল করা হবে,

৩. উচ্চতর শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে,

৪. প্রার্থীকে কম্পিউটার চালনায় বেসিক জ্ঞান থাকতে হবে,

৫. যাঁদের নিজস্ব কম্পিউটার আছে, তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে হাফেজ, ইমাম, মাদ্রাসাছাত্র ও বেকার যুবকদের বিনা কোর্স ফিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় কোর্সে প্রক্রিয়া শুরু করেছে।যে ৮টি কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে

১. ঢাকা,

২. চট্টগ্রাম,

৩. রাজশাহী,

৪. খুলনা,

৫. বরিশাল,

৬. সিলেট,

৭. দিনাজপুর,

৮. গোপালগঞ্জ।

আরও পড়ুনবিনা মূল্যে ২ লাখ টাকার প্রশিক্ষণ, নন-আইটি স্নাতক শিক্ষার্থীদের সুযোগ ৭ ঘণ্টা আগেদরকারি কাগজপত্র

১. শিক্ষাগত যোগ্যতার সব সনদের সত্যায়িত ফটোকপি,

২. জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি,

৩. এক কপি পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবি জমা দিতে হবে,

৪. ইমামদের ক্ষেত্রে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অথবা ওয়ার্ড কমিশনারের কাছ থেকে নেওয়া ইমামতির প্রমাণপত্রের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে,

৫. মাদ্রাসাছাত্রদের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের প্রধানের কাছ থেকে ছাত্রত্ব প্রমাণের কপি জমা দিতে হবে।

নিবন্ধন ফি

মনোনীত প্রার্থীদের নিবন্ধন ফি হিসেবে ৫০০ টাকা দিতে হবে।

দেশের ৮টি প্রশিক্ষণকেন্দ্রে এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে

সম্পর্কিত নিবন্ধ