নববর্ষের শোভাযাত্রায় থাকবে ২০ ফুট দীর্ঘ শহীদ আবু সাঈদের ভাস্কর্য
Published: 25th, March 2025 GMT
নববর্ষের শোভাযাত্রায় রাজধানীর রাজপথে থাকবেন শহীদ বীর আবু সাঈদ। তাঁর দুই হাত প্রসারিত বুক টান করে দাঁড়ানোর অকুতোভয় দৃশ্যটি ইতিমধ্যে বীরত্বের প্রতীক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। সেই দৃশ্য ভাস্কর্যে তুলে আনা হবে বাংলা নববর্ষের শোভাযাত্রায়। শহীদ আবু সাঈদের ভাস্কর্য হবে ২০ ফুট দীর্ঘ।
এ শোভাযাত্রার আয়োজক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ। গতকাল সোমবার অনুষদের ডিন অধ্যাপক আজাহারুল ইসলাম শেখ প্রথম আলোকে শোভাযাত্রার বিষয়ে জানান। তিনি বলেন, এ শোভাযাত্রা হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক।
চারুকলা ১৯৮৯ সাল থেকে পয়লা বৈশাখে শোভাযাত্রা করে আসছে। শুরুতে নাম ছিল আনন্দ শোভাযাত্রা। নব্বইয়ে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের পটভূমিতে অমঙ্গলকে দূর করে মঙ্গলের আহ্বান জানিয়ে শোভাযাত্রার নামকরণ হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা।
চারুকলা অনুষদের ডিন জানান, এবার প্রাথমিকভাবে বড় আকারের চারটি ভাস্কর্য রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এর মধ্যে থাকবে ২০ ফুট দীর্ঘ জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ আবু সাঈদের ভাস্কর্য।জাতিসংঘের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বিজ্ঞানবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকো ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর মঙ্গল শোভাযাত্রাকে বিশ্বের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত করে। তবে এবার শোভাযাত্রার নাম ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ থাকবে কি না, তা নির্ধারিত হয়নি।
এ শোভাযাত্রা ছাড়াও সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে থাকছে আরও আয়োজন। মন্ত্রণালয় বলছে, প্রথমবারের মতো অন্তর্ভুক্তিমূলক হবে এ আয়োজন। বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তুলে ধরা হবে। মন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠান চলবে দুই দিন। থাকবে কনসার্ট, ড্রোন শোসহ বেশ কিছু কর্মসূচি।
শোভাযাত্রায় আবু সাঈদ
বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন কর্মসূচি নিয়ে গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে অংশীজনদের নিয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য ড.
চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক আজাহারুল ইসলাম শেখ প্রথম আলোকে বলেন, এ সভায় এবারের নববর্ষ উদ্যাপনের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘নববর্ষে ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’। চারুকলা অনুষদ বরাবরের মতোই শোভাযাত্রার মূল আয়োজন করবে। তবে এবার এ শোভাযাত্রা হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক। এতে দেশের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব থাকবে। তারা তাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের উপাদানগুলো নিয়ে শোভাযাত্রায় অংশ নেবে। শিল্পকলা একাডেমির তত্ত্বাবধানে তারা শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বড় আকারে রাজা-রানির মুখোশ থাকবে অন্তত চারটি। এ ছাড়া থাকবে প্যাঁচা, পাখি, ফুল—এসবের শতাধিক মুখোশ। গ্যালারির সামনে জলরঙের ছবি আঁকছিলেন শিল্পী ও শিক্ষার্থীরা। নকশা আঁকছিলেন মাটির সরায়। এগুলো সুলভে বিক্রি করে শোভাযাত্রার খরচ মেটানো হবে।প্রাক্তন শিক্ষার্থী আনোয়ার হোসেনচারুকলা অনুষদের ডিন জানান, এবার প্রাথমিকভাবে বড় আকারের চারটি ভাস্কর্য রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এর মধ্যে থাকবে ২০ ফুট দীর্ঘ জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ আবু সাঈদের ভাস্কর্য। আরও থাকবে একটি করে বাঘ, পাখি ও স্বৈরাচারের প্রতীকী ভাস্কর্য। আর অনেক মুখোশ থাকবে। তিনি জানান, শোভাযাত্রার কোন পথে যাবে, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। নাম মঙ্গল শোভাযাত্রা থাকবে, না পরিবর্তন করা হবে, সে বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়নি। সামনে আরও সময় আছে, তখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
গতকাল অনুষদ চত্বরে দেখা গেল শোভাযাত্রার প্রস্তুতির কাজ চলছে। জয়নুল গ্যালারিতে তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের মুখোশ। প্রাক্তন শিক্ষার্থী আনোয়ার হোসেন কাজের তদারক করছিলেন। তিনি জানান, বড় আকারে রাজা-রানির মুখোশ থাকবে অন্তত চারটি। এ ছাড়া থাকবে প্যাঁচা, পাখি, ফুল—এসবের শতাধিক মুখোশ। গ্যালারির সামনে জলরঙের ছবি আঁকছিলেন শিল্পী ও শিক্ষার্থীরা। নকশা আঁকছিলেন মাটির সরায়। এগুলো সুলভে বিক্রি করে শোভাযাত্রার খরচ মেটানো হবে।
মন্ত্রণালয়ের আয়োজন
গত রোববার সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে নববর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেছিলেন, এবার প্রথমবারের মতো চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, গারো ও অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ থাকবে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে। অনুষ্ঠান হবে দুই দিন। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১৩ এপ্রিল চৈত্রসংক্রান্তিতে কনসার্ট আয়োজন করা হবে। এতে মাইলস, ওয়ারফেজ, দলছুট, এভোয়েড রাফা, ভাইকিংস ও স্টোন ফ্রি ব্যান্ড দল এবং বাউল-ফকিরেরা সংগীত পরিবেশন করবেন। আর পয়লা বৈশাখে সন্ধ্যায় চীন সরকারের সহযোগিতায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে পয়লা বৈশাখ ও জুলাই বিপ্লব নিয়ে হবে ড্রোন শো।
পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠানে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে লেখক ও মানবাধিকারকর্মী ইলিরা দেওয়ান প্রথম আলোকে বলেন, ‘অন্তর্ভুক্তির অর্থ এই নয়, আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতিকে বৃহত্তর কোনো স্রোতে মিশিয়ে ফেলা। প্রতিটি জাতিগোষ্ঠীর নিজস্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য আছে, সেই স্বাতন্ত্র্য রক্ষা করা উচিত। এ জন্য সরকার আমাদের আর্থিক, নিরাপত্তা দিয়ে নানাভাবে সহযোগিতা করতে পারে। কিন্তু সরকারের আয়োজনে আমাদের মিশিয়ে ফেলাকে অন্তর্ভুক্তি বলা যায় না।’
ইলিরা দেওয়ান বলেন, পাহাড়ি জাতিগোষ্ঠী সাধারণত চৈত্রসংক্রান্তিতে তাদের নিজস্ব সাংস্কৃতিক রীতিতে বিজু, বৈশু, সাংরাই উৎসব করে থাকে। এটি সাধারণত ‘বৈসাবি’ নামে পরিচিত। এ উৎসবে অংশ নিতে তারা নিজ নিজ এলাকায় চলে যায়। তাদের এ সাংস্কৃতিক স্বকীয়তা রক্ষায় সহযোগিতা প্রয়োজন।
প্রভাতি আয়োজন ও গণসংগীত
ষাটের দশকে পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠানের সূচনা হয়েছিল ঐতিহ্যবাহী সংগীত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছায়ানটের হাত ধরে। এবারও রমনার বটমূলে প্রভাতি সংগীতানুষ্ঠানের উদ্যোগ নিয়েছে ছায়ানট। সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক পার্থ তানভীর নভেদ প্রথম আলোকে জানান, অনুষ্ঠানের প্রতিপাদ্য ও গান নির্ধারণ করা হয়েছে। সম্মেলক গানের নিয়মিত মহড়া চলছে। এতে শতাধিক শিল্পী অংশ নেবেন। এ ছাড়া ২টি পাঠসহ প্রায় ১৫টি একক গান থাকবে।
সংগীত সংগঠন সুরের ধারাও পয়লা বৈশাখ সকালে সহস্রকণ্ঠের সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে। তাদের অনুষ্ঠান হয় পুরোনো বাণিজ্যমেলার মাঠের পাশে আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের সামনে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফোনে সুরের ধারার পরিচালক শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জানান, তাঁদের বর্ষবরণের প্রস্তুতি চলছে। এবারেও সহস্রকণ্ঠের গান হবে। তবে অনুষ্ঠানের স্থান এখনো নির্ধারিত হয়নি।
এ ছাড়া নববর্ষের আরেকটি প্রধান সংগীতানুষ্ঠান হয়ে থাকে শিশু একাডেমির সামনে নারকেল বীথি চত্বরে। বিশিষ্ট গণসংগীতশিল্পী ফকির আলমগীরের নেতৃত্বে ১৯৮৩ সালে এ সংগীতানুষ্ঠান শুরু হয়। এবারও ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠী এ অনুষ্ঠান করছে। ঋষিজের সহসভাপতি শিল্পী ফকির সিরাজ জানান, এবারও তাঁরা নারকেল বীথিতে প্রভাতি অনুষ্ঠান করবেন। তাঁদেরও গানের মহড়া চলছে।
এ ছাড়া এবার প্রথমবারের মতো পয়লা বৈশাখ বিকেল চারটায় বাংলাদেশ গণসংগীত সমন্বয় পরিষদ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ২০ ফ ট দ র ঘ প রথম আল ক নববর ষ র অন ষ ঠ ন র অন ষ র স মন চ র কল র র মত ত হয়ন
এছাড়াও পড়ুন:
বক্সিং রিংয়ে চ্যাম্পিয়ন জিনাতই, বোনকে উৎসাহ দিতে গ্যালারিতে আফঈদা
কদিন ধরে দেশের ক্রীড়াঙ্গনের আড্ডায় ঘুরেফিরে একটাই নাম জিনাত ফেরদৌস। যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী এই বক্সার প্রথমবারের মতো পা রেখেছেন জাতীয় বক্সিং রিংয়ে। আর প্রথমবারই নিজের জাত চেনালেন।
আজ বিকেলে পল্টনের মোহাম্মদ আলী বক্সিং স্টেডিয়ামে ৫২ কেজি ওজন শ্রেণির ফাইনালে নেমে প্রতিপক্ষ আফরা খন্দকারকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নের মুকুট মাথায় তুলেছেন জিনাত। প্রতিযোগিতার আগেই যাঁর আগমন ঘিরে কৌতূহল ছিল তুঙ্গে, সেই জিনাত রিংয়ে নামতেই যেন বুঝিয়ে দিলেন, অন্যদের চেয়ে কেন তিনি এগিয়ে।
তিন রাউন্ডের লড়াইয়ে শুরু থেকেই জিনাত ছিলেন আক্রমণাত্মক। পাঞ্চে ছিল গতি, রক্ষণে ছিল আত্মবিশ্বাস। অন্যদিকে আফরা খন্দকার চেষ্টা করেছেন রক্ষণ সামলে লড়াইয়ে টিকে থাকতে। খান কয়েক মোক্ষম ঘুষিতে কিছুটা নড়বড়ে হলেও শেষ পর্যন্ত দমে যাননি আফরা।
বরং জিনাতের ঘন ঘন আক্রমণের ফাঁক গলে এক-আধটু পাল্টা আঘাত করতেও পেরেছেন। তবে এই পর্যায়ের এক প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত হয়ে পড়ে তাঁর জন্য অনেকটাই চাপের। তবু আফরা লড়ে গেছেন। আর জিনাতের আত্মবিশ্বাসী উপস্থিতি এ লড়াইকে করে তুলেছিল দেখার মতো।
গ্যালারিতে বসে খেলা দেখছিলেন জাতীয় নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক ও আফরার বড় বোন আফঈদা খন্দকার। উৎসাহ দিচ্ছিলেন ছোট বোনকে। পাশে ছিলেন মা–বাবাও। তবে পরিবারের ষোলো আনা সমর্থনও জিনাতকে হারানোর জন্য যথেষ্ঠ হয়নি।
ম্যাচ শেষে আফরা বললেন, ‘তিনি একজন ভালো খেলোয়াড়। তাঁর বিপক্ষে খেলা আমার জন্য এক নতুন অভিজ্ঞতা। বিশেষ করে তাঁর আক্রমণাত্মক স্কিলটা দুর্দান্ত। ম্যাচ শেষে তিনি আমাকে জড়িয়ে ধরে বললেন, গুড ফাইট।’
বিজয়ী জিনাত পরে কথা বলেন সাংবাদিকদের সঙ্গে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বললেন, ‘আমি সবাইকে বলতে চাই, বাংলাদেশের ছেলে-মেয়েরা খেলতে চায়। তারা যদি সুযোগ-সুবিধা পায়, অনেক ভালো করবে। ওদের স্কিল আছে।’
সেমিফাইনালে আছিয়া না ফাইনালে আফরা—কোন লড়াইটা বেশি কঠিন ছিল? জিনাতের জবাব, ‘আমি আমার খেলাটা খেলেছি এবং জিতেছি। দুজনই আলাদা ধাঁচের প্রতিপক্ষ।’
জিনাত বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক পদক জয়ের আকাঙ্ক্ষার কথা আজও বলেছেন। আগামী এশিয়ান গেমসে সুযোগ পেলে পদক জিতবেন কি না, প্রশ্নের ছোট্ট উত্তর, ‘ইনশা আল্লাহ।’
আফরা-জিনাত ফাইনাল ম্যাচটা যেন ছিল দুই প্রতিদ্বন্দ্বী বক্সারের লড়াই নয়, এর বাইরেও চলছিল আরেক নাটক। ফাইনালের কয়েক ঘণ্টা আগেই বক্সিং রিংয়ে এক ব্যতিক্রমী দৃশ্য। আনসারের বক্সার জাহিদুল হক রেফারির রায় নিয়ে ক্ষোভ জানাতে রিংয়ে বসে পড়েন প্রতিবাদ হিসেবে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বক্সার জনি ভদ্রর ঘুষিতে কপালে চোট পান জাহিদুল। চিকিৎসাও নেন। একপর্যায়ে রিংয়ের মাঝখানে বসেই অভিনব প্রতিবাদ জানান।
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ আনসার দল বাংলাদেশ বক্সিং ফেডারেশনের সভাপতির কাছে অভিযোগ করে এবং তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিযোগিতা থেকে নিজেদের প্রত্যাহারের হুমকি দেয়। একপর্যায়ে আনসারের প্রতিনিধিরা রিং ছেড়ে চলে যান। মুহূর্তেই ঘনীভূত হয়ে ওঠে অনিশ্চয়তা, আফরা-জিনাত ফাইনালটি আদৌ হবে তো? কারণ, আফরা বাংলাদেশ আনসারের প্রতিযোগী। শেষ পর্যন্ত অবশ্য আনসার ফিরে আসে এবং প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।
এ বিষয়ে বক্সিং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবদুস কুদ্দুস প্রথম আলোকে বলেন, ‘ফাইটে হারলে যা হয়। হারলেই বলে অন্যায় হয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত রিংয়ে ফিরে এসেছে, খেলেছে, এটা ভালো।’
ম্যাচ শুরুর ঠিক আগে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের একটি প্রতিনিধিদল গ্যালারিতে এসে জিনাতকে শুভেচ্ছা জানায়, তাঁকে উপহারও দেয় তারা। গ্যালারিতে বাড়তি উত্তেজনা আর গুরুত্ব যোগ করে ফাইনাল ম্যাচকে ঘিরে। আর দেশের সংবাদমাধ্যমের ব্যাপক উপস্থিতি তো ছিলই ম্যাচটা ঘিরে।