গণতন্ত্রের নির্বিঘ্ন উত্তরণে বান কি মুনের সমর্থন চেয়েছেন অধ্যাপক ইউনূস
Published: 27th, March 2025 GMT
বাংলাদেশে গণতন্ত্রের নির্বিঘ্ন উত্তরণে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুনের সমর্থন ও পরামর্শ চেয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ বৃহস্পতিবার চীনের হাইনান প্রদেশে বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়ার (বিএফএ) বার্ষিক সম্মেলনের ফাঁকে মুহাম্মদ ইউনূস ও বান কি মুনের সাক্ষাৎ হয়। এ সাক্ষাতের তথ্য প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জানানো হয়েছে।
সাক্ষাতে বান কি মুনকে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আমরা নতুন করে শুরু করতে চাই, আমাদের আপনার সমর্থন ও পরামর্শ দরকার। আমরা এখন একটি দারুণ সুযোগ পাচ্ছি।’
অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করেন বান কি মুন। তিনি বলেন, তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ অনেক ভালো করবে।
আরও পড়ুনসংস্কার বাস্তবায়িত হলে জাতির মৌলিক রূপান্তর ঘটবে: প্রধান উপদেষ্টা৪ ঘণ্টা আগেবোয়াও ফোরাম ফর এশিয়ার সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে আজ ভাষণ দিয়েছেন মুহাম্মদ ইউনূস। ভাষণে তিনি বলেছেন, দেশের জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধারে তাঁর নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার শুরু করেছে। নির্বাচনব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংস্কারের জন্য স্বাধীন কমিশন করা হয়েছে। এসব সংস্কার বাস্তবায়িত হলে জাতির মৌলিক রূপান্তর ঘটবে।
সম্মেলনের ফাঁকে মুহাম্মদ ইউনূস এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) মহাপরিচালক কু ডংগিউয়ের মধ্যেও সাক্ষাৎ হয়।
আরও পড়ুনরোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে নিরাপদ প্রত্যাবাসনে এশীয় নেতাদের এক হতে হবে: অধ্যাপক ইউনূস৪ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
লন্ডনে ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠককে স্বাগত জানাল জেএসডি
লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের আলোচনা ও ঐকমত্যের সূচনাকে স্বাগত জানিয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)। দলটি বলেছে, আমরা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, জনগণ শুধু কথায় নয়, বাস্তবে সংস্কার ও বিচারের দৃশ্যমান অগ্রগতির পদক্ষেপ দেখতে চায়।
শুক্রবার জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন।
তারা বলেন, এই উচ্চপর্যায়ের সংলাপ দেশে রাজনৈতিক সমঝোতা ও জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের কাঙ্ক্ষিত অভিপ্রায় অনুযায়ী রাষ্ট্র সংস্কার, শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর এবং গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠার পথে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, অধ্যাপক ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠক ও বিবৃতিতে আগামী বছরের পবিত্র রমজানের আগেই একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ এবং তার পূর্বশর্ত হিসেবে কাঙ্ক্ষিত সংস্কার ও ফ্যাসিস্ট সরকারের বিচারের প্রক্রিয়ায় দৃশ্যমান অগ্রগতি অর্জনের ঘোষিত প্রত্যয়ে রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, গণমানুষের রক্তস্নাত গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম দাবি- গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য কাঠামোগত মৌলিক সংস্কার এবং গণহত্যাকারী ফ্যাসিবাদী শক্তির বিচারের ব্যবস্থা। এই বিষয় দুটির দৃশ্যমান অগ্রগতিই কেবল একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ভিত্তি রচনা করতে পারে।
রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি সমাজের শ্রমজীবী, কর্মজীবী ও পেশাজীবীদের মতামত, আকাঙ্ক্ষা ও অংশগ্রহণে রাষ্ট্রীয় রাজনীতির মৌলিক সংস্কারের লক্ষ্যে দ্রুত ‘জাতীয় সনদ’ প্রণয়নের আহ্বান জানায় জেএসডি।