বাংলাদেশের মতো মালয়েশিয়াতেও আজ ঈদ। আমি আছি কুয়ালালামপুরের শ্রীরামপাই এলাকায়। পরিবার ছাড়া এবং দেশের বাইরে এটি আমার তৃতীয় ঈদ।

আমার হেঁটে বিশ্বভ্রমণের এক বছর পূর্ণ হয়েছে গত ২২ মার্চ। এই সময়ে ৩ হাজার ৫০০ কিলোমিটারের বেশি পথ হেঁটেছি।

গত রমজানের ঈদে ছিলাম হুগলির কামারকুণ্ডু গ্রামে। ভারতের পশ্চিম বাংলায় হেঁটে ভ্রমণের সময় এই গ্রামের অনেকের সঙ্গে পরিচয়। সেই সূত্রে ঈদে কামারকুণ্ডু গ্রামের সবাই যেন আমাকে নিয়ে আনন্দে মেতে ছিল। ঈদ উপলক্ষে তাঁদের বাসায় দাওয়াত ছিল। পরিবারকে মিস করার সময়ই পাইনি।

এরপর কোরবানির ঈদ করি তাজিকিস্তানে। খুজান্দ শহরে এক অপরিচিত বন্ধুর বাসায়। তাজিকিস্তানে আমার ট্রলি ঠিক করার সময় তার সঙ্গে পরিচয়। আগ্রহভরে বাসায় নিয়ে গেল। তাজিকিস্তানে ভেবেছিলাম খুব আনন্দ হবে ঈদে; কিন্তু হলো উল্টো। আগের রাতে ঈদের কোনো আমেজই পেলাম না। পথে কোনো পশুও দেখতে পাইনি। আসলে তাজিকিস্তানের ঈদের সংস্কৃতি একেবারেই আলাদা। ভিন্ন সংস্কৃতির মধ্যে থেকেও সেদিন পরিবারের মতো ভালোবাসা অনুভব করেছিলাম। সেদিনও পরিবারকে খুব একটা মিস করা হয়নি।

ভ্রমণের এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর প্রথমবারের মতো মালয়েশিয়ায় ঈদ করব। এবারের ঈদে আমার প্রধান আকর্ষণ মালয়েশিয়ার ঐতিহ্যবাহী পুরুষদের পোশাক বাজু মেলায়ু। এই পোশাকের মূল আকর্ষণ হচ্ছে কোমরের অংশের কাপড়, যেটাকে ওরা বলে সাম্পিং।

মালয়েশিয়ার ঐতিহ্যবাহী পোশাকে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর ব র

এছাড়াও পড়ুন:

নির্বাচনের জন্য ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ই উপযুক্ত: সাকি

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ই সবচেয়ে উপযুক্ত হবে। এর পরে দেশের আবহাওয়া প্রতিকূল থাকে। তা ছাড়া বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষা হয়। নির্বাচনের জন্য এর পরের সময়টা উপযুক্ত নয়।

আজ শুক্রবার যুক্তরাজ্যে সফররত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের প্রতিক্রিয়ায় প্রথম আলোকে এসব কথা বলেন জোনায়েদ সাকি।

বৈঠককে স্বাগত জানিয়ে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী বলেন, ‘এর মাধ্যমে রাষ্ট্রের অর্থনীতি ও জনজীবনের সংকট দূর হবে। আমরা আগেই প্রধান উপদেষ্টাকে জানিয়েছিলাম, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন আয়োজন করতে। কিন্তু এত দিন সেই পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। সরকার এপ্রিলে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছিল, যে সময়টা যথাযথ ছিল না।’

নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য তৈরি হলে রাজনীতিতে আস্থাপূর্ণ পরিবেশ ফিরে আসবে বলে মনে করেন জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি দেশের জন্য এই পরিবেশ বজায় থাকা জরুরি। সংস্কারের জন্য এই পরিবেশ সহায়ক হবে। এত দিন নির্বাচনের তারিখ নিয়ে উদ্বেগ থাকায় সংস্কার নিয়ে তেমন অগ্রগতি ছিল না। এখন সংস্কারের অগ্রগতি নিয়ে কাজ করা যাবে।’

সংস্কার কার্যক্রমকে জনগণ নির্বাচনের মাধ্যমে মীমাংসা করবে উল্লেখ করে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী বলেন, ‘সংস্কার নিয়ে ইতিমধ্যে আমরা দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা করছি। সর্বোচ্চ মতামতের ভিত্তিতে যেসব বিষয়ে ঐকমত্য তৈরি হবে, তার ওপর জুলাই সনদ তৈরি হবে। এসব বিষয়ে আরও আলাপ–আলোচনা দরকার।’ তিনি আরও বলেন, ‘জুলাই হত্যার বিচার শুরু হয়েছে, এটা আমাদের জন্য স্বস্তিদায়ক। এই পরিস্থিতি ধরে রাখতে হবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাবাকে একটি সুন্দর দিন উপহার দিতে যা যা করতে পারেন
  • নির্বাচনের জন্য ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ই উপযুক্ত: সাকি