মুন্সীগঞ্জে শান্তিপূর্ণভাবে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অষ্টমী স্নানোৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (৫ এপ্রিল) ভোর ৫টা থেকে বিকেল পর্যন্ত সদর উপজেলার হাট লক্ষীগঞ্জ সংলগ্ন ধলেশ্বরী নদীর তীরে এ উৎসব চলে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা তিথি অনুযায়ী পাপমোচন ও পুণ্যলাভের আশায় প্রতিবছর এ উৎসব পালন করেন। 

নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার লাঙ্গলবন্দে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে শুরু হয়েছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মহাষ্টমী পুণ্য স্নানোৎসব। শুক্রবার (৪ এপ্রিল) রাত ২টা থেকে শুরু হয়ে শনিবার (৫ এপ্রিল) রাত ১২টা ৫১ মিনিট পর্যন্ত দুই দিনব্যাপী এই উৎসব চলবে। 

আরো পড়ুন:

কর্মস্থলে ফিরছেন উত্তরাঞ্চলের মানুষ 

মজুচৌধুরীর হাট লঞ্চঘাটে কর্মস্থলে ফেরা মানুষের ভিড় 

শনিবার ভোর থেকে স্নানোৎসবে অংশ নিতে ধলেশ্বরীর তীরে উপস্থিত হন হাজারও পুণ্যার্থী। হিন্দু ধর্মের তিথি অনুসারে চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে বিভিন্ন বয়সী হিন্দু নারী-পুরুষ স্নান করতে যান। স্নানের পর পুরুহিতের কাছে মন্ত্রপাঠ করে নদীতে ফুল ও ফল ভাসিয়ে দিতে দেখা যায় পুণ্যার্থীদের।

জেলা হিন্দু-খ্রিস্টান-বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট অজয় কুমার চক্রবর্তী বলেন, “প্রতিবছর চৈত্র মাসের অষ্টমী তিথিতে লাঙ্গলবন্ধ ব্রহ্মপুত্র নদে পুণ্যস্নানার্থে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের আগমন ঘটে। ব্রহ্মপুত্র নদে স্নান খুবই পুণ্যের। এ স্নানে ব্রহ্মার সন্তুষ্টি লাভ করে পাপমোচন হয়। নারায়ণগঞ্জের লাঙ্গলবন্দ সবচেয়ে বড় মহাষ্টমী স্নানোৎসব পালিত হয়। বহু বছর ধরে মুন্সীগঞ্জের ধলেশ্বরী নদীর তীরে একইভাবে এই  স্নানোৎসব পালন করা হয়।” 

মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি এম.

সাইফুল আলম বলেন, “ধলেশ্বরী নদীর তীরে শান্তিপূর্ণভাবে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অষ্টমী স্নানোৎসব পালিত হয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণ নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখায় ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। উৎসব মুখর পরিবেশেই স্নানোৎসবটি পালন করেছেন হিন্দুরা।”

ঢাকা/রতন/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উৎসব স ন ন ৎসব নদ র ত র ৎসব প ল

এছাড়াও পড়ুন:

আষাঢ়ের প্রথম দিন আজ

ঝমঝম বৃষ্টি, কর্দমাক্ত পথঘাট, খাল-বিলে থৈ থৈ পানি- এমন দৃশ্যপট সামনে না থাকলেও ভেবে নিতে দোষ কি। কারণ, আজ পহেলা আষাঢ়।

রবি ঠাকুরের ভাষায়— ‘আবার এসেছে আষাঢ় আকাশও ছেয়ে... আসে বৃষ্টিরও সুবাসও বাতাসও বেয়ে...’।

অবশ্য একেবারে নিরাশ করেনি আষাঢ়। রাজধানীতে সকাল থেকেই আকাশে মেঘের আনাগোনা আর কোথাও হালকা বৃষ্টি জানান দিচ্ছে প্রকৃতিতে বর্ষার আগমন। বর্ষার আগমন যেন স্বস্তি-শান্তি ও আনন্দের। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস নগরবাসীর জীবনে এক আনন্দের বার্তা। 

বাংলার প্রকৃতিতে আলাদা বৈশিষ্টময় বর্ষা ঋতুর আজ যাত্রা শুরু হলো। 

বলা হয়, গ্রীষ্মের খরতাপের ধূসর নাগরিক জীবন আর রুদ্র প্রকৃতিতে প্রাণের স্পন্দন জাগায় বর্ষা। জ্যৈষ্ঠের প্রচণ্ড খরতাপে রুক্ষ প্রকৃতি সজীব হয়ে উঠবে বর্ষার বর্ষণের মৃদঙ্গ-ছোঁয়ায়, এটাই যে সকল বাঙালির চাওয়া। 

আষাঢ়ের রিমঝিম বৃষ্টি গ্রীষ্মের ধুলোমলিন জীর্ণতাকে ধুয়ে ফেলে গাঢ় সবুজের সমারোহে প্রকৃতি সাজে পূর্ণতায়। রঙিন হয়ে পুকুর-বিলে ফোটে শাপলা-পদ্ম। বর্ষা ঋতু তার বৈশিষ্ট্যের কারণে স্বতন্ত্র। বর্ষার প্রবল বর্ষণে নির্জনে ভালোবাসার সাধ জাগে, চিত্তচাঞ্চল্য বেড়ে যায়। বর্ষার নতুন জলে স্নান সেরে প্রকৃতির মনও যেন নেচে ওঠে। ফুলে ফুলে শোভিত হয় প্রকৃতি। তাই বর্ষাবিহীন বাংলাদেশ ভাবাই যায় না। 

বর্ষা বাঙালি জীবনে নতুন প্রাণসঞ্চারকারী। বৃষ্টিস্নাত কদম ফুলের সৌন্দর্য্য যে দেখেছে, মুগ্ধ নয়নে চেয়ে না থেকে পারেনি। এর বর্ণনায় পল্লীকবি জসীমউদদীন লিখেছেন- ‘বনের ঝিয়ারি কদম্বশাখে নিঝঝুম নিরালায়, / ছোট ছোট রেণু খুলিয়া দেখিছে, অস্ফুট কলিকায়।’

বৃষ্টি হলে গ্রামের নদী নালা পুকুরে জল জমে থৈ থৈ করে। বর্ষা আনন্দ-বেদনার সারথী। সবুজের সমারোহে, মাটিতে নতুন পলির আস্তরণে বর্ষা আনে জীবনেরই বারতা। 

উন্নয়নের নামে চলমান প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংসের প্রক্রিয়া বন্ধের দাবি নিয়ে প্রতি বছরের মতো এ বছরও বর্ষা ঋতুকে বরণ করে নিতে ‘বর্ষা উৎসব’ আয়োজন করেছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। 

রবিবার (১৫ জুন) আষাঢ়ের প্রথমদিনে বাংলা একাডেমির নজরুল মঞ্চে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকালে সুর-সংগীতে প্রকৃতি-বন্দনার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে উৎসবের কর্মসূচি।

ঢাকা/টিপু

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কপালে ১৩টি এবং থুতনিতে ৪টি সেলাই করা লাগে
  • দেশের পর এবার বিদেশেও ঈদের সিনেমার মুক্তি
  • বকুলতলায় বৃষ্টির সুর
  • কলকাতায় নতুন সিনেমার শুটিং শুরু করলেন জয়া
  • বর্ষা উৎসবে বন ও পরিবেশ ধ্বংসের প্রতিবাদ, পান্থকুঞ্জ পার্ক রক্ষাসহ কয়েকটি দাবি
  • নাচ-গান-আবৃত্তিতে চারুকলায় বর্ষাবরণ
  • মেঘ-রোদের লুকোচুরির সকালে নাচে-গানে বর্ষাবরণ 
  • মেঘ-রোদের লুকোচুরি সকালে নাচে-গানে বর্ষাবরণ 
  • আষাঢ়ের প্রথম দিন আজ
  • কলিজা ঠান্ডা করে দেওয়া ছবি ‘উৎসব’