বরবাদ নিয়ে স্রেফ ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল: ডিওপি শৈলেশ
Published: 6th, April 2025 GMT
ঈদুল ফিতরে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘বরবাদ’ সিনেমা। মুক্তির পর থেকেই আলোচনার তুঙ্গে রয়েছে শাকিব খান অভিনীত এই সিনেমা। মুক্তির সপ্তম দিনে সিনেমাটির ভারতীয় ডিওপি শৈলেশ আওয়াস্থি তার ক্রেডিট না দেওয়ার অভিযোগ এনে পরিচালকের পোস্টে মন্তব্য করেন।
শৈলেশ আওয়াস্থির ভাষ্য ছিল, পরিচালক মেহেদী হাসান হৃদয় ক্রেডিট লাইনে তার নাম রাখেননি! এরপর বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনা শুরু হয়। তবে বিষয়টিকে এখন ‘স্রেফ ভুল বোঝাবুঝি’ বলে মন্তব্য করেছেন শৈলেশ।
এ নিয়ে শৈলেশ তার ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন শৈলেশ। পরিচালক ও প্রযোজকের সঙ্গে একাধিক ছবি দিয়ে তিনি লেখেন, “পরিচালক হৃদয় আমার ছোট ভাই। একটি ভুল যোগাযোগের কারণে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছিল, যা সম্পূর্ণরূপে সমাধান করা হয়েছে। আমরা পরিবারের মতো। তাই পরিবারের মধ্যে মত-বিরোধ থাকতে পারে। কিন্তু পরের মুহূর্তেই আমরা ভাইয়ের মতো বসে খাবার ভাগাভাগি করি। এটাই আমাদের বন্ধন।”
আরো পড়ুন:
‘বরবাদ’ সিনেমা নিয়ে ভারতীয় সিনেমাটোগ্রাফারের চাঞ্চল্যকর তথ্য
‘চাঁদ মামা’ গানে শেহতাজের নানির নাচ (ভিডিও)
অনুরোধ জানিয়ে শৈলেশ লেখেন, “দুর্ভাগ্যবশত কিছু ব্যক্তি তাদের নিজস্ব সুবিধার জন্য পরিস্থিতির সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছেন। আমি সকলকে অনুরোধ করছি, দয়া করে, বরবাদ চলচ্চিত্রটিকে ঘিরে অপ্রয়োজনীয় সমস্যা তৈরি করবেন না। আমি গর্বের সাথে বরবাদের সাথে ডিওপি হিসেবে যুক্ত থেকে সম্পূর্ণ নিষ্ঠার সাথে আমার কাজ করছি।”
“একজন ডিওপি-এর ভূমিকা স্বাভাবিকভাবেই সৃজনশীল ইনপুট দিয়ে থাকে যা কাজের অংশ। তাই আসুন যেটি ছড়িয়েছে সেটি গুজব পর্যন্ত রাখা হোক। পরিচালক হিসেবে হৃদয় একটি দুর্দান্ত কাজ করেছেন এবং আমি তার প্রচেষ্টাকে আন্তরিকভাবে সম্মান করি।” লেখেন শৈলেশ।
সবশেষে প্রযোজককে ধন্যবাদ দিয়ে শৈলেশ লেখেন, “আমাদের প্রযোজক শারমিন এবং আজিম ভাইকে বিশেষ ধন্যবাদ তারা পুরো চিত্রগ্রহণ প্রক্রিয়া জুড়ে মা এবং বাবার মতো আমাদের সমর্থন করেছেন। তাদের আস্থা এবং যত্ন আমাদের বড় স্বপ্ন দেখতে এবং জীবনের চেয়েও বড় একটি চলচ্চিত্র তৈরি করতে সাহায্য করেছে। অনলাইন মিডিয়ার কাছে আমি বিনীতভাবে অনুরোধ করছি, দয়া করে গুজব ছড়াবেন না বা সস্তা প্রচারের জন্য বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবেন না। আসুন আমরা সবাই ঐক্য, সৃজনশীলতা এবং সিনেমার প্রতি ভালোবাসার চেতনায় একসাথে কাজ করি। বাংলা সিনেমা দীর্ঘজীবী হোক।”
এদিকে, মুক্তির পর থেকে সারাদেশে রেকর্ড পরিমাণ ব্যবসা করছে ‘বরবাদ’। রাজধানীসহ দেশের সব সিনেপ্লেক্স ও মাল্টিপ্লেক্সে মুক্তির সাত দিন পরও টিকিটের জন্য দর্শকদের চাপ দেখা যাচ্ছে।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র আম দ র বরব দ
এছাড়াও পড়ুন:
৫ আগস্টের মধ্যে জুলাই সনদ না হলে অবরোধের হুঁশিয়ারি আপ বাংলাদেশের
জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র জারির দাবিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে ইউনাইটেড পিপলস (আপ) বাংলাদেশ। আজ শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগে গণজমায়েত থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। দাবি পূরণ না হলে ৬ আগস্ট থেকে দেশজুড়ে অবরোধ কর্মসূচি পালনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংগঠনটি।
‘৩৬ জুলাইয়ের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র ও সনদের দাবি’ শীর্ষক গণজমায়েতে অংশ নেন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা আপ বাংলাদেশের নেতা–কর্মীরা। জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের এক বছর পার হলেও জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র জারি না হওয়াকে অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতা হিসেবে দেখছেন তাঁরা।
আপ বাংলাদেশের আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ বলেন, ‘আমরা একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ চেয়েছিলাম। কিন্তু আহতদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। আমরা দেখেছি, যারা জুলাইয়ের নেতৃত্বে ছিল, জুলাইয়ের পরে তাদের পকেট ভারী হয়েছে। আমি বলতে চাই, আপনাদের এই পকেটের হিসাব দিতে হবে।’
অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে আলী আহসান বলেন, ‘আপনারা জুলাই ঘোষণাপত্র দিতে পারবেন কি পারবেন না, তা জানান; না পারলে আমরা আছি। যারা জীবন দিতে প্রস্তুত ছিলাম, বাংলাদেশের (সেই) ২০ কোটি জনগণ জুলাই ঘোষণাপত্র জারি করবে।’
আপ বাংলাদেশের আহ্বায়ক বলেন, ‘৩৬ জুলাইয়ের মধ্যে যদি জুলাই ঘোষণাপত্র না হয়, তাহলে ৬ আগস্ট থেকে দেশজুড়ে অবরোধ শুরু হবে। এ সরকারের কোনো হুমকি আমাদের দমিয়ে রাখতে পারবে না।’
গণজমায়েতে অংশ নিয়ে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান বলেন, আপ বাংলাদেশের নেতারা এখনো কোনো প্রটোকল ছাড়া রাস্তাঘাটে হাঁটেন। কিন্তু তাঁরা যেদিন প্রটোকল নিতে শুরু করবেন, সেদিন থেকে তাঁদের বিরুদ্ধেও তিনি কথা বলা শুরু করবেন।
জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র জারির আহ্বান জানিয়ে শরীফ ওসমান বলেন, এখন পর্যন্ত বিদ্যমান আইনি কাঠামোয় জুলাই শহীদেরা রাষ্ট্রদ্রোহী। তাঁদেরকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। আজকের মধ্যে সরকার দিনক্ষণ না জানালে আগামী ৩ তারিখ (আগস্ট) ইনকিলাব মঞ্চের উদ্যোগে কফিন মিছিল নিয়ে সচিবালয় অবরোধ করা হবে।
বিগত এক বছর থেকে একটি দুর্বল সরকার দেশ চালাচ্ছে উল্লেখ করে আপ বাংলাদেশের সদস্যসচিব আরেফিন মোহাম্মদ বলেন, ‘জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তিতে ঘোষণাপত্রের জন্য আমাদের আবারও গণজমায়েত করতে হচ্ছে। এর চেয়ে লজ্জাজনক আর কী হতে পারে?’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এ বি জুবায়ের বলেন, ‘আমরা যে মৌলিক সংস্কার চেয়েছিলাম, এখনো তার কিছুই হয়নি। এখনো শহীদ পরিবারের পুনর্বাসন ও আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত হয়নি। আমি উপদেষ্টাদের উদ্দেশে বলতে চাই, অবিলম্বে জুলাই সনদ ঘোষণা করুন। আপনাদের কাছে আমাদের চাওয়া–পাওয়া খুব বেশি নেই।’
গণজমায়েতে র্যাপ গান পরিবেশন করেন আপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য আহনাফ তাহমিদ। স্বাগত বক্তব্য দেন জুলাই শহীদ ওসমান পাটোয়ারীর বাবা আবদুর রহমান। গণজমায়েতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন আপ বাংলাদেশের প্রধান সমন্বয়কারী রাফে সালমান রিফাত, প্রধান সংগঠক নাঈম আহমেদ, মুখপাত্র শাহরিন সুলতানা প্রমুখ।