ঈদে মুক্তি পেয়েছে আলোচিত জুটি আফরান নিশো ও তমা মির্জা অভিনীত সিনেমা ‘দাগি’। সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন শিহাব শাহীন। এটি প্রযোজনা করেছে এসভিএফ আলফা আই এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেড ও চরকি। ঈদে মুক্তির পর থেকেই সিনেপ্লেক্সগুলোয় হাউসফুল যাচ্ছে সিনেমাটি। দর্শকের প্রশংসা পাচ্ছেন সিনেমার অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। দর্শকের চাহিদায় দাগি’র শো বাড়ছে স্টার সিনেপ্লেক্স। ‘দাগি’কে প্রতিযোগিতা করতে হচ্ছে বেশ কয়েকটি সিনেমার সঙ্গে। বিশেষ করে ‘বরবাদ’ এবং ‘জংলি’র সঙ্গে। এই দুইটি সিনেমা নিয়ে সম্প্রতি একটি ভিডিও সাক্ষাৎকারে নিজের ভাবনা জানিয়েছেন তমা মির্জা।

তিনি এই দুইটি সিনেমা দেখার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তমা মির্জা বলেন, ‘‘আমার প্ল্যান ছিল ঈদের দিন আমার সিনেমাটা দেখবো। তারপর অন্যান্য সিনেমাগুলো দেখবো। বিশেষ করে ‘বরবাদ’ এবং ‘জংলি’ দেখার খুব ইচ্ছে ছিল। কারণ প্রোমোশনালি বলো, লুক বলো, ট্রেইলার, টিজার যেটাই বলো আমার কাছে খুব আমার কাছে এই দুইটি সিনেমা খুব প্রমিজিং লেগেছে। আমার মনে হয়েছে একজন আর্টিস্ট হিসেবে এই দুইটা সিনেমা আমার দেখা উচিত। কিন্তু এই সাতদিনে আমি একটুও সময় পাইনি। কারণ ‘দাগি’ সিনেমাটা যে হলে চলছে এই কথাটা ষোলো কোটি মানুষের মধ্যে এক কোটি মানুষও ঠিকঠাক মতো জানে না। এই খবরটা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া। 

এই চিত্রনায়িকা আরও বলেন, ‘‘এবার আমাদের লক্ষ্য ছিল, দর্শক যেন জানে যে সিনেমা হলে ‘দাগি’ চলছে। ’’ এই লক্ষ্যে পৌঁছাতে প্রচারণায় ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন তমা মির্জা। সফলতার মুখ দেখেছে ‘দাগি’। এবার অন্য সিনেমাগুলোও দেখতে চান তিনি।

আরো পড়ুন:

শাকিবের জন্য বাংলাদেশের মানুষ আমাকে চেনে: ইধিকা

ফ্যান্টাসি কিংডমে নতুন ৩ রাইড, বিনোদনে বাড়তি সংযোজন

তমা জানিয়েছেন, শুক্রবারে সিনেমাহলে দিয়ে ‘বরবাদ’ এবং ‘জংলি’ সিনেমা দেখবেন তিনি।

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বরব দ

এছাড়াও পড়ুন:

৫ আগস্টের মধ্যে জুলাই সনদ না হলে অবরোধের হুঁশিয়ারি আপ বাংলাদেশের

জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র জারির দাবিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে ইউনাইটেড পিপলস (আপ) বাংলাদেশ। আজ শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগে গণজমায়েত থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। দাবি পূরণ না হলে ৬ আগস্ট থেকে দেশজুড়ে অবরোধ কর্মসূচি পালনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংগঠনটি।

‘৩৬ জুলাইয়ের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র ও সনদের দাবি’ শীর্ষক গণজমায়েতে অংশ নেন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা আপ বাংলাদেশের নেতা–কর্মীরা। জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের এক বছর পার হলেও জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র জারি না হওয়াকে অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতা হিসেবে দেখছেন তাঁরা।

আপ বাংলাদেশের আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ বলেন, ‘আমরা একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ চেয়েছিলাম। কিন্তু আহতদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। আমরা দেখেছি, যারা জুলাইয়ের নেতৃত্বে ছিল, জুলাইয়ের পরে তাদের পকেট ভারী হয়েছে। আমি বলতে চাই, আপনাদের এই পকেটের হিসাব দিতে হবে।’

অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে আলী আহসান বলেন, ‘আপনারা জুলাই ঘোষণাপত্র দিতে পারবেন কি পারবেন না, তা জানান; না পারলে আমরা আছি। যারা জীবন দিতে প্রস্তুত ছিলাম, বাংলাদেশের (সেই) ২০ কোটি জনগণ জুলাই ঘোষণাপত্র জারি করবে।’

আপ বাংলাদেশের আহ্বায়ক বলেন, ‘৩৬ জুলাইয়ের মধ্যে যদি জুলাই ঘোষণাপত্র না হয়, তাহলে ৬ আগস্ট থেকে দেশজুড়ে অবরোধ শুরু হবে। এ সরকারের কোনো হুমকি আমাদের দমিয়ে রাখতে পারবে না।’

গণজমায়েতে অংশ নিয়ে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান বলেন, আপ বাংলাদেশের নেতারা এখনো কোনো প্রটোকল ছাড়া রাস্তাঘাটে হাঁটেন। কিন্তু তাঁরা যেদিন প্রটোকল নিতে শুরু করবেন, সেদিন থেকে তাঁদের বিরুদ্ধেও তিনি কথা বলা শুরু করবেন।

জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র জারির আহ্বান জানিয়ে শরীফ ওসমান বলেন, এখন পর্যন্ত বিদ্যমান আইনি কাঠামোয় জুলাই শহীদেরা রাষ্ট্রদ্রোহী। তাঁদেরকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। আজকের মধ্যে সরকার দিনক্ষণ না জানালে আগামী ৩ তারিখ (আগস্ট) ইনকিলাব মঞ্চের উদ্যোগে কফিন মিছিল নিয়ে সচিবালয় অবরোধ করা হবে।

বিগত এক বছর থেকে একটি দুর্বল সরকার দেশ চালাচ্ছে উল্লেখ করে আপ বাংলাদেশের সদস্যসচিব আরেফিন মোহাম্মদ বলেন, ‘জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তিতে ঘোষণাপত্রের জন্য আমাদের আবারও গণজমায়েত করতে হচ্ছে। এর চেয়ে লজ্জাজনক আর কী হতে পারে?’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এ বি জুবায়ের বলেন, ‘আমরা যে মৌলিক সংস্কার চেয়েছিলাম, এখনো তার কিছুই হয়নি। এখনো শহীদ পরিবারের পুনর্বাসন ও আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত হয়নি। আমি উপদেষ্টাদের উদ্দেশে বলতে চাই, অবিলম্বে জুলাই সনদ ঘোষণা করুন। আপনাদের কাছে আমাদের চাওয়া–পাওয়া খুব বেশি নেই।’

গণজমায়েতে র‌্যাপ গান পরিবেশন করেন আপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য আহনাফ তাহমিদ। স্বাগত বক্তব্য দেন জুলাই শহীদ ওসমান পাটোয়ারীর বাবা আবদুর রহমান। গণজমায়েতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন আপ বাংলাদেশের প্রধান সমন্বয়কারী রাফে সালমান রিফাত, প্রধান সংগঠক নাঈম আহমেদ, মুখপাত্র শাহরিন সুলতানা প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ