নিয়ামতপুরে ‘গাছ কাটা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে’ দুই চাচাতো ভাইকে পিটিয়ে হত্যা
Published: 10th, April 2025 GMT
নওগাঁর নিয়ামতপুরে ‘বিরোধপূর্ণ জমিতে গাছ কাটা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে’ দুজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তাঁরা দুজন সম্পর্কে চাচাতো ভাই। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত আটজন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার চন্দননগর ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত দুজন হলেন শরিফুল ইসলাম (৪০) ও তাঁর চাচাতো ভাই আইজুল ইসলাম (৩৫)। তাঁদের মধ্যে শরিফুল ঘটনাস্থলেই আজ বেলা ১১টার দিকে মারা গেছেন। আর আহত অবস্থায় রাজশাহী নেওয়ার পথে বেলা ২টার দিকে আইজুলের মৃত্যু হয়।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে চারজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন শরিফুলের ছোট ভাই ময়নুল হক (২৫), চাচা রেজাউল ইসলাম (৭০), প্রতিবেশী শহিদুল ইসলাম (৪০) ও আনারুল (৩০)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বসতভিটার জমি নিয়ে শরিফুল ইসলামের সঙ্গে প্রতিবেশী কাশেম হাজী ও তাঁর ছেলে লাল চান, আজিজার, শফিকুল ও মুক্তারের বিরোধ চলছিল। সেই জমিতে বেশ কয়েকটি মেহগনিগাছ লাগানো আছে। গতকাল বুধবার সেখান থেকে একটি গাছ কাটেন শরিফুল। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এর জেরে আজ দুপুর ১২টার দিকে কাশেম হাজী ও তাঁর ছেলেদের নেতৃত্বে তাঁদের পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র ও লাঠি নিয়ে শরিফুলের ওপর হামলা চালায়। হামলায় ঘটনাস্থলেই শরিফুলের মৃত্যু হয়। এ সময় আবার উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরে শরিফুলের চাচাতো ভাই আইজুল, চাচা রেজাউল, শরিফুলের ছোট ভাই ময়নুলসহ অন্তত আটজন আহত হন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পাঁচজন নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান নিয়ামতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পলাতক। দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নওগাঁয় ১০ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ
নওগাঁর ধামইরহাট সীমান্ত দিয়ে ১০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ভোরে ধামইরহাট উপজেলার আগ্রাদ্বিগুন সীমান্ত পিলার ২৫৬/৭ এস কাছ দিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হলে বিজিবির সদস্যরা তাদেরকে আটক করেন। তাদের মধ্যে দুজন পুরুষ এবং আটজন নারী।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এসব তথ্য জানিয়েছেন পত্নীতলা ১৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন।
আরো পড়ুন:
গাংনী সীমান্ত দিয়ে ১৮ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ
বড়লেখা সীমান্ত দিয়ে ১০ রোহিঙ্গাকে ঠেলে দিয়েছে বিএসএফ
আটকরা হলেন—আছমা বেগম (৪০), খাদিজা বেগম (৩৪), পাখি বেগম (২৪), রুমা বেগম (২৫), কাকলি আক্তার (২৭), রুজিনা আক্তার (৩৩), কোহিনুর বেগম (২৬), নাসরিন বেগম (৩৩), মঞ্জুরুল ইসলাম (৩৬), সুমন হোসেন (২৭)। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তারা প্রত্যেকেই বাংলাদেশের নাগরিক।
বিজিবি জানিয়েছে, আগ্রাদ্বিগুন বিওপির টহল কমান্ডার জেসিও সুবেদার মো. জিহাদ আলীর নেতৃত্বে একটি টহল দল সীমান্তের শূন্য লাইন থেকে আনুমানিক এক কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মহেষপুরে ওই ১০ জনকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে আটক করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে ভারতে যান। মুম্বাই শহরে পুরুষ দুজন রাজমিস্ত্রি হিসেবে এবং নারী আটজন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। সেখানে তাদেরকে আটক করে ভারতীয় পুলিশ। গত ২৯ জুলাই ভারতের হরিবংশীপুর বিএসএফ ক্যাম্পে তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে বিএসএফ ওই ১০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিলে বিজিবি টহল দল তাদের আটক করে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ঢাকা/সাজু/রফিক