৬৪ বছর বয়সে অভিষেক, ইতিহাস গড়লেন জোয়ানা চাইল্ড
Published: 11th, April 2025 GMT
খেলার কোনো বয়স হয় না—এ কথাটিই আবারও সত্য প্রমাণ করলেন জোয়ানা চাইল্ড। বয়স যখন ৬৪, তখন প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মাঠে নামলেন এই নারী ক্রিকেটার। আর তাতে ক্রিকেট দুনিয়ায় এক অসাধারণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন। বয়সের বাঁধা পেরিয়ে তিনি টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে খেলতে নেমে হয়েছেন বিশ্বের দ্বিতীয় সবচেয়ে বেশি বয়সী খেলোয়াড়।
যদিও ব্যাট হাতে তেমন কোনো রান করতে পারেননি, তবুও তার মাঠে নামার ঘটনাটি হয়ে উঠেছে বিশ্বজুড়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে এক বিরল অনুপ্রেরণার উৎস। জোয়ানা চাইল্ড পুরো সিরিজেই খেলেছেন, যেখানে পর্তুগাল মুখোমুখি হয় নরওয়ের। প্রতিটি ম্যাচে তিনি দেখিয়েছেন সাহস, উদ্দীপনা ও খেলায় প্রতি নিদারুণ ভালোবাসা।
গেল ৭ এপ্রিল আলবারগারিয়াতে অনুষ্ঠিত ম্যাচে নরওয়ের বিপক্ষে পর্তুগালের হয়ে প্রথমবার মাঠে নামেন তিনি। এই অর্জনের মাধ্যমে তিনি পেছনে ফেলেছেন ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জের অ্যান্ড্রু ব্রাউনলি (৬২ বছর ১৪৫ দিন) এবং কেম্যান দ্বীপপুঞ্জের ম্যালি মুর (৬২ বছর ২৫ দিন)-এর মতো অভিজ্ঞদের। তবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি বয়সে অভিষেকের রেকর্ড এখনো রয়েছে জিব্রাল্টারের স্যালি বার্টনের দখলে। যার অভিষেক হয়েছিল ৬৬ বছর ৩৩৪ দিন বয়সে।
আরো পড়ুন:
আইপিএলে ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যয়বহুল স্পেল, আর্চারের দুঃস্বপ্নের দিন
অবসর ভেঙে ফিরেই ২৮ বলে ১৫ ছক্কায় ডি ভিলিয়ার্সের সেঞ্চুরি
পর্তুগাল নারী দলের অধিনায়ক সারা ফু-রাইল্যান্ড বলেছেন, ‘‘জোয়ানা অনেক ক্রিকেটারের জন্যই এক বিশাল অনুপ্রেরণা।’’ পর্তুগাল দলের স্কোয়াডে ১৫ বছর বয়সী কিশোরী থেকে শুরু করে ৬৪ বছরের অভিজ্ঞ খেলোয়াড়—সবাই ছিল একসঙ্গে। এমন বয়সের বৈচিত্র্য সত্যিই অনন্য উদাহরণ।
পর্তুগাল-নরওয়ে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে পর্তুগাল ২-১ ব্যবধানে জয়ী হয়। শেষ ম্যাচে ৯ উইকেটের দারুণ জয়ে সিরিজ নিশ্চিত করে তারা।
জোয়ানা চাইল্ডের এই কীর্তি প্রমাণ করে দিলো বয়স শুধুমাত্র একটি সংখ্যা। যদি মনের জোর থাকে তবে যেকোনো বয়সেই শুরু করা সম্ভব নতুন কিছু! পাশাপাশি জোয়ানা চাইল্ডের এই অভিষেক প্রমাণ করে স্বপ্ন দেখার কোনও বয়স নেই। আর শুরু করতেও দেরি হয় না। যেকোনো বয়সেই আপনি আপনার জায়গা করে নিতে পারেন যদি থাকে সাহস আর মনোবল।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক র ক ট র কর ড পর ত গ ল
এছাড়াও পড়ুন:
জমজমাট নাটকের পর কিংসের শিরোপা উৎসব
সময়ের চেয়েও বেশি দীর্ঘ হলো অপেক্ষা। উত্তেজনার বাঁকে বাঁকে লুকিয়ে ছিল ফুটবলীয় রোমাঞ্চ। শেষ ১৫ মিনিট যেন পরিণত হলো রূপকথার উপসংহারে—যেখানে আবাহনীর স্বপ্ন থেমে যায়, আর বসুন্ধরা কিংস খুঁজে পায় চতুর্থ ফেডারেশন কাপের সোনালি মুহূর্ত।
বৃষ্টির ছন্দে বিভ্রান্ত হওয়া ফাইনাল আবার শুরু হলো এক সপ্তাহ পর। ১-১ সমতায় থাকা ম্যাচের বাকি অংশ গড়ালো ময়মনসিংহ জেলা স্টেডিয়ামে। যেখানে শুরু থেকেই ১০ জনের দল নিয়ে খেলতে নামে কিংস। অতিরিক্ত সময়ে কিছুই হল না। তবে অপেক্ষার পুরস্কার মিলল টাইব্রেকারে।
সেখানে বাজিমাত করলেন কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ। আবাহনীর দ্বিতীয় শট আটকে দিয়ে দলকে দিলেন এগিয়ে যাওয়ার আত্মবিশ্বাস। আর শেষ শটটি নেন ব্রাজিলিয়ান ড্যাসিয়েল, যা গোললাইন পার হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই উৎসবে ফেটে পড়ে কিংস শিবির।
আরো পড়ুন:
যে কারণে এবারের লিগ জয়কে এগিয়ে রাখছেন সালাহ
পাঁচ গোলের রোমাঞ্চকর ফাইনালে শেষ হাসি বার্সার
কিছুদিন আগেই আবাহনীর কাছে টাইব্রেকারে হেরেছিল কিংস। এবার সেই হারের উত্তরটা যেন মিলল একই মঞ্চে, একই কৌশলে— তবে ভিন্ন ফলাফলে। মোরসালিন, তপু, ইনসান, জোনাথন আর ড্যাসিয়েল— কেউই ভুল করেননি। আবাহনীর একমাত্র ব্যর্থ শটটি ছিল নাইজেরিয়ান এমেকার, যা ঠেকিয়ে দেন শ্রাবণ। আর মিরাজুলের চতুর্থ শট, যা প্রথমবার ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন শ্রাবণ। কিন্তু রেফারির সিদ্ধান্তে আবার নিতে হয়। তাতেও গোল হলেও ততক্ষণে কিংস হয়ে গেছে অপ্রতিরোধ্য।
এদিন মাত্র ১৫ মিনিট খেলা হলেও মাঠের উত্তাপ ছিল পূর্ণদৈর্ঘ্য নাটকের মতো। শুরুতেই হলুদ কার্ড দেখেন আবাহনীর সুমন রেজা ও অধিনায়ক হৃদয়। আগের ম্যাচেও হলুদ-লাল কার্ডে ভরা ছিল দৃশ্যপট। ফুটবল এখানে শুধু কৌশলের খেলা নয় তা যেন হয়ে ওঠে মানসিক স্থিতির পরীক্ষাও।
এই জয়ে বসুন্ধরা কিংস চতুর্থবারের মতো ফেডারেশন কাপ জয় করল। একই সঙ্গে আবাহনীকে প্রথমবার কোনো ফাইনালে হারানোর কৃতিত্বও অর্জন করল তারা। অতীতে দুই ফাইনালে পরাজিত হয়েছিল কিংস। এবার তারা সেই রেকর্ড মুছে দিল নির্ভার ফুটবলে।
ঢাকা/আমিনুল