চন্দনাইশ পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের জিহস ফকিরপাড়া গ্রাম। এ গ্রামটি এখন ‘হাতপাখা গ্রাম’ হিসেবে খ্যাত। কারণ এই গ্রামেই তৈরি হয় দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় হাতপাখা, যা মজবুত ও টেকসই। এই পাখা বানানো হয় তালপাতা ও বেতের সাহায্যে। সারা বছর চাহিদা থাকলেও চৈত্র-বৈশাখ মাসে দারুণভাবে বেড়ে যায় হাতপাখার চাহিদা। গরমে একটু শীতল পরশ পেতে মানুষ হাত বাড়ান চন্দনাইশের হাতপাখার দিকে। 
বর্তমান আধুনিক যুগে এসেও এ হাতপাখার কদর একটুও কমেনি। বরং চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। সারা বছর এখানকার কারিগররা হাতপাখা তৈরি করেন। বৈশাখী মেলা বিশেষ করে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলীখেলা উপলক্ষে লালদীঘির মেলায় চন্দনাইশের হাতপাখার বিশাল বাজার বসে। শুধু লালদীঘির মেলায় চন্দনাইশের ফকিরপাড়ায়া তৈরি করা ৩ লাখ হাতপাখা বিক্রি হয়। এখানকার কারিগররা মূলত বৈশাখী মেলাকে টার্গেট করেই বানান বিভিন্ন ধরনের রংবেরঙের তালপাতার হাতপাখা। এ গ্রামের শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত সবাই একেকজন দক্ষ পাখাশিল্পী। তারা ইতোমধ্যে শেষ করেছেন পাইকারদের অর্ডারকৃত হাতপাখা তৈরির কাজ। বৈশাখী মেলাকে কেন্দ্র করে পাইকারি ব্যবসায়ীরাও বিভিন্ন মেলায় নিয়ে যেতে শুরু করেছেন তালপাতার হাতপাখা। পাশাপাশি পাখাশিল্পীরাও ব্যক্তিগতভাবে বিক্রির উদ্দেশ্যে মেলায় নিয়ে যাবেন হাতপাখা। পাখাশিল্পীরা জানিয়েছেন, এখানকার প্রতিটি হাতপাখা ২০০-৩৫০ টাকায় বিক্রি হয়। গড় হিসেবে প্রতিটি হাতপাখা ২৫০ টাকার ওপরে। এ গ্রাম থেকেই প্রতিবছর প্রায় ১০ কোটি টাকা মূল্যের ৪ লাখ হাতপাখা বিক্রি হয়।
ঐতিহ্যবাহী চন্দনাইশের জিহস ফকিরপাড়ার হাতপাখা গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় সংখ্যক হাতপাখা তৈরি শেষ করেছেন এখানকার শিল্পীরা। এ গ্রামের প্রতিটি বাড়ির উঠানে হাতপাখা তৈরির কাজে বিভিন্ন বয়সের নারী, পুরুষ, তরুণ-তরুণী, এমনকি শিশু-কিশোররা পর্যন্ত ব্যস্ত। গ্রামের ৫ শতাধিক পরিবার হাতপাখা তৈরির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
স্থানীয়রা জানান, আধ্যাত্মিক সাধক জিহস ফকিরের নামানুসারে এ গ্রামটিকে জিহস ফকিরপাড়া হিসেবে নামকরণ করা হলেও বর্তমানে গ্রামটি পরিচিতি পেয়েছে ‘হাতপাখা গ্রাম’ হিসেবে।
জিহস ফকিরপাড়া গ্রামের মৃত বাদশা মিয়ার পুত্র আবদুল শুক্কুর (৫৬) জানান, বুদ্ধি হওয়ার পর থেকে হাতপাখা তৈরি করছেন তিনি। বাবা-মার কাছ থেকেই তিনি শিখেছেন হাতপাখা তৈরির কলাকৌশল। বাবার মৃত্যুর পর তিনি হাতপাখা পেশা আগলে রেখেছেন বছরের পর বছর। হাতপাখা বিক্রির টাকায় তিনি ইতোমধ্যে পাঁচ বোনকে বিয়ে দিয়েছেন। নিজে বিয়ে করেছেন। একমাত্র ছেলেকে পাঠিয়েছেন প্রবাসে। বর্তমানে পরিবার নিয়ে সুন্দরভাবে দিন কাটছে তাঁর।
তিনি আরও জানান, সারা বছরই তালপাতার চাহিদা থাকে। বিশেষ করে চৈত্র-বৈশাখ মাসে যখন তাপদাহ শুরু হয়, তখন চাহিদা বেড়ে যায়। বর্তমানে প্রচুর হাতপাখার চাহিদা রয়েছে। ইতোমধ্যে তিনি প্রায় ২ হাজার হাতপাখা  পাইকারদের কাছে সরবরাহ করেছেন। এসব পাখার অধিকাংশই বিক্রি হবে জব্বারের বলীখেলা উপলক্ষে লালদীঘির মেলায়। প্রতিজোড়া হাতপাখা পাইকারি হিসেবে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি করেছেন তিনি। মেলায় তিনি নিজেও বিক্রি করবেন হাতপাখা।
তিনি জানান, চৈত্র-বৈশাখের এই খরতাপে দেশে যে পরিমাণ হাতপাখার চাহিদা রয়েছে তার অধিকাংশই মূলত চন্দনাইশের ফকিরপাড়া গ্রামে তৈরি করা হয়।
এ ছাড়া চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে মাইজভান্ডার ওরশ শরীফ ও আনোয়ারার মোহছেন আউলিয়ার বার্ষিক ওরশ শরীফ, পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ ও দেশের বিভিন্নস্থানে অনুষ্টিত বৈশাখী মেলা, বলী খেলা, গরুর লড়াই ইত্যাদিতে হাজার হাজার হাতপাখা বিক্রি হয়। 
পাখা শিল্পীরা জানান, হাতপাখা তৈরীর প্রধান উপকরনগুলো হলো তালপাতা, বেত,  বাঁশ ও রং। চট্টগ্রাম ও পার্বত্য জেলাগুলোর বনাঞ্চল থেকে বাঁশ ও বেত সংগ্রহ করতে হয়। আর হাতপাখা তৈরীর প্রধান উপকরণ তালপাতা সংগ্রহ করতে হয় পটিয়া উপজেলা, নোয়াখালী ও কুমিল্লা জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে।
এক সময় এ গ্রামের আবদুল মোনাফ বানাতেন প্রচুর তালপাতার হাতপাখা। বর্তমানে তিনি প্রবাসী। মুলত হাতপাখা বিক্রির টাকায় তিনি পাড়িয়েছেন প্রবাসে। বিগত ২ মাস আগে তিনি এসেছেন গ্রামে। তিনি নিজে তৈরী করেছেন ১০০ হাতপাখা। যা তিনি নিজেই বিক্রি করবেন জব্বার মিয়ার বলি খেলা উপলক্ষে লালদিঘীর আশেপাশে বসা মেলায়। তিনি প্রতিটি হাতপাখা বিক্রি করবেন ৩০০ টাকা ধরে।
হাতপাখা তৈরীর ইতিকথাঃ পাখাশিল্পীরা জানান, ১৯৪০-৪২ সালের দিকে গ্রামের বেশ কয়েকজন যুবক বেকারত্ব থেকে বাচঁতে জীবিকার সন্ধানে বের হন। তারা কুমিল্লা জেলার কোন এলাকা থেকে তালপাতার হাতপাখা তৈরীর কলা-কৌশল শিখে আসেন। আর তখনকারদিনে বিদ্যুৎ সুবিধার অপ্রতুলতার করণে দ্রুত প্রসার ঘটে তাদের তৈরীকৃত হাতপাখার। এখানকার তৈরীকৃত নানা প্রকারের হাতপাখা দেখতে সুন্দর ও অত্যন্ত মজবুত হওয়ায় ধীরে ধীরে সারাদেশে এর চাহিদা ও সুনাম গড়ে উঠে। পুরো পাখাগ্রাম ঘুরে জানা যায়, এলাকার সহস্রাধিক পরিবারের ৫ হাজারেরও অধিক সদস্য তালপাতার হাতপাখা তৈরীর সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত রয়েছে। 
পাখাশিল্পীরা আরো জানান, তারা মূলত ৭ তারী, ৯ তারী, ১১ তারী, ১৩ তারী ও ১৫ তারীর হাতপাখা তৈরী করেন। এরমধ্যে ৯ এবং ১১ তারী পাখার চাহিদা থাকে বেশী।চাহিদা সম্পন্ন হাতপাখাগুলো তালগাছের ডিগ পাতা দিয়ে তৈরী করা হয়। ফলে এটি মজবুত ও টেকসই হওয়ায় দীর্ঘদিন ব্যবহার করা যায়। তাদের তৈরীকৃত হাতপাখা নিয়ে বেকায়দায়ও পড়তে হয়না। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পাইকারী ব্যবসায়ীরা এসে সিংহভাগ হাতপাখা কিনে নিয়ে যায়। এমনকি অগ্রিম টাকা দিয়ে পরিমাণ মতো অর্ডার দিয়ে যায় পাখাশিল্পীদের।
পাখা শিল্পীরা জানান, ভবিষ্যতে এ শিল্পটি টিকিয়ে রাখতে সরকারী সহযোগিতা প্রয়োজন। সরকারীভাবে আর্থিক ঋণ পেলে তাদের তৈরীকৃত হাতপাখা বাণিজ্যিকভাবে বিদেশে রপ্তানী সম্ভব হবে। ইতিমধ্যে ব্যক্তিগত উদ্যোগে অনেকেই কিছু কিছু হাতপাখা বিদেশে নিয়ে যান। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উপলক ষ কর ছ ন শ ষ কর

এছাড়াও পড়ুন:

দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে হিন্দু নেতাদের সাক্ষাৎ

আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিভিন্ন পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের নেতারা সাক্ষাৎ করেছেন। তাঁরা এ সময় প্রধান উপদেষ্টাকে পূজামণ্ডপ পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানান।

আজ সোমবার বিকেলে হিন্দু নেতারা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় যান। এ সময় তাঁদের কাছে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি ও সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চান প্রধান উপদেষ্টা। তিনি তাঁদের বলেন, ‘আপনাদের সঙ্গে সব সময় দেখা করার ইচ্ছা থাকলেও সুযোগ হয় না। পূজা উপলক্ষে বছরে একবার সামনাসামনি দেখা হয়, কথা বলার সুযোগ হয়।’

হিন্দুধর্মীয় নেতারা জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর এক হাজারের বেশি পূজামণ্ডপ বেড়েছে। সারা দেশে পূজামণ্ডপ তৈরির কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে।

নেতারা বলেন, ধর্ম উপদেষ্টা নিয়মিতভাবে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন, মন্দির পরিদর্শন করেন। দুর্গাপূজা উৎসবমুখর করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হচ্ছে। গতবারের মতো এবারও নির্বিঘ্নে পূজা উদ্‌যাপন হবে বলে তাঁরা আশা করছি।

এ সময় স্থায়ী দুর্গামন্দিরের জন্য রেল মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জায়গা বরাদ্দ দেওয়ায় প্রধান উপদেষ্টাকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান মহানগর পূজা কমিটির সভাপতি জয়ন্ত কুমার দেব। তিনি বলেন, ‘এটি একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। এ জন্য আপনাকে বিশেষ ধন্যবাদ। আপনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে নিয়মিত আমাদের খোঁজখবর রেখেছেন। গত বছরের মতো এ বছরও পূজায় আমরা দুই দিন ছুটি পেয়েছি। এ জন্যও আপনাকে বিশেষ ধন্যবাদ। গত বছর ৮ আগস্ট দেশে ফেরার পরপরই আপনি ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন করে বলেছিলেন, আমরা সবাই এক পরিবার। আপনার বক্তব্য আমাদের মনে গভীরভাবে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।’

বাংলাদেশ পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর বলেন, ‘গত বছর দুর্গাপূজায় ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শনে গিয়ে আপনি বলেছিলেন, নিরাপত্তা বাহিনী দিয়ে কড়া পাহারা বসিয়ে পূজা হবে এমন দেশ আমরা চাই না। আমরা প্রথমবারের মতো কোনো সরকারপ্রধানের কাছে এমন বক্তব্য শুনেছি। আমরাও আপনার বক্তব্যের সঙ্গে একমত, আমরাও চাই এ আয়োজনে সবাই সহযোগিতা করুক, দেশের সবার মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক থাকুক।’

বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের মহাসচিব এস এন তরুণ দে বলেন, ‘আপনি দায়িত্বে থাকাকালীন দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নজির স্থাপন করেছেন। আমরা লক্ষ করেছি, এক বছর ধরে, বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচুর মিথ্যা কথা, ফেক নিউজ ছড়ানো হচ্ছে। আপনার নেতৃত্বে ধর্ম–বর্ণ–জাতিনির্বিশেষে বাংলাদেশের সব মানুষের কল্যাণ হবে, আমরা সেটাই কামনা করি।’

বৈঠকে ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, ‘ধর্ম মন্ত্রণালয় সব ধর্মের প্রতিনিধিত্ব করে। কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে আমরা কল্যাণকর কর্মসূচিগুলো নিশ্চিত করি।’ এ সময় তিনি বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সহযোগিতার কথা তুলে ধরেন।

প্রধান উপদেষ্টা সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও পূজার অগ্রিম শুভেচ্ছা জানান এবং দুর্গাপূজা ঘিরে যাতে কোনো ধরনের ষড়যন্ত্রের সুযোগ তৈরি না হয়, সে জন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান।

বৈঠকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান তপন চন্দ্র মজুমদার ও সচিব দেবেন্দ্র নাথ উঁরাও, রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী পূর্ণানন্দ (একক), বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু সমাজসংস্কার সমিতির সভাপতি অধ্যাপক হীরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, শ্রীশ্রী গীতা হরি সংঘ দেব মন্দিরের সভাপতি বিমান বিহারী তালুকদার, বাংলাদেশ পূজা উদ্‌যাপন ফ্রন্টের আহ্বায়ক অপর্ণা রায় দাস, শ্রীশ্রী সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দিরের সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র দত্ত ও সিদ্ধেশ্বরী সর্বজনীন পূজা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রণীতা সরকার উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাজকীয় ভোজে ট্রাম্প–মেলানিয়াকে কী কী খাওয়ালেন রাজা চার্লস
  • দুর্গাপূজায় নিরাপত্তায় সতর্ক অবস্থায় থাকবে পুলিশ: আইজিপি
  • শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে সিঙ্গাইরের ৭৭ মণ্ডপে অনুদান বিতরণ
  • শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপন উপলক্ষে বন্দরে প্রস্তুুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত 
  • মোদির জন্মদিনে ট্রাম্পের ফোন, মেসির উপহার
  • বেনাপোল দিয়ে ইলিশের প্রথম চালান গেল ভারতে
  • সদর উপজেলায় শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা
  • ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি পেল ৩৭টি প্রতিষ্ঠান
  • ‘ওজোনস্তর ক্ষয়ে স্বাস্থ্য, কৃষি ও প্রাণিজগৎ ঝুঁকির মুখে’
  • দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে হিন্দু নেতাদের সাক্ষাৎ