রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সিন্ডিকেট থেকে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের অপসারণ ও শিক্ষক নিয়োগে অভিন্ন ইউজিসি নীতিমালা বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় ‘সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ’-এর ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন শিক্ষার্থী শিক্ষক হতে পারবে কি পারবে না, এটা আওয়ামী লীগের সিন্ডিকেট নির্ধারণ করে দিতে পারে না। প্রশাসন রাতের বেলা আওয়ামী সিন্ডিকেটের সঙ্গে মিটিংয়ে বসেন আবার দিনের বেলা বয়ান দেন তারা আওয়ামী বিরোধী। আওয়ামী শিক্ষকদের ক্ষেত্রে আপনারা সুশীলগীরি দেখাবেন না। এরা শ্রেণিকক্ষে ভিন্ন মতে বিশ্বাসী শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ট্যাগ দিয়ে হেনস্থা ও পরীক্ষার নম্বর কমিয়ে দিত। ইউজিসির নীতিমালা বাস্তবায়ন করতে হবে। কেননা আপনারা নীতিমালা সংযোজন করে নিজেদের উদ্দেশ্য হাসিল করেন। নিজেদের ছেলে-মেয়ে এমনকি জামাতাকে পর্যন্ত শিক্ষক হওয়ার সুযোগ তৈরি করে দেন।
 
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, আজকে যদি ৫ আগস্ট না আসত এবং আওয়ামী সরকারের পতন না হত, তাহলে যে শিক্ষকগুলো আমাদের সঙ্গে আন্দোলন করেছে তাদের অবস্থা আওয়ামী শিক্ষকরা কী করত? তারা এত সহনশীলতা দেখাত না। তাদের প্রত্যেকের অবস্থা আজ খারাপ হত। অথচ বিপ্লবের দীর্ঘ প্রায় নয় মাস পার হলেও আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তারা এখনও বহাল তবিয়তে আছে। আমরা স্পষ্টভাবে বলে দিতে চাই দ্রুত তাদের অপসারণ করতে হবে।
 
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আকিল বিন তালেব বলেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আবার রাস্তায় দাঁড়াতে হবে এটি আমরা কখনো ভাবিনি। আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের যে ভূমিকা আমরা দেখতে পাচ্ছি তাতে ব্যথিত হওয়া ছাড়া কিছু বলার নেই। উপাচার্য স্যারের কাছে আমরা যে সংস্কারের দাবিগুলো জানিয়েছি, সেগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। নয়তো আমরা আবারও রাজপথে নামতে বাধ্য হব।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক নুরুল ইসলাম শহীদের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্র মিশনের সভাপতি জি এ সাব্বির, ছাত্র অধিকার পরিষদের সহসভাপতি আমান উল্লাহ, ছাত্রদল কর্মী নাসিম আহমেদ প্রমুখ। এ সময় শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শ ক ষকদ র আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাংবাদিকের ওপর হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় অবৈধ মাটি ব্যবসা নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিক মাইনুদ্দিন রুবেলের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন হয়েছে। হামলার চার দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো কেউ গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বক্তারা। জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘ঢেউ’ এ মানববন্ধনের আয়োজন করে। এতে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, গণমাধ্যমকর্মী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা, জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন, প্রেসক্লাবের কার্যকরী সদস্য শাহাজাহান সাজু, খেলাঘরের সাধারণ সম্পাদক নিহার রঞ্জন সরকার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনাইটেড কলেজের উদ্যোক্তা হারুন অর রশিদ ও শাহীন মৃধা, প্রথম আলোর বন্ধুসভার জেলা সভাপতি অভিজিৎ রায় ও সাধারণ সম্পাদক শাহাজান মিয়া এবং ঢেউয়ের সদস্য শাহাদাত হোসেন।

বক্তারা বলেন, যাঁরা সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত, তাঁদের কোনো দলীয় পরিচয় নেই। বাংলাদেশ সংবিধান প্রত্যেক নাগরিকের মতপ্রকাশের অধিকার দিয়েছে। একজন সাংবাদিক হিসেবে মাইনুদ্দিন রুবেল সেই অধিকার প্রয়োগ করেছেন। সাংবাদিকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে সত্য প্রকাশ থেকে বিরত রাখা যাবে না। হামলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে।

মাইনুদ্দিন রুবেল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি। তাঁর বাড়ি বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের ভিটি দাউদপুর গ্রামে। তিনি ২০ বছর ধরে জেলা শহরের দক্ষিণ মৌড়াইলে বসবাস করছেন।

গত শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে আটটার দিকে বিজয়নগরের মির্জাপুর এলাকায় উপজেলা পরিষদের সামনে তাঁর ওপর হামলা হয়। এতে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা কাইয়ুম মিয়া এবং বহিষ্কৃত যুবদল নেতা ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান ওরফে লিটন মুন্সীসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন রুবেল।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, মোখলেছুর ও কাইয়ুম দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অবৈধভাবে মাটি ব্যবসা করছেন। পুকুর ও কৃষিজমির মাটি কেটে তা ট্রাক্টরে করে অন্যত্র বিক্রি করছেন তাঁরা। স্থানীয় প্রশাসন এ বিষয়ে নীরব ভূমিকা পালন করছে।

এ বিষয়ে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পর থেকে আসামিরা পলাতক। তাঁদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সোনারগাঁয়ে ছিনতাই ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে মানববন্ধন
  • ‘পাটের তৈরি পণ্য ব্যবহার করুন’ 
  • শ্রমিকদের আবাসনসহ ৯ দফা দাবিতে মানববন্ধন
  • নির্দোষ দাবি প্রতিপক্ষের, হয়নি মামলা
  • তারেক রহমানের ৩১ দফার মধ্যেই সংস্কার রয়েছে, অচিরেই নির্বাচন দিন : সোহাগ
  • বাসে হামলার প্রতিবাদে ঢাবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
  • ধর্ষকদের শাস্তির দাবিতে তিতুমীরে মানববন্ধন
  • উত্তরায় বাসে হামলার প্রতিবাদে ঢাবিতে মানববন্ধন
  • সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হককে গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাংবাদিকের ওপর হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন