রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম বলেছেন, অভ্যুত্থানের পর একদল ভোটের দাবিতে, আরেক দল সবকিছু বাতিল করে নতুন শুরুর দাবিতে মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। এসব করে তারা ’২৪–এর যে সম্ভাবনা, সেটা নস্যাৎ করে দিতে চায়।

বৃহস্পতিবার মে দিবস উপলক্ষে ‘রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন’ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে হাসনাত কাইয়ূম এ কথা বলেন।

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের এই নেতা বলেন, শ্রমিকেরা মানুষ হিসেবে সবচেয়ে বেশি মর্যাদা পাওয়ার দাবিদার। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে যাঁরা নাগরিকের সুবিধাগুলো নিশ্চিত করেন, তাঁদের নাগরিক মর্যাদা দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকার ও রাষ্ট্রের উদাসীনতা রয়েছে। এমনকি এবারের  ঈদুল ফিতরেও শ্রমিকদের ন্যূনতম বেতন–ভাতা পেতে রাস্তায় নামতে হয়েছে, পুলিশের গুলি খেতে হয়েছে।

সভায় আরও বক্তব্য দেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের জাতীয় সমন্বয় কমিটির সদস্য শেখ নাসিরউদ্দীন, পাবনা জেলা কমিটির সদস্যসচিব মো.

মাসুদ রানা, রাষ্ট্র সংস্কার শ্রমিক আন্দোলনের সভাপতি মিন্টু মিয়া প্রমুখ। সভায় সভাপতিত্ব করেন জাকিয়া শিশির, সঞ্চালনা করেন দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের দপ্তর সমন্বয়ক এহসান আহমেদ।

সভায় বক্তারা বলেন, গণ–অভ্যুত্থানের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে কৃষক, শ্রমিকসহ সবাইকে নিয়ে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে সবচেয়ে টেকসই উপায়ে সংস্কার যাত্রা শুরু করা জরুরি।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ