বাংলাদেশের পর এবার যুক্তরাষ্ট্রসহ নিউইয়র্কে মুক্তি পেল শাকিব খানের 'বরবাদ'।  ১৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ৩০ এর ফার্স্ট শো দিয়ে সিনেমার্ট সিনেমাসে মুক্তি পায় 'বরবাদ'। সেখানে সিনেমাটি পরিবেশনার দায়িত্বে আছে এসকে ফিল্মস ইউএসএ। সিনেমাটির মাধ্যমে আন্তর্জাতিকভাবে সিনেমা পরিবেশনা নেমেছে শাকিব খানের মালিকানাধীন এই প্রতিষ্ঠান।  ১৯ এপ্রিল কানাডাতেও মুক্তি পাবে সিনেমাটি। 

নিউ ইয়র্কের সিনেমার্ট সিনেমাসের ম্যানেজার বারী বলেন, ১৯৫২ সাল থেকে যাত্রা শুরুর পর এই প্রথম কোন বাংলা ভাষার সিনেমা রিলিজ পেল তাদের হলে। আর প্রথম শো'তেই দর্শক একেবারে কানায় কানায় পূর্ণ। ছবি দেখে হল থেকে বের হওয়া দর্শকদের মুখেও শোনা গেল উচ্ছ্বাস আর ভাললাগার কথা।

জনপ্রিয় নির্মাতা মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ ফার্স্ট শো-তে বরবাদ দেখে জানিয়েছেন, কমার্শিয়াল সিনেমা হিসেবে বরবাদ খুব ভালো লেগেছে।পুরো সিনেমা জুড়ে আমাদের শাকিব ভাই ছিলেন ওয়ান ম্যান আর্মি। তাকে দেখতেও অসাধারণ লেগেছে। এখানে বরবাদ ভালো চলবে।  

নিউ ইয়র্কে প্রথম শো উপভোগ করেছেন অভিনেত্রী পারসা ইভানা। বরবাদ দেখে তিনি বলেন, ঈদের দিন বাংলাদেশে বরবাদের টিকিট পাইনি। পরদিন ব্যক্তিগত কাজে নিউইয়র্ক চলে আসি। এজন্য এখানে বরবাদ দেখে খুব এনজয় করেছি। দেশের মতো এখানেও শো হাউজফুল গেছে। সিনেমার টুইস্ট আমার মুগ্ধ করেছে, পুরো সিনেমাটাই এন্টারটেইনিং। যখন আমি সিনেমা করবো, চাইবো আমার সিনেমাটাও যেন এমন হয়।

এসকে ফিল্মস সূত্রে জানা যায়, প্রথম সপ্তাহে তুলনায় দ্বিতীয় সপ্তাহে আরও বেশি থিয়েটার পাবে 'বরবাদ'। যুক্তরাষ্ট্রের বাঙালী বসবাসকারী এলাকায় বরবাদ নিয়ে দর্শকদের আগ্রহ তুঙ্গে।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ঈদ র স ন ম বরব দ প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

ফিলিস্তিনি জনগণকে গণহত্যা থেকে রক্ষায় পররাষ্ট্র উপদেষ্টার আহ্বান

ফিলিস্তিনের জনগণকে গণহত্যা ও নিষ্ঠুরতম বর্বরতা থেকে রক্ষা করতে অবিলম্বে পরিপূর্ণ যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।

ফিলিস্তিন সংকটের একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানে গতকাল মঙ্গলবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরে আয়োজিত এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এ আহ্বান জানান।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সম্মেলনে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ইসরায়েল এখন পর্যন্ত ৫৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। তারা গণহত্যা অব্যাহত রেখেছে। ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য দায়ী সবাইকে বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানান তিনি।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রতি বাংলাদেশের অব্যাহত সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন। সেই সঙ্গে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি স্থাপনের একমাত্র পথ হিসেবে দ্বি–রাষ্ট্র সমাধান বাস্তবায়নে কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।

গাজা পুনর্গঠনে আরব দেশগুলোর পরিকল্পনাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাতিসংঘের নেতৃত্বে গাজা পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে প্রস্তুত রয়েছে। গাজায় জাতিসংঘের ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে বাধা দেওয়ার যেকোনো প্রচেষ্টা সর্বাত্মকভাবে প্রতিরোধ করার আহ্বান জানান তিনি।

ফ্রান্স ও সৌদি আরবের যৌথ উদ্যোগে নিউইয়র্কে তিন দিনব্যাপী ‘জাতিসংঘ হাই লেভেল ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স ফর দ্য পিসফুল সেটেলমেন্ট অব দ্য কোয়েশ্চেন অব প্যালেস্টাইন অ্যান্ড দ্য ইমপ্লিমেন্টেশন অব দ্য টু স্টেট সল্যুশন’ শীর্ষক মন্ত্রীপর্যায়ের এই সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে। বাংলাদেশসহ ১১৮টি দেশের প্রতিনিধিরা এতে অংশ নিচ্ছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নিউইয়র্কে দিদারুলকে ‘গার্ড অব অনার’, হাজারো মানুষের শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় শেষবিদায়
  • নিউইয়র্কের রাস্তায় নীল সোনম কাপুর
  • ভুল এলিভেটর, যাকে খুশি গুলি, যেন কোনো শুটিং গেম
  • যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে তাহলে কি ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে উঠছে
  • ফিলিস্তিনি জনগণকে গণহত্যা থেকে রক্ষায় পররাষ্ট্র উপদেষ্টার আহ্বান