কৃষকের অধিকার আদায়ে ১০ দফা দাবিতে রংপুরে পৌঁছেছে লংমার্চ
Published: 20th, April 2025 GMT
সারা দেশে কৃষকদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ১০ দফা দাবিতে রংপুরে লংমার্চ করেছে কৃষক ঐক্য পরিষদ। বগুড়া থেকে পঞ্চগড়গামী সাত দিনব্যাপী লংমার্চটি আজ রোববার দুপুরে রংপুরে আসে। পরে রংপুর প্রেসক্লাবের সামনে তাঁরা সমাবেশ করে ১০ দফা দাবি জানান।
সংগঠনের রংপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক মহিরুজ্জামান তালুকদারের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন কৃষক ঐক্য পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আহমেদ, মহাসচিব সুলতান আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, কৃষি খাত দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড হলেও কৃষকেরা আজ নানা দুর্ভোগের শিকার। কিন্তু কোনো সরকারই কৃষি খাতকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। সমাবেশ থেকে ১০ দফা দাবি জানানো হয়।
দাবিগুলো হলো, আলু, পেঁয়াজ কমিশন গঠন ও উপজেলাভিত্তিক কাঁচামাল সংরক্ষণাগার ও রপ্তানি কেন্দ্র স্থাপন করা; ঢাকাসহ সারা দেশে কৃষকের বাজার স্থাপন করা; কৃষি প্রণোদনা ও কৃষিঋণ বিতরণ সহজ করা; সিন্ডিকেটমুক্ত করে উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা; কৃষিপণ্য পরিবহনে চাঁদাবাজি ও টোল প্রথা বাতিল করে রেলবগি বরাদ্দ করা; খাস ও পতিত জমি বরাদ্দসহ কৃষকদের জন্য বিশেষ ভাতা চালু করা; সরকারিভাবে কৃষিবিমা চালু করা ও ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া; সরকারি, বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ৫০ ভাগ ছাড়ে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা; জাতীয় সংসদ, অন্যান্য জাতীয় কমিটি, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মাসিক সভায় আনুপাতিক হারে কৃষক প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করা; কৃষি প্রযুক্তি ও অ্যাপস আধুনিকায়ন ও বাস্তবমুখী করা।
কৃষক ঐক্য পরিষদের নেতারা জানান, লংমার্চটি ১৭ এপ্রিল বগুড়া থেকে শুরু হয়েছে। আজ রংপুর প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও পথসভা শেষে লংমার্চটি লালমনিরহাটে যাবে। ২৩ এপ্রিল পঞ্চগড়ে গিয়ে লংমার্চ শেষ হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
৪,৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক
ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তিতে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সচিব আহমদ কায়কাউসের বিরুদ্ধে অভিযোগটি অনুসন্ধানের দায়িত্ব পেয়েছেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক রেজাউল করিম। গতকাল বুধবার এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন।
দুদক গত ১৬ এপ্রিল এ নিয়ে আদেশ জারি করলেও গতকালই বিষয়টি জানাজানি হয়। দুদকের আদেশে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) পাশ কাটিয়ে আদানির সঙ্গে চুক্তি করে সরকারের সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দিয়েছেন আহমদ কায়কাউস। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে এ চুক্তি-সংক্রান্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। এ জন্য চুক্তির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যাবতীয় নথিপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, বিদ্যুৎ কেনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর নাম, পদবি, বর্তমান ঠিকানা এবং এ নিয়ে কোনো বিভাগীয় তদন্ত করা হয়েছে কিনা– খতিয়ে দেখতে হবে।
আদানি গ্রুপের কাছ থেকে বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তিটি শুরু থেকেই বিতর্কিত। ২৫ বছরের এ চুক্তির পদে পদে রয়েছে অসমতা। চুক্তিতে এমন অনেক শর্ত রয়েছে, যেগুলোর কারণে ২৫ বছরে প্রায় ৩ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা বাড়তি নিয়ে যাবে আদানি।