‘‘একটা জাতীয় দলের যতটুকু প্রস্তুতি নেওয়ার দরকার ছিল, সিলেটে এসে আমরা সেটা পেয়েছি। আমরা ভালো করতে পারিনি এটা আমাদের ব্যর্থতা।’’

‘‘নিজেদের উন্নতির ব‌্যাপারে তারা অনেক বেশি সচেতন। হয়তো আমরা খুবই খারাপ খেলেছি। তাদের বড় হওয়ার ইচ্ছা নেই, এটা বলা যাবে না।’’

‘‘আজকে ব্যাটিং মোটেও ভালো হয়নি। বোলিংও ভালো হয়নি। চেষ্টা করবো এই জায়গা থেকে আমরা কিভাবে ম‌্যাচে তাড়াতাড়ি ফিরতে পারি।’’

আরো পড়ুন:

গা-ছাড়া ক্রিকেটে ডুবল আশার সূর্য

অবশেষে জিম্বাবুয়ে সিরিজ সম্প্রচারকারী চ্যানেল পেলো বিসিবি

বাংলাদেশের যে কোনো ব‌্যর্থতার দিনে দলের প্রতিনিধিরা যে সকল কথা গণমাধ‌্যমে এসে বলেন বিগত কয়েক বছর কিংবা তার-ও বেশি সময় আগে, আজ সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দলের সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন সেই কথাগুলোই বললেন। তাইতো সংবাদ সম্মেলন থেকে বেরিয়ে এক সাংবাদিক সরাসরিই বললেন, ‘‘বিশ বছর ঘুরিয়ে পেচিয়ে একই কথা বলে যাচ্ছেন।’’

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৯১ রানে অলআউট বাংলাদেশ। ব‌্যর্থতার কোনো অজুহাত থাকতে পারে না। জিম্বাবুয়ে দলে বড় কোনো নাম নেই। যারা আছেন তারা আহামরি বোলিংও করেননি। তারপরও কেন দুইশ ছুঁতে পারেনি বাংলাদেশ। ব‌্যর্থতার কোনো অজুহাত দেননি সালাহউদ্দিন। ক্রিকেটাররাও নিজেদের দোষ স্বীকার করে নিয়েছেন বলে দাবি করেছেন।

‘‘আমিও মনে করি টেকনিক‌্যালি আমরা কিছু মিসটেক করেছি। ম‌্যাচের মধ‌্যে হঠাৎ করে বাজে শট খেলে ফেলেছি। যখনই কামব‌্যাক করছি তখনই একটা সেট ব‌্যাটসম‌্যান আউট হয়ে গেছে। ম‌্যাচ অ‌্যাওয়ারনেসের ঘাটতির উত্তর আসলে সবাই জানে। এটা থেকে কিভাবে আমরা উত্তরণ করতে পারি সেটা আমাদের বের করতে হবে।’’

প্রশ্ন উঠছে, আধুনিক ক্রিকেট যে উচ্চতায় গিয়েছে। বড় দলগুলো নিজেদেরকে যেভাবে তৈরি করছে। সামর্থ‌্যের জানান দিচ্ছে সেই উচ্চতায় পৌঁছতে বাংলাদেশ ক্রিকেটের কত সময় লাগতে পারে? সালাউদ্দিন এবার বাংলাদেশ ক্রিকেটের বাস্তব চিত্রটা তুলে ধরার চেষ্টা করলেন একটু ভিন্ন আবহে।

সরাসরি উত্তর দেওয়ার পরিবর্তে সালাহউদ্দিন এবার কৌশলী। দায় চাপানোর চেষ্টা করলেন দেশের ক্রিকেটের স্ট্রাকচারের ওপর, ‘‘দেখুন, আমি আপনাদেরকে একটা কথা বলি। একটা দেশ যদি.

..ধরেন, আপনার দেশ অর্থনৈতিক দিক দিয়ে অনেক শক্তিশালী। আপনি কি একটা পার্ট দিয়ে কখনও শক্তিশালি হতে পারবেন? আপনার ভালো প্রশাসন লাগবে, ভালো রাস্তাঘাট লাগবে, ভালো লোকজন লাগবে। সবকিছুই লাগবে। যদি বলেন খেলোয়াড়রা চেষ্টা করছে না, এটা ভুল বলা হবে। কারণ, আমি খুব কাছ থেকে দেখতেছি। তারা চেষ্টা করতেছে। কিন্তু এটার সঙ্গে তো আনুষাঙ্গিক অনেক ব্যাপার থাকবে। আমার ভালো কোচ লাগবে, আমরা ভালো কোচিং করাই না, আমরা তো গ্রাসরুট থেকে ভালো কোচিং করাই না। আমার ভালো মাঠ দিতে পারিনি।’’

‘‘এমনকি আপনারাও (সাংবাদিক) যদি ভালো লেখা না লেখেন, ওটাও বোঝা যাবে আমাদের মানটা কীরকম। সবকিছু বোঝা যাবে...একটা দেশের অর্থনীতি যেভাবে আগায়, একটা দেশের ক্রিকেটও সেভাবে আগাবে। শুধু খেলোয়াড়দের দোষ দিয়ে কোনো লাভ নাই। আমি মনে করি সবাইকে মিলেই কাজ করতে হবে। দোষাদোষী, রেষারেষি না। এর মধ্যে আমরা কীভাবে ভালো করতে পারি সেদিকে লক্ষ্য রাখা উচিত।’’ – যোগ করেন তিনি।

বড় দল হতে কত সময় লাগবে তা অজানা সালাহউদ্দিনেরও, ‘‘একটা দেশের ক্রিকেট কীভাবে আগাবে, এখানে সবারই সাহায্য করতে হবে। এখানে কেউ একা বের করতে পারবে না। আমার কোচ ভালো হলেও চলবে না, আমার খেলোয়াড় ভালো হলেও চলবে না, আমার সঙ্গে আরও অনেক কিছু ভালো হতে হবে। এখন যদি বলেন কতদিন অপেক্ষা করতে হবে, এটা আমার নিজেরও প্রশ্ন।’’

তবে এভাবে চলতে থাকলে যে অদূর ভবিষ‌্যতে আরো খারাপ দিন অপেক্ষা করছে তা বলতে দ্বিধা করলেন না সালাহউদ্দিন, ‘‘কত ইনিংস দেবো সেটা তো বলে দেওয়া যাবে না। সবকিছু দ্রুত করতে হবে। এটা আমরা খুব বেশি অপেক্ষা করতে পারবো না। কারণ, আন্তর্জাতিক দল ফল না করলে আমাকে সবসময় স্বীকার করে নিতে হবে। এটা আসলে আল্টিমেটলি পুরোটা জাতীয় দল কী করছে। একটা দেশের ক্রিকেট কীরকম করছে সেটা নির্ভর করে আপনার জাতীয় দল কেমন খেলছে। তার জন্য যা যা করা দরকার, তা তা করতে হবে।’’

সমস‌্যার গভীরে সালাহউদ্দিন নিজেও যেতে পারছেন না তা বোঝা গেল কথায়, ‘‘আমি কাছ থেকে দেখছি, ছেলেদের মানসিকতা বলেন, কাজের পরিধি বলেন, নিজের ইচ্ছে বলেন, তাদের সবই আছে। কিন্তু এটা (উন্নতি) শুধু তাদের একার পক্ষে সম্ভব না। পারিপার্শ্বিক অনেক ব্যাপার আছে যেগুলো সবসময় বলতে পারি না, বলা উচিতও না। আপনাদের একটু সময় দিতে হবে।’’

সিলেট/ইয়াসিন/আমিনুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ল হউদ দ ন আপন র

এছাড়াও পড়ুন:

চুম্বন দৃশ্যের অভিজ্ঞতা ভয়ংকর ছিল: মধু

বলিউড অভিনেত্রী মধু শাহ। নব্বই দশকের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী মধু নামেই পরিচিত। মনি রত্নম নির্মিত ‘রোজা’ সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসা কুড়ান। নব্বই দশকে একটি সিনেমায় চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করেন মধু, যা ভীষণ তিক্ত অভিজ্ঞতা ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।

কয়েক দিন আগে নিউজ১৮-কে সাক্ষাৎকার দেন মধু। এ আলাপচারিতা তিনি বলেন, “আজকাল সিনেমায় যে ধরনের চুম্বন দৃশ্য দেখা যায় এটি তেমন ছিল না। এটি ঠোঁটে খোঁচা দেওয়ার মতো অভিজ্ঞতা ছিল। সত্যি এটি আমার খারাপ লেগেছিল।”

চুম্বন দৃশ্যের অভিজ্ঞতা ভয়ংকর ছিল। তা জানিয়ে মধু বলেন, “শুটিং শুরু করার আগে আমাকে চুমু খেতে বলা হয়। কিন্তু তার আগে এ বিষয়ে আমাকে জানানো হয়নি। এ নিয়ে যখন প্রশ্ন করি, তখন তারা আমাকে পাশে নিয়ে গিয়ে কথা বলে। তারা আমাকে ব্যাখ্যা করে, এই দৃশ্যটি কেন গুরুত্বপূর্ণ এবং সেই কারণেই আমি চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করি। কিন্তু এটা ছিল আমার করা সবচেয়ে ভয়ংকর কাজ।”

চুম্বন দৃশ্যে যখন অভিনয় করেন, তখন মধুর বয়স ছিল ২২ বছর। তা স্মরণ করে এই অভিনেত্রী বলেন, “সিনেমায় চুম্বন দৃশ্যটির কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। সিনেমায় দৃশ্যটি অন্তর্ভুক্ত না করার জন্য পরিচালকের সঙ্গে কোনো কথাও হয়নি। আমি এটি এড়িয়ে গিয়েছিলাম। কেবল বয়সের দিক দিয়ে নয়, আমি সবদিক থেকেই তখন খুব ছোট ছিলাম। এখনকার ২২-২৪ বছর বয়সি ছেলে-মেয়েরা ভীষণ চালাক। কিন্তু ২২ বছর বয়সে আমি খুব বোকা ছিলাম।”

১৯৯৬ সালে দীপা মেহতা নির্মাণ করেন ‘ফায়ার’ সিনেমা। এতে শাবানা আজমি, নন্দিতা দাস সমকামী চরিত্রে অভিনয় করেন। এ সিনেমা পর্দার ঘনিষ্ঠতা সম্পর্কে মধুর ধারণা বদলে দিতে শুরু করে। এ তথ্য উল্লেখ করে মধু বলেন, “আমি বলছি না, পর্দায় চুম্বন করা খারাপ। ‘ফায়ার’ সিনেমায় যখন শাবানাজির মতো অভিনেত্রীর অভিনয় দেখি, তখন আমার মনে হয়েছিল সত্যি তারা তাদের প্রতিবন্ধকতা ভেঙে ফেলেছেন, যা আমি তখন করতে পারিনি। আমি সেই সব শিল্পীদের প্রশংসা করি, যারা মাথা ন্যাড়া করতে পারেন বা সিনেমায় সমকামীর ভূমিকায় অভিনয় করতে পারেন।”

১৯৯১ সালে তামিল ভাষার সিনেমার মাধ্যমে রুপালি জগতে পা রাখেন মধু। একই বছর ‘ফুল আউর কাঁটা’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন এই অভিনেত্রী। হিন্দি সিনেমায় পা রেখেই নজর কাড়েন। ৫৬ বছরের মধু অভিনয়ে এখন খুব একটা সরব নন। তবে প্রতি বছরে দুই একটা সিনেমায় দেখা যায় তাকে। 

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ