এই রাত তোমার আমার: দীর্ঘ দাম্পত্য সম্পর্ক আসলে কেমন হয়
Published: 23rd, April 2025 GMT
রাজেশ খান্না ও শর্মিলা ঠাকুরের ‘আবিষ্কার’ সিনেমাটা অনেকেই দেখেছেন। এক দম্পতির এক রাতের কাহিনি। ওই রাতই আবার তাদের বিবাহবার্ষিকী। প্রেম করে বিয়ে করেছিল। এত বছর পর তাদের বড় সমস্যা প্রেমহীনতা। বিয়ের আগে বা বিয়ের পরে সেই যে তুমুল ভালোবাসা, প্রচণ্ড আবেগ—কালক্রমে তা কোথায় হারিয়ে গেল? হারিয়ে ফেলা সেই ভালোবাসা নতুন করে আবিষ্কার করার গল্পই আসলে ‘আবিষ্কার’ সিনেমার কাহিনি। ১৯৭৪ সালের এই সিনেমার জন্য রাজেশ খান্না ফিল্মফেয়ারের সেরা অভিনেতা হয়েছিলেন। রাজেশ খান্না তখন বিপুল জনপ্রিয় সুপারস্টার। তারপরও একেবারেই ভিন্ন ধরনের একটি সিনেমা করার সাহস দেখিয়েছিলেন তিনি।
ইতালির ‘লা নত্তে’ (দা নাইট) সিনেমাটাও এক দম্পতির এক রাতের কাহিনি। ১৯৬১ সালে মুক্তি পেয়েছিল। একজন লেখক জিওভান্নি ও তার স্ত্রী লিডিয়ার গল্প। এটাও আরেক দাম্পত্য জীবনের গল্প। পরিচালক ওই এক রাতের নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে বলেও দেন তাদের দুজনের সম্পর্কের কিছু দিক। তাদের মধ্যেও ছিল গভীর প্রেম। এখনো কি আছে? লিডিয়া কিন্তু একপর্যায়ে বলেও যে সে আসলে এখন আর জিওভান্নিকে ভালোবাসতে পারছে না। কেন পারছে না, গল্প সেটাই।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
অনুমোদনের প্রথম দিন সেন্ট মার্টিন যায়নি কোনো পর্যটকবাহী জাহাজ
দীর্ঘ ৯ মাস পর শনিবার থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। কিন্তু প্রথম দিন কোনো জাহাজ সেন্ট মার্টিনে না যাওয়ার কারণে পর্যটকেরা দ্বীপে যেতে পারেননি। হাজারো পর্যটক সেন্ট মার্টিনে যেতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন। অন্যদিকে জাহাজমালিকেরা বলছেন, সরকারের বিভিন্ন শর্তের কারণে পর্যটকদের আগ্রহ না থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দ্বীপটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। ১ নভেম্বর থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলে সরকারের কোনো বাধা নেই। লিখিতভাবে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে দিনে গিয়ে দিনেই চলে আসতে হবে; রাতে থাকা যাবে না।
এদিকে রাতে থাকার সুযোগ না থাকায় পর্যটকেরা যেতে আগ্রহী হচ্ছেন না। কারণ, দীর্ঘ সময় ভ্রমণ করে দ্বীপে গিয়ে আবার সেদিনই চলে আসতে হবে। এ কারণে জাহাজমালিকেরাও জাহাজ চালাতে অনীহা প্রকাশ করছেন। তাঁদের দাবি, দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত নয়।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. শাহিদুল আলম বলেন, জাহাজমালিকেরা যদি জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখেন, সেটা তাঁদের ব্যাপার। সেন্ট মার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারের জারি করা ১২টি নির্দেশনা এবার কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করবে জেলা প্রশাসন।
শাহিদুল আলম বলেন, আগে টেকনাফ থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করলেও নিরাপত্তার কারণে এখন কক্সবাজার শহর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে সেন্ট মার্টিনে যাতায়াত করবে।
সি ক্রুজ অপারেটরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (স্কোয়াব) সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া ঘাট থেকে জাহাজ ছেড়ে গেলে সেন্ট মার্টিন পৌঁছাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা সময় লাগে। ফলে পর্যটকেরা কিছুই ঘুরে দেখতে পারবেন না। দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসা যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনি ব্যবসার জন্যও তা অলাভজনক। এ কারণেই অনেক পর্যটক সেন্ট মার্টিন যেতে অনীহা প্রকাশ করেছেন।
হোসাইন ইসলাম আরও বলেন, রাতযাপন করার সুযোগ না থাকলে সেন্ট মার্টিনের পর্যটন মৌসুম জমে না। পর্যটকেরা রাতের সৈকত দেখতে চান, ঢেউয়ের শব্দ শুনতে চান। সেটাই তো সেন্ট মার্টিনের আসল আকর্ষণ।
পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের পরিচালক মো. জমির উদ্দিন বলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশনা কঠোরভাবে কার্যকর করা হবে। এ লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনসেন্ট মার্টিনে নিষেধাজ্ঞা উঠছে কাল, তবে জাহাজ চলবে কি৩১ অক্টোবর ২০২৫