রাজেশ খান্না ও শর্মিলা ঠাকুরের ‘আবিষ্কার’ সিনেমাটা অনেকেই দেখেছেন। এক দম্পতির এক রাতের কাহিনি। ওই রাতই আবার তাদের বিবাহবার্ষিকী। প্রেম করে বিয়ে করেছিল। এত বছর পর তাদের বড় সমস্যা প্রেমহীনতা। বিয়ের আগে বা বিয়ের পরে সেই যে তুমুল ভালোবাসা, প্রচণ্ড আবেগ—কালক্রমে তা কোথায় হারিয়ে গেল? হারিয়ে ফেলা সেই ভালোবাসা নতুন করে আবিষ্কার করার গল্পই আসলে ‘আবিষ্কার’ সিনেমার কাহিনি। ১৯৭৪ সালের এই সিনেমার জন্য রাজেশ খান্না ফিল্মফেয়ারের সেরা অভিনেতা হয়েছিলেন। রাজেশ খান্না তখন বিপুল জনপ্রিয় সুপারস্টার। তারপরও একেবারেই ভিন্ন ধরনের একটি সিনেমা করার সাহস দেখিয়েছিলেন তিনি।
ইতালির ‘লা নত্তে’ (দা নাইট) সিনেমাটাও এক দম্পতির এক রাতের কাহিনি। ১৯৬১ সালে মুক্তি পেয়েছিল। একজন লেখক জিওভান্নি ও তার স্ত্রী লিডিয়ার গল্প। এটাও আরেক দাম্পত্য জীবনের গল্প। পরিচালক ওই এক রাতের নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে বলেও দেন তাদের দুজনের সম্পর্কের কিছু দিক। তাদের মধ্যেও ছিল গভীর প্রেম। এখনো কি আছে? লিডিয়া কিন্তু একপর্যায়ে বলেও যে সে আসলে এখন আর জিওভান্নিকে ভালোবাসতে পারছে না। কেন পারছে না, গল্প সেটাই।

মেরিলিন মনরোর বিখ্যাত সিনেমা ‘সেভেন ইয়ার ইচ’ তো বলেই দিয়েছে যে বিবাহিত পুরুষেরা সাত বছর পর হোঁচট খায়.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই সনদের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ 

জুলাই সনদের দাবিতে ঢাকার শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন জুলাই যোদ্ধারা।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বেলা ১১টা থেকে শাহবাগ মোড়ে শুরু হওয়া অবস্থান কর্মসূচিতে ধাপে ধাপে জড়ো হয়েছেন শতাধিক আন্দোলনকারী। ফলে শাহবাগ মোড়ের উভয়মুখেই যান চলাচল বন্ধ রয়েছে, আশপাশের রাস্তায় সৃষ্টি হয়েছে যানজট। 

জুলাই যোদ্ধা সংসদের উদ্যোগে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সংগঠনের সমন্বয়ক মাজহারুল ইসলাম আপন। শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে ও শাহবাগ থানার মুখে, এমনকি আশপাশের মোড়গুলোতেও আন্দোলনকারীদের অবস্থান নিতে দেখা গেছে।

রেজমিনে দেখা যায়, শাহবাগ মোড়ের একাংশ জুড়ে ব্যানার, পোস্টার ও জাতীয় পতাকা নিয়ে অবস্থান করছেন আন্দোলনকারীরা। পাশেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি দেখা গেছে। 
আন্দোলনকারীরা ‘জুলাই সনদ’ নামে একটি প্রস্তাবিত ঘোষণাপত্র প্রকাশ করেছেন, যেখানে ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থনে নিহতদের ‘জুলাই শহীদ (জাতীয় বীর)’ এবং আহতদের ‘জুলাই যোদ্ধা (বীর)’ হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের জন্য আজীবন সম্মান, চিকিৎসা, শিক্ষা, পুনর্বাসন, কর্মসংস্থান এবং সম্মানজনক ভাতা নিশ্চিত করার দাবি রয়েছে।

এর দ্বিতীয় ধারায় বলা হয়েছে, শহীদ পরিবার ও আহতদের কল্যাণ রাষ্ট্রের ‘অবিচ্ছেদ্য কর্তব্য’ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। এদের প্রতি অবহেলা বা অধিকার হরণকে রাষ্ট্রদ্রোহ বা বিশেষ অপরাধ হিসেবে গণ্য করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও তোলা হয়েছে।

জুলাই যোদ্ধাদের ভাষ্য, এখনো জুলাই সনদ না হওয়ায় আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা বাধ্য হয়েই আন্দোলনে নেমেছেন। বারবার এই দাবি জানানো হলেও কোনো অগ্রগতি হয়নি।

তারা বলছেন, জুলাই সনদ আমাদের দাবি নয়, এটি আমাদের অধিকার। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। জুলাই সনদ নিয়ে আশ্বাস পূরণ না হলে শাহবাগে অস্থায়ী মঞ্চ তেরি করে অবস্থান করবেন বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন তারা।

ঢাকা/রায়হান/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ