গরমে ত্বকে টোনার ব্যবহার কেন জরুরি ?
Published: 23rd, April 2025 GMT
গরমের দিনে ঘাম,ধুলা, দূষণে ত্বকে নানা সমস্যা দেখা দেয়। এ সময় বাইরে বের হলে ত্বকে সানস্ক্রিন ব্যবহার খুবই জরুরি। এর পাশাপাশি এই মৌসুমে ত্বকের পরিচর্যায় স্কিন মিস্ট এবং স্কিন টোনার প্রয়োজন। ত্বকে আর্দ্র বজায় রাখতে সাহায্য করে এই দুই উপকরণ। এছাড়াও ত্বক সতেজ রাখতে সাহায্য করে এই দুই পদ্ধতি। বাড়িতেই খুব সহজে আপনি ফেস মিস্ট এবং স্কিন টোনার বানিয়ে নিতে পারবেন। তাহলে কোনো কেমিক্যাল ব্যবহার করতে হবে না। এই দুই পদ্ধতি র্যাশ, চুলকানি, ইনফেকশন,ত্বক লালচে হয়ে যাওয়া, জ্বালাভাব দূর করতে সাহায্য করে।
যেভাবে বানাবেন ফেস মিস্ট ও টোনার
গোলাপজল: বাজারে অনেক কোম্পানিরই গোলাপজল কিনতে পাওয়া যায়। বাড়িতে পানির মধ্যে গোলাপের পাঁপড়ি দিয়ে হালকা আঁচে বেশ খানিকক্ষণ ফুটিয়ে নিন। তারপর ঠান্ডা করে পানি ছেঁকে নিয়ে একটি স্প্রে বোতলে ভরে রাখুন। মেকআপ করার আগে হোক, ফেসওয়াশ ব্যবহারের পর, বাড়ির বাইরে থাকলেও তুলোর মধ্যে অল্প করে এই তরল স্প্রে করে নিয়ে ভালভাবে মুখ মুছে নিন। এতে ত্বক থাকবে আর্দ্র, মোলায়েম। ত্বকে আসবে সজীবতা।
শসা, পুদিনা পাতা: ছোট ছোট টুকরো করে শসা কেটে নিন। পানির মধ্যে পুদিনা পাতা আর এই শসার টুকরো দিয়ে রেখে দিন স্প্রে বোতলে। ফেস মিস্ট হিসেবে দারুণভাবে কাজ করবে এই উপকরণ। অনেকে ডিটক্স ড্রিঙ্ক হিসেবেও এই পানীয় খেয়ে থাকেন নিয়মিত। গরমের সময় এই পানীয় খেতে পারলে শরীর ঠান্ডা থাকবে এবং শরীরের ভিতরে জমে থাকা যাবতীয় টক্সিন বা দূষিত পদার্থ বেরিয়ে যাবে। যার ফলে শরীর ভেতর থেকে পরিষ্কার হবে।
গ্রিন টি এবং ক্যামোমাইল টি : এই দু'ধরনের চায়ের টি-ব্যাগ পানিতে ফুটিয়ে নিন। চাইলে গরম পানিতে টি-ব্যাগ ডুবিয়ে রাখতে পারেন। এরপর ওই মিশ্রণ ঠান্ডা করে ছেঁকে স্প্রে বোতলে ভরে নিন। গ্রিন টি এবং ক্যামোমাইল টি থেকে থেকে দুই ধরনের তরল আপনি টোনার এবং ফেস মিস্ট দু'ভাবেই ব্যবহার করতে পারবেন। এই উপকরণ ত্বকের ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করবে । নিয়মিত এই মিশ্রণ ব্যবহারে ত্বক হবে আর্দ্র, মোলায়েম এবং উজ্জ্বল। ত্বকে সজীবতা বজায় রাখতেও সাহায্য করে এই মিশ্রণ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স হ য য কর ব যবহ র
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো বিশেষ ফিউশন খাবার উপস্থাপনা
মানজু রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এক ব্যতিক্রমধর্মী খাবার আয়োজন, যেখানে দেশি স্বাদের সাথে ছিল আন্তর্জাতিক রান্নার কৌশল ও উপকরণ। আয়োজনে ঐতিহ্য ও আধুনিকতা একসূত্রে গাঁথা হয়েছে।
সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, এ আয়োজনের মূল আকর্ষণ ছিলেন আন্তর্জাতিকভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত রন্ধনশিল্পী ইনারা জামাল, যিনি ফুড স্টাডিজে নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতকোত্তর এবং ইনস্টিটিউট অব কালিনারি এডুকেশন, নিউইয়র্ক থেকে বিশেষ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।
ইনারা জামাল বলেন, ‘খাবার শুধু স্বাদের বিষয় নয়, এটি একটি সাংস্কৃতিক অনুষঙ্গ। আমি চাই বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারকে ভিন্ন দেশের উপকরণ ও কৌশলের সঙ্গে মিশিয়ে বিশ্বদরবারে নতুন রূপে উপস্থাপন করতে। সৃজনশীল উদ্ভাবনের মাধ্যমে বাংলাদেশি খাবারকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরা। একইসঙ্গে, তার লক্ষ্য বাংলাদেশের খাদ্যসংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে গবেষণার আলোয় তুলে ধরা, যেন এই সমৃদ্ধ উত্তরাধিকার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সংরক্ষিত থাকে। খাবারে তিনি সবসময় প্রাধান্য দেন প্রাকৃতিক ভেষজ উপাদান এবং টেকসই উপস্থাপনাকে।
এই আয়োজনকে আরও রঙিন করে তোলে রন্ধনশিল্পী মালিহার বাহারি পরিবেশনা, যেখানে দেশি উপাদান ব্যবহার করে তৈরি করা হয় নানান স্বাদের সুস্বাদু খাবার।
আয়োজকরা জানান, এই আয়োজনের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশি খাদ্যসংস্কৃতিকে আধুনিক উপস্থাপনার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরা এবং ভোজনরসিকদের সামনে এক নতুন স্বাদের অভিজ্ঞতা নিয়ে আসা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা খাবারের স্বাদ, গন্ধ ও পরিবেশনায় মুগ্ধতা প্রকাশ করেন। এমন আয়োজনের ধারাবাহিকতা রক্ষার ওপর জোর দেন।