পুঁজিবাজারে টানা দরপতন, বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ
Published: 23rd, April 2025 GMT
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার (২৩ এপ্রিল) সূচকের পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এ নিয়ে টানা আট কার্যদিবস পুঁজিবাজারে সূচকে পতন ঘটল।
এদিন ডিএসই ও সিএসইতে আগের কার্যদিবসের চেয়ে টাকার পরিমাণে লেনদেন কিছুটা কমেছে। দিনশেষে উভয় পুঁজিবাজারে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম কমেছে।
এদিকে, পুঁজিবাজারে ধারাবাহিক দরপতনের ফলে পুঁজি হারিয়ে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। এর প্রতিবাদে বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ এবং ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু আহমেদের অপসারণ দাবিতে বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃত্বে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।
ডিএসই ও সিএসই সূত্র জানিয়েছে, দিনশেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৪.
ডিএসইতে মোট ৩৯৫টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ১১৯টি কোম্পানির, কমেছে ২১৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬২টির।
এদিন ডিএসইতে মোট ৩০০ কোটি ৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৩৪০ কোটি ২৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে ৩৩.১২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৮ হাজার ৫৫০ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৫৪.০২ পয়েন্ট কমে ১৪ হাজার ১১ পয়েন্টে, শরিয়াহ সূচক ৩.৫৭ পয়েন্ট কমে ৯১১ পয়েন্টে এবং সিএসই ৩০ সূচক ৪৩.০২ পয়েন্ট কমে ১১ হাজার ৭৪৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সিএসইতে মোট ২০৭টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৭২টি কোম্পানির, কমেছে ১১৩টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২২টির।
সিএসইতে ৪ কোটি ৪১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৬ কোটি ৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
ঢাকা/এনটি/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল খ ট ক র শ য় র ও ইউন ট ড এসই স এসই
এছাড়াও পড়ুন:
সূচকের বড় উত্থান, হাজার কোটি ছাড়াল লেনদেন
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সূচকের বড় উতত্থানের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে।
এ দিনে ডিএসইতে আগের কার্যদিবসের চেয়ে লেনদেন বেড়ে হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম বেড়েছে। তবে তবে সিএসইতে লেনদেন কমেছে।
ডিএসই ও সিএসই সূত্রে জানা গেছে, দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৯১.২১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৪৩ পয়েন্টে। ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১৬.২০ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১৭০ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ৪৮.৯৯ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ১১৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
আরো পড়ুন:
৮ ব্যাংকের অর্ধবার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ
নেগেটিভ ইক্যুইটি বিষয়ে কর্মপরিকল্পনা জমা দেওয়ার সময় বাড়াল বিএসইসি
ডিএসইতে মোট ৩৯৪টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ১৫০টি কোম্পানির, কমেছে ১৬৭টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭টির।
এ দিন ডিএসইতে মোট ১ হাজার ৬৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৭৪৩ কোটি ১৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে ১৮৩.১৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৯ হাজার ৩২৫ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৮১.৭১ পয়েন্ট বেড়ে ১৫ হাজার ২০২ পয়েন্টে, শরিয়াহ সূচক ১১.৭৮ পয়েন্ট বেড়ে ৯৪৮ পয়েন্টে এবং সিএসই ৩০ সূচক ৩৭৩.৬৭ পয়েন্ট বেড়ে ১৩ হাজার ৪৮১ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সিএসইতে মোট ২২৯টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ১০৮টি কোম্পানির, কমেছে ৮৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৭টির।
সিএসইতে ১১ কোটি ৭৮লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ২৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
ঢাকা/এনটি/রাসেল