উত্তরবঙ্গের কোন জেলায় বেড়াতে যাচ্ছেন? জেনে রাখুন এই অঞ্চলের প্রাচীন স্থাপত্য আর নিদর্শনের খোঁজ
Published: 26th, April 2025 GMT
‘আপা, এখনো জাদুঘরে?’
বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘরের এক কর্মকর্তার প্রশ্নে সংবিৎ ফিরে পাই। তাই তো, সেই কখন ঢুকেছি! ঘড়িতে দেখি, প্রায় চার ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে। অথচ এখনো অনেক কিছু দেখা বাকি!
২০২৪–এর ডিসেম্বরের শুরুতে গিয়েছিলাম রাজশাহী। জাদুঘরটি ঘুরে মনে হলো, বাংলাদেশের জাদুঘরটি শুধু প্রতিষ্ঠার দিক থেকেই প্রথম নয়, প্রত্নসম্পদ ও সমৃদ্ধিতেও সেরা। হবে নাই–বা কেন। রাজশাহীর ইতিহাস কি আজকের! রেশম চাষে রাজশাহীর খ্যাতি একসময় বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছিল। রেশম চাষের জন্য আঠারো শতকের দিকে এই অঞ্চলে এসেছিল ওলন্দাজরা। রাজশাহী শহর ও শহর থেকে অদূরে সারদা পুলিশ একাডেমিতে ডাচ স্থাপত্যের অল্প কিছু নিদর্শন এখনো রয়ে গেছে। আছে ফরাসি নীলকুঠি, ইংরেজ নীলকুঠির কিছু ভবন। মুসলিম স্থাপত্যের অনন্য নিদর্শন বাঘা মসজিদ, পুঠিয়া রাজবাড়ি দেখে যেকোনো পর্যটকই আপ্লুত হবেন। তবে রাজশাহী নগরীর পুরোনো খ্রিষ্টান সমাধিভূমি দেখতে ভুলবেন না।
রাজশাহীর মতো উত্তরবঙ্গের ১৬টি জেলাই ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ। আর আমার কাছে তো গোটা উত্তরবঙ্গই বাংলাদেশের ‘হেরিটেজ জোন’। কী নেই এই অঞ্চলে—প্রাচীন নগরী, শত শত বছরের পুরোনো উপাসনালয়, আদি আমলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শাসকদের স্থাপনা।
ঠাকুরগাঁওয়ে প্রায় দুই বিঘা জমিজুড়ে রয়েছে এই লতা সূর্যপুরী আমগাছ.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
‘ফিরিয়ে দাও’ থেকে ‘ধূসর সময়’: সিডনিতে একই মঞ্চে মাইলস ও আর্টসেল
সিডনির বসন্তের সন্ধ্যা। লিভারপুলের হুইটল্যাম লেজার সেন্টারের বাইরে তখন লম্বা লাইন—হাতে পতাকা, কাঁধে ব্যাগ, চোখে প্রত্যাশা। সাউন্ডচেকের শব্দ ভেসে আসছে বাইরে। ভেতরে যেন উন্মুখ এক ‘সাগর’, যেখানে মিশে আছে দুই প্রজন্মের মুখ, কণ্ঠ আর স্মৃতি। শনিবার রাতটি হয়ে উঠেছিল প্রবাসী বাঙালিদের জন্য এক ব্যতিক্রমী উৎসব—বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের দুই যুগের দুই প্রতীক, মাইলস ও আর্টসেল; প্রথমবারের মতো একই মঞ্চে গান করল সিডনিতে।
‘গ্রিনফিল্ড এন্টারটেইনমেন্ট’ আয়োজিত এই ‘মিউজিক ফেস্ট’ ঘিরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে যে উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছিল, তা যেন উপচে পড়ল সেই রাতে। টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার পরপরই সব শেষ। অনুষ্ঠান শুরুর ঘণ্টাখানেক আগে থেকেই সিডনির দক্ষিণ-পশ্চিম উপশহর লিভারপুলের রাস্তাগুলো ভরে গেল গানের ভক্তে।
আয়োজনের আগে ভিডিও বার্তায় মাইলস জানায় তাদের উচ্ছ্বাস। ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য হামিন আহমেদ বলেন, ‘সিডনি বরাবরই আমাদের কাছে বিশেষ কিছু। সম্ভবত ১৯৯৬ সালে আমরাই প্রথম বাংলাদেশি ব্যান্ড হিসেবে অস্ট্রেলিয়ায় পারফর্ম করি। এরপর এ নিয়ে অন্তত পঞ্চমবারের মতো সিডনিতে এলাম। এখানকার দর্শকদের ভালোবাসা সব সময়ই অবিশ্বাস্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জানতাম এটি স্মরণীয় একটি আয়োজন হতে যাচ্ছে। আমরা চেয়েছি সবাই একসঙ্গে গাইবে, চিৎকার করবে—ভক্তরা সেটাই করেছেন।’ গিটারিস্ট তুজো যোগ করেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার পাঁচটি শহরে ট্যুর করছি, কিন্তু সিডনির আবহ একেবারেই আলাদা। দর্শকেরা আমাদের রাতটিকে স্মরণীয় করে দিয়েছেন।’
মঞ্চে আর্টসেল