নোয়াখালীর সদর উপজেলায় বজ্রপাতে নুরুল আমিন (৪০) নামে একজন দিনমজুরের মৃত্যু হয়েছে। গাছ কাটার কাজ করতে গিয়ে তিনি এই বজ্রপাতের শিকার হন।

রবিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে নোয়াখালী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের জালিয়াল গ্রামের দালাল বাড়িতে এ বজ্রপাত ঘটে।

নিহত নুরুল আমিন উপজেলার নোয়াখালী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সল্যাঘটাইয়া গ্রামের নূর আহমেদ ছেলে। 

স্থানীয়রা জানান, নোয়াখালীতে সকাল থেকেই আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিলো। নুরুল আমিনসহ চারজন দিনমজুর জালিয়াল গ্রামের দালাল বাড়িতে গাছ কাটার কাজ করছিলেন। বৃষ্টির সাথে দুপুরের দিকে বিকট শব্দে বজ্রপাত হয়। এ সময় তিন দিনমজুর দৌঁড়ে নিরাপদে চলে যেতে সক্ষম হলেও নুরুল আমিনের হাতে গাছ কাটার করাত থাকায় তিনি নিরাপদে যেতে পারেননি। এসময় বজ্রপাতের শব্দে তার হ্রদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। সাথে চোখ ও কান দিয়ে রক্তক্ষরণ হয়। তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। 

সুধারাম মডেল থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রহমান মন্জুর বলেন, “বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়নি।  তবে খোঁজ নেওয়া হবে।”  

নোয়াখালী আওহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.

রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, জেলা শহর মাইজদীতে সকাল ৯টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টায় ২৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আজ (রবিবার) সারাদিন থেমে থেমে বৃষ্টি এবং বজ্রসহ বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।

ঢাকা/সুজন/টিপু

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন র ল আম ন

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত এক ব্যক্তির মৃত্যু

চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শফিউল ইসলাম (৭৫) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। তিনি আগে থেকেই কিডনিসংক্রান্ত জটিলতায় ভুগছিলেন। সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে আজ সোমবার পাঠানো ২৪ ঘণ্টার প্রতিবেদনে করোনাভাইরাসে প্রথম একজনের মৃত্যুর বিষয় নিশ্চিত করা হয়।

এ ছাড়া শেষ ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত) নতুন করে ১০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হলেন মোট ২৮ জন। তাঁদের মধ্যে একজন মারা গেছেন।

উল্লেখ্য, নতুন করে করোনা সংক্রমণের পর চট্টগ্রামে এটা প্রথম মৃত্যুর ঘটনা। এর আগে গতকাল পর্যন্ত ঢাকায় ১৫ দিনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৪ জনের মৃত্যু হয়।

সিভিল সার্জন জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ৭৫ বছর বয়সী শফিউল ইসলাম কিডনিসংক্রান্ত জটিলতায় ভুগছিলেন। তাঁর অস্ত্রোপচারও হয়েছিল। তিনি বারবার কিডনি ডায়ালাইসিস করাতেন। ৪ জুন মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালে তাঁর করোনাভাইরাস পজিটিভ আসে। সেখানে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিয়েছিলেন। পরে হাসপাতাল ছেড়ে স্বেচ্ছায় বাড়িতে চলে যান। বাড়িতেই গতকাল তাঁর মৃত্যু হয়।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১২০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তার মধ্যে নগরের সাতজন এবং উপজেলার তিনজনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর মধ্যে ইমপেরিয়াল হাসপাতালে তিনজন, মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালে একজন, পার্কভিউ হাসপাতালে চারজন এবং এপিক হেলথ কেয়ারে দুজনের করোনা শনাক্ত হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ