প্রথম আলোর চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নিজস্ব প্রতিবেদক আনোয়ার হোসেনকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে হুমকি দেওয়ার ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার মুখ্য সংগঠক মোত্তাসিন বিশ্বাস দুঃখ প্রকাশ করেছেন। আজ শুক্রবার তিনি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন। এ ছাড়া তিনি আগের স্ট্যাটাসটিও সরিয়ে নিয়েছেন।

এর আগে গত মঙ্গলবার দুপুরে এক ফেসবুক পোস্টে হুমকি দেন বৈষম্যবিরোধী মোত্তাসিন বিশ্বাস। এ ঘটনায় সেদিন রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন আনোয়ার হোসেন।

ফেসবুক পোস্টে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আনোয়ার হোসেনের দুটি ছবি লাল দাগ দিয়ে ক্রস চিহ্ন দেন মোত্তাসিন। ক্যাপশনে তিনি লিখেছিলেন, ‘.

..সত্য লিখুন, না হলে আপনিও ছাড় পাবেন না। ইনকিলাব জিন্দাবাদ।’ মোত্তাসিন বিশ্বাসের পোস্টের পর মন্তব্যের ঘরে আনোয়ার হোসেনকে একাধিক আইডি থেকে মারধরের হুমকি দেওয়া হয়।

শুরু থেকেই হুমকির প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিল চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সাংবাদিকদের সংগঠনগুলোর সম্মিলিত প্ল্যাটফর্ম ‘চাঁপাইনবাবগঞ্জ সাংবাদিক সমাজ’। তারা এ ব্যাপারে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে গণমাধ্যমে বিবৃতিও দিয়েছে। পরে গতকাল বৃহস্পতিবার তারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার আহ্বায়ককে এ ব্যাপারে লিখিতভাবে জানান।

সাংবাদিক সমাজের পক্ষে চিঠিতে স্বাক্ষর করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রফিকুল আলম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাফরুল আলম, সিটি প্রেসক্লাবের সভাপতি কামাল শুকরানা, সিটি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল মাহমুদ।

চিঠিতে বলা হয়, ‘ফেসবুকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক মোত্তাসিন বিশ্বাস তাঁর নিজ অ্যাকাউন্ট থেকে প্রথম আলোর সাংবাদিক আনোয়ার হোসেনকে নিয়ে আপত্তিকর পোস্ট দেওয়া হয়। শুধু তা–ই নয়, আনোয়ার হোসেনের দুটি ছবিতে লাল রঙের ক্রস চিহ্ন ব্যবহার করা হয়েছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই হুমকি দেওয়ার ঘটনায় জরুরি সভা করেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সাংবাদিক সমাজ।’

সভায় পাঁচটি সিদ্ধান্তের কথা চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। পরিবর্তিত বাংলাদেশে একজন পেশাদার সাংবাদিককে নিয়ে মোত্তাসিন বিশ্বাসের আপত্তিজনক ও হুমকিস্বরূপ বক্তব্য কোনোভাবেই কাম্য নয়। এই পোস্টের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়; আপত্তিজনক পোস্ট ও হুমকিস্বরূপ বক্তব্যের কারণে আইনগত পদক্ষেপ হিসেবে থানায় জিডি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়; পরবর্তী তিন দিনের মধ্যে মোত্তাসিন বিশ্বাসের পোস্টটি ডিলিট করে নিজ ফেসবুক ওয়ালে দুঃখ প্রকাশের দাবি তোলা হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পোস্টটি ডিলিট করে দুঃখ প্রকাশ না করলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যাবতীয় সংবাদ বর্জন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়; তিন দিনের মধ্যে দুঃখ প্রকাশ না করলে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণার সিদ্ধান্ত হয় এবং এই সিদ্ধান্তগুলো লিখিতভাবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের জানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

চিঠিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, ‘যেসব অধিকারের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান হয়, তার মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে বাক্‌স্বাধীনতার অধিকার। একজন পেশাদার সাংবাদিককে নিয়ে ফেসবুকে এমন পোস্ট সেই আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এটা স্বাধীন সাংবাদিকতার ওপর হস্তক্ষেপ, যা আমাদের উদ্বিগ্ন ও উৎকণ্ঠিত করেছে।’

এ বিষয়ে মোত্তাসিন বিশ্বাসকে ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। অবহিতকরণ চিঠিটি ফেসবুকে সংযুক্ত করে স্ট্যাটাস দিয়ে তিনি উল্লেখ করেছেন, স্পষ্টীকরণ ও দায়িত্বশীল অবস্থান। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সাংবাদিক সমাজের সব সাংবাদিকের সম্মিলিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পাঠানো অবহিতকরণ নোটিশটি তিনি সম্মানের সঙ্গে গ্রহণ করেছেন। প্রথম আলোর একটি প্রতিবেদনের প্রতিবাদে, প্রথম আলোর চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার প্রতিনিধি ও একজন সিনিয়র সাংবাদিকের ছবিতে অনভিপ্রেতভাবে লাল ক্রস চিহ্ন ব্যবহার করা হয়েছে, যা অপ্রাসঙ্গিক ও অগ্রহণযোগ্য ছিল। এ বিষয়ে তিনি দুঃখ প্রকাশ করছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, প্রতিবাদ যেন ব্যক্তি নয়, বিষয় ও যুক্তির ওপর ভিত্তি করে হয়। কারণ, ব্যক্তি আক্রমণ বাক্‌স্বাধীনতার মূল চেতনার পরিপন্থী।

স্ট্যাটাসে মোত্তাসিন বিশ্বাস উল্লেখ করেন, ‘আমরা সব সময় বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা ও স্বাধীন মতপ্রকাশে বিশ্বাস করি। চাঁপাইনবাবগঞ্জের সাংবাদিক সমাজ আমার অনভিপ্রেত কাজের বিষয়টি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবে এবং ভবিষ্যতে আপনাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে বলে আশা প্রকাশ করছি। সর্বদা আপনাদের সার্বিক সহযোগিতাপ্রত্যাশী।’

এ বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রফিকুল আলম বলেন, গতকাল তাঁরা এ ঘটনায় লিখিতভাবে জানিয়েছেন। আজ ওই নেতা ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। নেতারা জানিয়েছেন, তাঁরা লিখিতভাবে বিষয়টি জানাবেন।

এ ব্যাপারে কথা বলতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার আহ্বায়ক আবদুর রাহিমকে ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।

আরও পড়ুনপ্রথম আলোর সাংবাদিককে বৈষম্যবিরোধী নেতার হুমকি, থানায় জিডি৩০ এপ্রিল ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প ইনব বগঞ জ জ ল র প রথম আল র কর ছ ন ফ সব ক ঘটন য়

এছাড়াও পড়ুন:

দারফুরে ধর্ষণ-মুক্তিপণ-হত্যা: আরএসএফের ভয়াবহ নিপীড়নের বর্ণনা দিলেন পালিয়ে আসা মানুষেরা

সুদানের পশ্চিমাঞ্চলীয় দারফুর শহরে আধাসামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স (আরএসএফ)–এর কাছ থেকে পালিয়ে আসা ক্ষুধার্ত এবং নির্যাতিত মানুষেরা বিভিন্ন সংস্থা ও সংবাদমাধ্যমের কাছে তাঁদের ভয়ংকর অভিজ্ঞতাগুলো বর্ণনা করছেন। তবে তাঁরা পালাতে পারলেও হাজার হাজার মানুষ এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।

উত্তর দারফুরের রাজধানী এল-ফাশের শহর ছিল রাজ্যটিতে সুদানি সেনাবাহিনীর সর্বশেষ ঘাঁটি। গত রোববার আরএসএফ বাহিনী এটির দখল নেয়। এরপর থেকে জাতিসংঘ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা স্থানীয় মানুষের পরিণতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। এরই মধ্যে দারফুরে ধর্ষণ, মুক্তিপণ ও গণহত্যাসহ অন্যান্য নির্যাতনের কথা সামনে আসছে।

আলখেইর ইসমাইল নামের এক সুদানি তরুণ দারফুর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার (৩১ মাইল) দূরের তাবিলা শহরে পালিয়ে এসেছেন। তিনি বলেন, রোববার এল-ফাশের থেকে পালানোর চেষ্টার সময় ৩০০ জনকে আটক করে আরএসএফ। তিনিও ওই দলে ছিলেন। তবে আটককারীদের একজন তাঁর বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের পরিচিত হওয়ায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

ইসমাইল বলেন, ‘খার্তুমের বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার সঙ্গে পড়াশোনা করেছেন এমন একজন তরুণ সেখানে ছিলেন। তিনি তাঁদের বললেন, “ওকে হত্যা করো না”। এরপর তাঁরা আমার সঙ্গে থাকা সব তরুণ ও আমার বন্ধুদের হত্যা করেন।’

তাবিলা এলাকায় পালিয়ে আসা অন্য নাগরিকেরাও তাঁদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। তেমনই একজন তাহানি হাসান। তিনি বলেন, ‘হঠাৎ করেই তাঁরা সেখানে হাজির হলেন। কোথা থেকে এলেন জানি না। ভিন্ন ভিন্ন বয়সী তিন তরুণকে দেখা গেল। তাঁরা আকাশে গুলি ছুড়লেন এবং বললেন, ‘থামো, থামো’। তাঁরা আরএসএফের পোশাকে ছিলেন।’

আলখেইর ইসমাইল নামের এক সুদানি তরুণ দারফুর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার (৩১ মাইল) দূরের তাবিলা শহরে পালিয়ে এসেছেন। আলখেইর বলেছেন, রোববার এল-ফাশের থেকে পালানোর চেষ্টা করার সময় ৩০০ জনকে আটক করে আরএসএফ। তিনিও ওই দলে ছিলেন। তবে আটককারীদের একজন তাঁর বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের পরিচিত ব্যক্তি হওয়ায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

তাহানি হাসান বলেন, ‘এই তরুণেরা আমাদের বেধড়ক মারধর করেছেন। আমাদের পোশাক মাটিতে ছুড়ে ফেলেছেন। এমনকি আমি একজন নারী হওয়ার পরও আমাকে তল্লাশি করা হয়েছে। হামলাকারীরা সম্ভবত বয়সে আমার মেয়ের চেয়েও ছোট হবে।’

ফাতিমা আবদুলরহিম তাঁর নাতি–নাতনিদের সঙ্গে তাবিলাতে পালিয়ে এসেছেন। তিনি বলেন, পাঁচ দিন ধরে অনেক কষ্ট করে হেঁটে তাবিলাতে পৌঁছাতে পেরেছেন।

ফাতিমা বলেন, ‘তাঁরা (আরএসএফের সদস্যরা) ছেলেশিশুগুলোকে মারলেন এবং আমাদের সব সম্পদ কেড়ে নিলেন। আমাদের কিছুই রাখা হলো না। আমরা এখানে পৌঁছানোর পর জানতে পারলাম, আমাদের পর যেসব মেয়ে এসেছে, তাদের ধর্ষণ করা হয়েছে। তবে আমাদের মেয়েরা বেঁচে গেছে।’

পালিয়ে আসা তরুণী রাওয়া আবদাল্লা বলেছেন, তাঁর বাবা নিখোঁজ।

গত বুধবার রাতে দেওয়া এক বক্তৃতায় আরএসএফের প্রধান মোহাম্মদ হামদান দাগালো বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য তাঁর যোদ্ধাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটলে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। হামদান ‘হেমেদতি’ নামেও পরিচিত।

২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদানি সেনাদের সঙ্গে আরএসএফ সদস্যদের লড়াই চলছে। গত বৃহস্পতিবার আরএসএফ দাবি করে, নির্যাতনের অভিযোগে বেশ কয়েকজন যোদ্ধাকে আটক করেছে তারা।

তবে জাতিসংঘের মানবিক সহায়তাবিষয়ক প্রধান টম ফ্লেচার সাধারণ নাগরিকদের ওপর আরএসএফ সদস্যদের নিপীড়নের অভিযোগ তদন্তে বাহিনীটির দেওয়া প্রতিশ্রুতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরএসএফের একজন উচ্চপদস্থ কমান্ডার এই ঘটনাগুলো ‘গণমাধ্যমের অতিরঞ্জন’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। তাঁর দাবি, এল–ফাশেরে নিজেদের পরাজয় ও ক্ষয়ক্ষতি আড়াল করতে সেনাবাহিনী এবং তাদের মিত্ররা এমন অপপ্রচার চালাচ্ছে।

জাতিসংঘের তথ্য বলছে, এ সংঘাত চলাকালে আরএসএফ ও সেনাবাহিনী—দুই পক্ষের বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠেছে। সংঘাতে কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন। সংঘাতকে কেন্দ্র করে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় তৈরি হয়েছে। বিরাজ করছে ব্যাপক দুর্ভিক্ষের অবস্থা। পাশাপাশি কলেরা ও অন্যান্য প্রাণঘাতী রোগের সংক্রমণ বাড়ছে।

দারফুর থেকে পালিয়ে আসা লোকজন তাবিলা এলাকায় আশ্রয় নিয়েছেন। ২৯ অক্টোবর, ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দারফুরে ধর্ষণ-মুক্তিপণ-হত্যা: আরএসএফের ভয়াবহ নিপীড়নের বর্ণনা দিলেন পালিয়ে আসা মানুষেরা
  • ‘সাংস্কৃতিক জাগরণেই মুক্তি’
  • যদি ঠিক পথে থাকো, সময় তোমার পক্ষে কাজ করবে: এফ আর খান
  • বিবাহবিচ্ছেদ ও খোরপোষ নিয়ে ক্ষুদ্ধ মাহি
  • ফতুল্লায় দুই ট্রাকের মাঝে পড়ে যুবকের মৃত্যু
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে ২০ মামলার আসামি নিহত, গুলিবিদ্ধ ৩
  • নামতে গেলেই চালক বাস টান দিচ্ছিলেন, পরে লাফিয়ে নামেন
  • তানজানিয়ার বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফের বিজয়ী সামিয়া
  • আমার স্ত্রী খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করছেন না: জেডি ভ্যান্স
  • নির্বাচন সামনে রেখে সরকারের ৩১ বিভাগকে প্রস্তুতির নির্দেশ ইসির